জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনও শুভ নক্ষত্রতে শিকড় নিয়ে সিদ্ধ করার পর পূজা,ধুপ-দীপ ইত্যাদি দিয়ে পরিপূর্ণ ভাবে শুদ্ধ করুন। এর জন্য কোনও অভিজ্ঞ ব্রাহ্মণ দ্বারা নিজের কুণ্ডলীর উপর ভিত্তি করে চন্দ্রের শুভ অবস্থানের খোঁজ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে সেই দিনটি যেন শনিবার হয় ও তার সঙ্গে চৌথ নবমী ও চতুর্দশী তিথি হওয়াটা আবশ্যক।
শনিবার দিন সূর্য উদয়ের আগে নিয়মানুসারে অশ্বথ গাছের শিকড় নিয়ে আসুন (শুক্রবার বিকালে এটিকে নিমন্ত্রণ দিয়ে আসতে হবে।) শনিবারে শিকড়টিকে দেব প্রতিমা মনে করে আরাধনা করুন। পঞ্চামৃত পূজার সাহায্যে এই শিকড়টি তান্ত্রিক শক্তিসম্পন্ন হয়ে যায়। তারপর এটিকে ধারণ করলে সাধকের রোজগারের পথটি সুগম হয়ে যায়। ধারণ করার জন্য ভুজপত্র দিয়ে মুড়িয়ে নিয়ে লাল বস্ত্রের তাবিজের মত সেলাই করে নিতে হবে।
হাতির হাড়ের সাহায্য তন্ত্র প্রয়োগ
- কোনও শুভ মুহূর্তে তান্ত্রিক বিধি নিয়মে হাতির হাড় নিয়ে বিধিসম্মত ভাবে মন্ত্র সিদ্ধির পরে মৃগী রোগগ্রস্ত ব্যক্তির ডান হাতে বেঁধে দিলে সে রোগমুক্ত হয়ে যায়।
- হাতির মলকে বারোআনা ভারযুক্ত রুপার তাবিজে ভরে শিশুদের পরিয়ে দিলে সে ভুত-প্রেত ও জাদু -টোনার প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে যায়।
- হাতির দাঁতকে চূর্ণ করে পাউডার তৈরী করে ও এটিকে আগুনে ঝলসিয়ে এর ধুনো কোনও গাছে দিলে সেই গাছটি পোকা-মাকড় থেকে মুক্ত হয়ে যায়। এই ধুনোটি আবার বাড়িতে দিলে মাছি ও মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ঘোড়ার সাহায্যে তন্ত্র প্রয়োগ
- ঘোড়ার মলকে জ্বালিয়ে নিয়ে ভস্ম তৈরী করে মাথায় মালিশ করলে চুলের বৃদ্ধি হতে থাকে। এতে চুলের সমস্ত রোগ দূর হয়ে চুল স্বচ্ছ ও উজ্জ্বল হয়ে যায়।
- প্রসূতি স্ত্রীদেরকে ঘোড়ার মলের ধুনো দিলে সে প্রসব যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেয়ে যায় ও সন্তানের জন্ম সহজেই হয়ে যায়।
- ঘোড়ার একটি প্রজাতি খচ্চর হয়ে থাকে। তান্ত্রিক নিয়মে খচ্চরের দাঁতকে ধুপ-দীপ দিয়ে লক্ষ্মী মন্ত্রের সাহায্যে অভিমন্ত্রিত করুন ও এটিকে পকেটে রাখলে কখনও পকেট খালি থাকবে না অর্থাৎ অর্থাভাব থাকবে না।
- অনেক সময় দেখা যায় যে শিশুরা শোবার সময় দাঁত কটকট করতে থাকে। তন্ত্রের নিয়মে শোবার সময় ঘোড়ার দাঁত মাথার কাছে রেখে দিলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।