সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য “মুশকিল আসান যন্ত্রম” / The “Mushkil Asaan Yantram” for get rid from Problem

এই প্রবন্ধে, আমি দ্বিতীয় একটি তান্ত্রিক যন্ত্রমের বিষয়ে আলোচনা করছি, যে যন্ত্রমটিও  এতই শক্তিশালী একটি যন্ত্রম, যেটি কিনা সকল সমস্যার খুব শীঘ্র সমাধান করে দিতে পারে। যন্ত্রমটি ধারণ করলে, আপনি যে সমস্যাতেই পড়ুন না কেন, তা থেকে অবশ্যই মুক্তি পাবেন, এতে কোনও সন্দেহই নেই। তাই সিদ্ধ তান্ত্রিকগণ যুগে যুগে এই যন্ত্রমটি নিয়ে কাজ করে চলেছেন। এই যন্ত্রমটিকেও অনেকেই আদর করে মুশকিল আসান যন্ত্রম বলে থাকেন।

তবে এই সম্পর্কে গবেষকরা কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করেন, কেউ কেউ বলেন, এই যন্ত্রমটিও  আসলে এমন কিছু কাজে ব্যবহার করা হয়, যেসব কাজে চট করে সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। আর কোনো কোনো গবেষকেরা এমনটি মোটেও মনে করেন না, তাঁদের মতে, এই সমস্যা সমাধানের যন্ত্রমটি তার নিজের কর্মকুশলতাতেই  আদরণীয় হয়ে উঠেছে।

যাই হোক, যে কোনও সমস্যাতেই এই যন্ত্রমটি প্রয়োগের মাধ্যমে উপকৃত হাওয়া সম্ভব হবে বলেই মনে করা হয়। যে ব্যক্তি এই যন্ত্রমটি তৈরি করবেন, তাঁকে কয়েকটি শর্ত মাথায় রেখে যন্ত্রমটি বানাতে হবে, যেমন অতি শুদ্ধাচারে এই যন্ত্রমটি বানাতে হবে, মাসের প্রথম শুকপক্ষের দ্বাদশ দিনে অর্থাৎ দ্বাদশী তিথিতে সকাল ৬ টা  থেকে ৮ টার মধ্যে গোলাপ জল ও জাফরান বা কেশর মিশ্রিত কালি ও সোনার নিবের কলম দিয়ে বা ডালিম গাছের ডালের কলম দিয়ে যন্ত্রমটি আঁকতে হবে। যিনি এই যন্ত্রমটি তৈরী করবেন, তিনি শুদ্ধ পোষাক পরে শুদ্ধাসনে বসে যন্ত্রমটি লিখবেন, যতক্ষন ধরে যন্ত্রমটি লিখবেন, ততক্ষন ধরে হিন্দুরা বাসুদেব মন্ত্র বা গুরুমন্ত্র ও মুসলিমগণ বিস্মিল্লাহঃ মন্ত্র জপ করতে থাকবেন। যিনি যন্ত্রমটি লিখবেন, তিনি ওই পক্ষকালের মধ্যে আমিষ আহার, সুরাপান, ও স্ত্রীগমন করবেন না। যন্ত্রমটি আঁকা হয়ে গেলে, ভালো করে শুকিয়ে নিয়ে, পঞ্চোপচারে যন্ত্রমটির পূজা করবেন, মুসলিমগণ যন্ত্রমটির উপর ১০৮ বার দুরুদ পাঠ করবেন, লোবানের ধোঁয়া দেখবেন। যন্ত্রমটিকে এইবার রূপা বা তামার মাদুলি বা তাবিজে ভরে পুরুষেরা ডানহাতে, ও মহিলাগণ বামহাতে ধারণ করবেন।

প্রতিদিন যন্ত্রমটিতে গুগ্গুল বা লোবানের ধোঁয়া দিতে হবে। যে সমস্যাটির জন্য যন্ত্রমটি ধারণ করেছেন, তার সমাধান হয়ে গেলে, যন্ত্রমটিকে  কোনো নদীর স্রোতের জলে স্বসম্মানে ভাসিয়ে দিতে হবে। এই যন্ত্রমটি তৈরি বা প্রয়োগের তথ্য ও শিক্ষা পেশ করলাম মাত্র, এটির ফলাফলের জন্য আমার বা আমার ব্লগের কোনও দায়দায়িত্ব নেই।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *