শনিগ্রহের প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়ার নিয়ম / The law of liberation from the wrath of Saturn

শনিদেবের কৃপালাভের জন্য শনির ভক্তরা কিনা করে থাকে৷ মন্দিরে যান,উপবাস করেন ও যখন তাদের মনোস্কামনা সম্পূর্ণ হয়ে যায়, তখন তারা শনিদেবের ভক্তি ভাব থেকে বিরত থাকেন৷ যদি শনিভক্তরা শনিদেবের আরাধনা পবিত্র মনে করেন তাহলে সূর্যপুত্র তাদের মনোস্কামনা পূরণ করতে কখনও দেরি করেন না৷

সূর্যপুত্র শনিদেবকে কিভাবে প্রসন্ন করা যায়, এই চিন্তা প্রত্যেক ভক্তের মনে থাকে৷ এখানে আমি কিছু সরল নিয়ম বলতে চলেছি যেগুলি প্রয়োগ করে আপনি শনিদেবকে শীঘ্রই প্রসন্ন করতে পারবেন৷

শনিবারে অশ্বত্থ গাছের চারদিকে ৭ বার কাঁচা সুতো পেঁচান ও এই কাজটি করার সময় শনিমন্ত্র জপ করতে থাকুন৷ এরপর গাছটিকে ধূপ-দীপ দিয়ে পুজো করুন৷ মনে রাখবেন যেদিন পুজো করবেন, সেই দিন নুন ছাড়া খাবার খাবেন৷

শনিদেবের প্রকোপ থেকে মুক্তি পাবার জন্য আপনি শনিদেবের স্ত্রীর নাম নিত্য পাঠ করুন, তাহলে ফলাফল শুভ হবে৷ মন্ত্রটি নিম্নপ্রকার :-

‘ধজিনি ধামিনী চৈব কঙ্কালী কলহপ্রিহা৷

কঙ্কটি কলহী চাউথ তুরঙ্গি মহিষী  অজা৷৷

শনৈনরমানি পত্নীনামেতানি সঞ্জপন পুমান৷

দুঃখানি নাশ্যেনিত্যং সোভাগ্যমেধতে সুখমং৷৷’

যদি কুষ্ঠরোগ বংশানুক্রমে না হয়ে শনির প্রকোপের কারণে হয়ে থাকে, তাহলে এর থেকে মুক্তি পাবার জন্য চিকিৎসকদের উপদেশের সাথে এই মন্ত্রটির জপ করলে রোগমুক্ত হওয়া যায়৷                

‘ওঁ এং হ্রিং শ্রিং শনিশ্চরায় নমঃ’

শনিগ্রহের অশুভ প্রভাবের কারণে শরীরে চর্মরোগ হলে শনিবার দিন বিছুটি পাতার শিকড় (এক ধরনের জংলা চারাগাছ) হাতে বাঁধলে আপনি আশানুরূপ ফলাফল পেয়ে যাবেন৷

নীলকান্তমণি বা নীলাকে রত্ন বলা হয়৷ এর প্রভাব শীঘ্রই শুরু হয়ে যায়৷ এটিকে ধারণ করবার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন৷

প্রত্যেক শনিবার বট ও অশ্বত্থ গাছের নিচে সূর্যোদয়ের আগে কড়া তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে কাঁচা দুধ অর্পণ করুন৷ শনিদেব অবশ্যই প্রসন্ন হবেন৷


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *