শিশুকে জানুন হাতের লেখা দেখে / Get to know the child by looking at the handwriting

যাদের হাতের লেখা অস্পষ্ট ও তাড়াতাড়ি লিখে থাকেন

এরা নিজেদের মনের কথা কারোর কাছে প্রকাশ করতে চান না৷

এরা সবসময় অন্যের জন্য বিরক্তি প্রকাশ করে থাকেন৷                           

এরকম শিশুরা মনের দিক থেকে এমন কিছু ভেবে থাকেন,যাতে তারা শীঘ্রই উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হন৷ কিন্তু এরকম ব্যক্তিদের চিন্তাধারা বেশিরভাগ সময় কাজে আসে না৷ কোনও শিশুর ব্যক্তিগত ও সামাজিক ব্যবহার জানবার সহজ উপায় হল তার হাতেলেখা পদ্ধতি৷ এখানে আমি আপনার সুবিধার জন্য শ্রেণী অনুযায়ী বিভাজন করেছি৷ যথা ­ বহির্মুখী ব্যক্তিত্ব, অন্তর্মুখী ব্যক্তিত্ব, মধ্যম (অর্থাৎ না বেশি বহির্মুখী না অন্তর্মুখী)৷

বহির্মুখী ব্যক্তিত্ব : যে শিশু হাতের লেখা কিছুটা জোর দিয়ে লেখেন, লেখার ছাপ অপর পৃষ্ঠায় পরে৷ অক্ষর বড় ও গোল করে লেখেন, যার হাতের লেখা ডান হাত থেকে কিছুটা ঝুঁকে থাকে৷ এই ধরনের ব্যক্তিরা সামাজিক জীবনে প্রত্যেক মানুষের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে ভালোবাসে৷ তারা সমাজ সেবার জন্য সমস্ত কিছু বলিদান দিতে ইচ্ছুক থাকেন৷ এরা নিজের কাজের বিষয়ে গর্ববোধ করে থাকেন৷

অন্তর্মুখী ব্যক্তিত্ব : যে শিশুরা নিজের হাতের লেখা হাল্কা করে লেখেন ও লেখার ছাপ এক পৃষ্ঠা থেকে অন্য পৃষ্ঠায় পড়ে না৷ লেখার অক্ষর ছোট ও অস্পষ্ট থাকে, যার লেখা বাঁ হাত থেকে সামান্য ঝুঁকে থাকে৷ এই রকম শিশুদের জীবন ছেলেবেলায় উপেক্ষার শিকার হবার কারণে তারা হীনমন্যতায় ভোগে৷ এই পরিস্থিতিতে তারা অন্তর্মুখী ব্যক্তিত্বের হয়ে যান৷ এরা সমাজে বেশি মেলামেশা করতে পারেন না৷ এরা সর্বদা নিজেদের গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পছন্দ করেন৷ এরা অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করতে পারে না কিন্তু অন্যের থেকে ভালো ব্যবহারের আশা করে থাকেন৷ এই শ্রেণীর শিশুরা নিজেদের মনের কথা কারোর কাছে সহজভাবে প্রকাশ করতে পারে না৷ 

মধ্যম ব্যক্তিত্ব  (অর্থাৎ না বেশি বহির্মুখী না অন্তর্মুখী) : যে শিশুরা হাতের লেখা বেশি জোর দিয়ে বা হাল্কা করে লেখেন না বা তাদের হাতের লেখা সোজা হয়ে অক্ষর ছোট অথবা মাঝারি মাপের হয়ে সম্পূর্ণ স্পষ্ট ভাবে লেখা হয়৷ এদের সামাজিক জীবন সামান্যতর হয়ে থাকে৷ এরা কোনও জিনিস দেখাতে পছন্দ করে না বা লুকিয়ে রাখতেও পছন্দ করে না৷ এরা কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেদেরকে স্বাভাবিক রাখবার চেষ্টা করে থাকে৷


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *