কিভাবে তৈরি করবেন নিজের ভবিষ্যত, পাবেন চাকরি / How to create your own future, get a job

নবযুবক বা যুবতীদের কাছে কেরিয়ার গঠন করা একটি বড় সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ৷ অনেক ব্যক্তির যোগ্যতা থাকা সত্বেও মনের মতো চাকরি পান না৷ জ্যোতিষীর দ্বারা এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে৷

জন্মছক দেখে এই নিয়ম করা যেতে পারে৷ জন্মছকে তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, দশম ও একাদশ স্থানে চাকরি এবং আয়ের সঙ্গে যোগ থাকে৷ যদি এই স্থানগুলিতে যদি কোনও অসুবিধা থাকে বা শুভগ্রহের দৃষ্টি না পড়ে বা কোনও অশুভ গ্রহ বর্তমান থাকলে তা জাতক বা জাতিকার পক্ষে রোজগারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়৷

বিশেষ করে পঞ্চম এবং সপ্তম গ্রহ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকা উচিত৷ এছাড়া কিছু ছোট ছোট নিয়ম করলেও এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়৷ এজন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পঞ্চম এবং সপ্তম স্থানে অবস্থিত অশুভ গ্রহের নিবারণ করুন৷ রাম রক্ষা কবচের পাঠ করুন৷ গণেশের বিগ্রহ দর্শন করুন৷ গরুকে বৃহস্পতিবার সবুজ চারাগাছ খেতে দিন৷ বিকালে শিবমন্দিরে প্রদীপ জ্বালান৷

২৷ মহিলারা কিভাবে তৈরি করবেন নিজের ভবিষ্যত?

ভবিষ্যত গড়ার জন্য মহিলাদের এখন প্রত্যেক জায়গায় প্রচুর সুযোগ-সুবিধা রয়েছে৷ কিন্তু কোন জায়গায় তারা সফল হবেন, এটি জ্যোতিষশাস্ত্রের সাহায্য জানা যেতে পারে৷ জন্মছক, নয়ন্স, ত্রিশান্স এর সহযোগিতায় সে সম্পূর্ণভাবে লাভ পেতে পারে বা সফল হতে পারে অর্থাৎ তাকে কোন পথে যেতে হবে৷ কেরিয়ারের জন্য সপ্তম, পঞ্চম, দশম এবং একাদশ ভাব মনে করা হয়৷ এই স্থানে সূর্য, বুধ, শুক্র,বৃহস্পতি, শনি ভালো কেরিয়ারের পথের সন্ধান দেয়৷ শনি কম্পিউটার, ইঞ্জিনিয়ার এবং সিনেমা ক্ষেত্রে লাভদায়ক হয়৷ রাহু যদি একাদশ ঘরে অবস্থান করে তাহলে বার-বার চাকরি এবং ব্যবসা ক্ষেত্রে পরিবর্তন হয় ও কখনও এক জায়গায় থেমে কাজ করতে পারে না৷ ভালো কেরিয়ারের জন্য যদি আপনি সম্পূর্ণ ভাবে যোগ্যও  হন তবুও পছন্দ মতো কাজ পাচ্ছেন না তাহলে বিধি অনুযায়ী এই নিয়মগুলি করুন—

শ্রীরামরক্ষাস্তোত্র পাঠ করুন বা করান৷

শ্রী মহাকালির পুজো করুন৷

কম করে ৫ জন গরিব ব্যক্তিকে খাওয়ান৷

শনিবারে কালো কুকুরকে দুধ খাওয়ান৷

বেশিরভাগ সময় সাদা বস্ত্র পরিধান করুন৷

লাল রং মিশ্রিত চপ্পল বা জুতো পড়ুন৷

লাল রং যুক্ত গহনা পরিধান করুন৷ যেমন নেকলেসে লাল রত্ন৷ 

শুঁড় যুক্ত সিদ্ধি বিনায়ক শ্রী গণেশকে দর্শন করে বাড়ি থেকে বেরোন৷

অদৃশ্য হওয়া সম্ভব৷

আমরা জানি কোনও বস্তু দেখার জন্য আলোর দরকার হয়৷ এই কারণেই সূর্যকে আলোর দেবতা বলা হয়েছে৷ যখন আলোর কিরণ কোনও বস্তুর উপর পরে তখন তা প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে আসে, চোখের মণিতে ধাক্কা খেয়ে এই কিরণটি একটি নিশ্চিত দূরত্বে তার প্রতিবিম্ব তৈরি করে৷ এই প্রতিবিম্বের সাথে আমাদের যে স্নায়ু যুক্ত থাকে তা থাকে মস্তিকে, এর ফলে ওই বস্তুকে আমরা দেখতে পাই৷ কিন্তু যৌগিক সাধনা জানবার জন্য এই ক্রিয়াটি সঠিক নিয়ম অনুসারে করতে হয়৷ প্রকৃত যোগী এমন এক শক্তির অধিকারী হন যে তিনি সশরীরে উপস্থিত হওয়া সত্ত্বেও তাকে কেউ দেখতে পায় না৷ যোগীর ভাষায় এই ক্ষমতাকে বলা হয়ে থাকে অন্তর্ধান৷ যোগী নিজের সিদ্ধিলাভের সাহায্য নিজের শরীরের রং এমনভাবে বদলে নেন যে তার শরীরে আলোর প্রতিফলন হয় না৷ ফলে অন্যের চোখে তার প্রতিবিম্ব তৈরি  হয় না৷ এই কারণেই সেই যোগীকে কেউ দেখতে পায় না৷ এছাড়া যোগশাস্ত্রতে অদৃশ্য হবার একটি অন্য নিয়মও বলা হয়েছে৷ সিদ্ধ যোগী পঞ্চ তত্ত্ব দ্বারা তৈরি শরীরের অনু-পরমাণু আকাশে বিস্তৃত করে সূক্ষ্ম শরীরের রূপ ধারণ করে নেয়৷ এই সূক্ষ্ম শরীর কেউ দেখতে পায় না৷ যোগী সূক্ষ্ম শরীরে অল্প সময়ে অনেক দূর পর্যন্ত যেতে আসতে পারে৷ সিদ্ধ যোগীদের কাছে এরকম অনেক অদ্ভুত ক্ষমতা থাকে৷ এই অদ্ভুত ক্ষমতা কোনও জাদু অথবা চমৎকার নয়৷ এই সিদ্ধি একটি নিশ্চিত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার মত কাজ করে৷


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *