দীর্ঘ আয়ুর জন্য তিনটি নিয়ম / Three rules for longevity

প্রত্যেক ব্যক্তিরই তার ব্যক্তিগত জীবনে মোহ থাকে৷ জীবনের প্রতি এই মোহ তাকে বাঁচার প্রেরণা দেয়৷ প্রত্যেক ব্যক্তিই দীর্ঘদিন বেঁচে থেকে নিজের পরিবারের সাথে আনন্দ উপভোগ করতে চায়৷ এইজন্য ১০০ বছর বেঁচে থেকেও সেই ব্যক্তির মোহ থাকে যে, সে আরও কিছুদিন বেঁচে থাকুক৷ আপনি কি জানেন দীর্ঘ আয়ুর জন্য আপনাকে অনেক ধরনের চেষ্টা করতে হয় অর্থাৎ সুস্থ জীবনের জন্য শুধুমাত্র ঘুম ছাড়াও আপনাকে আরও নিয়ম অবলম্বন করতে হয়৷ দীর্ঘ আয়ুর জন্য নিম্নে তিনটি নিয়মের আলোচনা করা হল :

১. পুষ্টিকর খাওয়া-দাওয়া

২. ব্যায়াম৷

৩. চাপমুক্ত থাকা৷                 

পুষ্টিকর খাওয়া-দাওয়া

 দীর্ঘ আয়ুর জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হল পুষ্টিকর খাওয়া-দাওয়া৷ পুষ্টিকর খাদ্য আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে৷ যদি আপনি সন্তুলিত খাবার খান,তাহলে নিশ্চিত ভাবে আপনি স্বাস্থ্যবান থাকবেন৷ খাদ্য তালিকা এমন হওয়া উচিত যাতে, আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি না পায়৷ এছাড়া আপনার মসলাযুক্ত খাবার একদমই গ্রহণ করা উচিত নয়৷ আপনাকে হালকা খাবার সেবন করতে হবে ও তার সঙ্গে স্যালাড পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে৷ এছাড়া আপনি খাদ্য তালিকায় অবশ্যই ফল রাখবেন, এমন ফল যাতে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন যুক্ত থাকে৷ আপনি চাইলে কোনও একটি সময় ফলাহার গ্রহণ করতে পারেন৷ আপনাকে প্রতিদিন ৩-৪ লিটার জল পান করতে হবে৷ এতে আপনার শরীরের ভিতরের জমা টক্সসিন্স ক্রমাগত বেরোতে থাকবে৷ জল ছাড়া আপনি ফলের রস, সব্জির রস, লেবু জল, মধু যুক্ত জলও পান করতে পারেন৷ এই সমস্ত নিয়ম আপনাকে দীর্ঘ আয়ু দিয়ে থাকবে৷ অর্থাৎ খাওয়া-দাওয়া ভালো হলে আপনি সুস্থ থাকবেন৷

ব্যায়াম

শারীরিক ফিটনেসের জন্য ব্যায়াম খুবই দরকার৷ আপনি যোগ, প্রাণায়াম ইত্যাদি নিজের জীবনে যুক্ত করতে পারেন৷ দীর্ঘ আয়ুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্যায়াম৷ আপনাকে প্রতিদিন সকালে উঠে কম করে ৩০ মিনিট ঘুরে আসতে হবে৷ এই ক্রমে আপনি মাঝে-মাঝে দৌড়াতেও পারেন৷ এমন বলা হয় যে, যারা ব্যায়ামকে নিজের জীবনে অভ্যাসে পরিণত করেছেন, তারা কোনওদিন রোগাক্রান্ত হন না৷

চাপমুক্ত থাকা

মানসিক চাপ যুক্ত ব্যক্তি নিজের কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন না৷ যে ব্যক্তি মানসিক অবসাদে ভোগেন তারা কালের গ্রাস হয়ে থাকে৷ চাপমুক্ত থাকার জন্য মেডিটেশন করা হয় ও তার সঙ্গে খোলামেলা পরিবেশে থাকাও খুব প্রয়োজন৷ যদি আপনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে থাকেন তাহলে নিজের আচরণে পরিবর্তন আনতে পারেন৷


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *