কার্যে সফলতার টোটকা / Totka for Success of Work

কার্যে সফলতা অথবা কার্যে কুশলতার নিশ্চিত গ্যারান্টি দেবার বিচার বুদ্ধি টোটকা থেকে হয়৷ ছোট-ছোট টোটকা আপনার বুদ্ধি আর বিচারের উপর সোজা প্রতিক্রিয়া করে৷ আপনার বিচার-বুদ্ধি বাড়ায়৷ এই সরল ক্রিয়া যা টোটকার নামে করা হয়েছে, আপনাকে নিশ্চিত অতিরিক্ত শক্তি প্রদান করবে৷ যাতে ঠিক সময়ে আপনি উচিত বোধশক্তির সাথে কাজটি করতে পারবেন৷ ফলতঃ আপনার সফলতা নিশ্চিত৷ যেমন পৌষ্টিক পদার্থের সেবন করলে মানুষের স্বাস্থ্য ভালো থাকে,

শরীরে শক্তি হয়৷ ঠিক সেই ভাবে মস্তিকের বুদ্ধিরও খোরাক চাই যাতে ঠিক সময়ে উচিত বোধ বিচারের সাথে সফলতা প্রাপ্ত হয়৷ এই টোটকাটি বাস্তবে আপনার বুদ্ধিটি প্রখর করার জন্য৷ আপনার বিচার-বুদ্ধিকে উপযোগী আর প্রভাবশালী করবার জন্য মানসিক ঔষধির কাজ করে৷ এতে আপনি নিজের কার্যে অব্যশই সফল হবেন৷ এটি একটি বাস্তব সত্য কথা৷ এই তথ্যের উপর নির্ভর করে এই প্রমাণিত ও পরখ করা কিছু সামগ্রী প্রস্তুত করা হলো—

রবিবার দিন পুরোনো অফিস থেকে যে কোনও লোহার বস্তু নতুন সংস্থায় এনে রেখে দিন৷ রাখার আগে অল্প পরিমাণে ওই স্থানে কালো গোটা বিউলির ডাল দিয়ে দিন৷ এটা মনে রাখতে হবে যে বস্তুটি বার-বার সরানো না হয়৷ এই ক্রিয়াটি করলে পুরোনো শিল্পের সাথে নতুন শিল্পটিও ভালোভাবে চালিত হবে৷

কোনও একটি দেওয়ালির রাতে কাঁচা সুতো নিয়ে আসুন৷ মা লক্ষ্মীর সামনে বসে শ্রদ্ধাপূর্বক বিতরণ করুন৷ গুঁড়ো কুমকুমের ছিটা লাগান৷ এরপর ব্যবসার স্থানে কোনও  উপরের দিকে টাঙিয়ে দিন৷ চেষ্টা করবেন প্রত্যেক দেওয়ালীতে এই ক্রিয়া ঠিকমতো যেন করা হয়৷ এরকম করলে অংশীদারিত্ব বজায় থাকবে৷

কোনও শনিবার কর্মস্থলে যাওয়ার সময় যদি রাস্তায় পরে থাকা পেরেক দেখতে পেলে তা তুলে নিন৷ এরপর এই পেরেকটি সর্বপ্রথম মহিষের মূত্র ও গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে ওই পেরেকের প্রভাবে কর্মচারীর অকস্মাৎ পালানো বন্ধ হয়ে যাবে৷

ব্যক্তি বিশেষে অথবা দলের মধ্যে থেকে সেই ব্যক্তির জুতো যেটা আলাদা পরে আছে, নিয়ে এসে জলে ডুবিয়ে দিন৷ তাদের ঝগড়া শুরু হয়ে যাবে আর ততক্ষণ থাকবে যতক্ষণ ওই জুতোটি জলে ডোবানো থাকবে৷

সকালবেলা সূর্য যতক্ষণ থাকবে, তখন আপনি এই টোটকাটি করতে পারেন৷ সূর্য যখন অস্ত যাবে তখন এই টোটকাটির প্রভাব থাকবে না৷ সর্বপ্রথম আপনি সূর্যকে প্রণাম করুন ও কাঁচা সুতো নিয়ে তাতে নিম্ন মন্ত্রটি পড়ার পর সাতটি গিঁট লাগান৷ এরপর আপনি এই সুতোটাকে তাবিজের সামনের পকেটে রেখে চলে আসুন৷ অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত হবে ও সেই দিন থেকে কাজ হতেই থাকবে৷ মন্ত্রটি এই প্রকার— ‘ওঁ গাং গাং গণপতয়ে নমঃ৷’

মঙ্গলবার দিন লাল প্রবাল নিয়ে আসুন৷ ওই দিনেই সেটি সাঁকরাকে দিয়ে গড়িয়ে নিন৷ এর পর ‘শ্রী রাম দুতায় হনুমতয়ে নমঃ’ জপ করে পরিধান করুন৷ আমার পূর্ণ বিশ্বাস যে আলস্য শরীর থেকে দূর হয়ে আপনার কার্য ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে৷

বৃহস্পতিবার দিন সাতটি গোটা হলুদ, সাতটি পৈতা, সাতটি ছোট সুপারি,সাতটি হলুদ ফুল, সাতটি ছোট-ছোট গুড়ের টুকরো, ৭-১৫ টি যন্ত্রম (কোনও যোগ্য তান্ত্রিকের সাহায্য বানিয়ে নিন)৷ এই সব বস্তুগুলিকে একত্রিত করে হলুদ কাপড়ে বেঁধে কোনও স্থানে রেখে দিন৷ এরপর সাতটি ছোট বাচ্চাকে (যাদের বয়স ১২ বছরের কম) অল্প পরিমাণে হলুদ বরফি ও কিছু পয়সা দিয়ে বিদায় করুন৷ কাপড়ের পুটলিটা ঘরের কোনও স্থানে ব্যক্তিগত জায়গায় রেখে দিন৷ এই টোটকার দ্বারা আপনার অসফল কার্য সফল হবে৷

দুটি গোটা ফুলযুক্ত লং ও আর একটি কর্পূরের টুকরা নিয়ে নিন৷ এটিকে তিন বার মন্ত্র দ্বারা অভিমন্ত্রিত করে নিন৷ এরপর এটিকে জ্বালিয়ে দিন৷ মনে রাখবেন জ্বালানোর সময় আপনার মুখ যেন পূর্ব দিকে থাকে৷ তার সাথে সাথে গায়েত্রী মন্ত্রের ক্রমাগত উচ্চারণ করতে থাকুন৷ এরপর যে ভস্মটি তৈরি হবে সেটিকে কোনও কাগজে মুড়ে নিন৷ দিনে দুবার এই ভস্ম নিজের জিভে লাগান৷ সমস্ত বাধা দূর হয়ে যাবে৷

যদি কোনও ব্যক্তি আপনার কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে তাহলে সকালে উঠেই উক্ত ব্যক্তির নাম নিয়ে কুকথা বলুন আর তারপর ভূজ্যপত্রে সেই ব্যক্তির নাম কালো কালি দিয়ে লিখুন৷ তারপর সেটিকে নিয়ে গিয়ে শ্মশানে অবস্থিত কোনও অশ্বত্থ গাছের নিচে গভীর ভাবে পুঁতে দিন৷ আপনার সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর হয়ে যাবে৷

যে কোনও দিন রাত্রি প্রায় ১২টার সময় নিজের টিক্কির একটু চুল কেটে নিজের কাছে রেখে দিন৷ পরের দিনও একই সময়ে উক্ত ক্রিয়াটি করুন৷ এটি করতে করতে যখন পাঁচদিন হয়ে যাবে তখন রবিবার এই চুলগুলিকে জ্বালিয়ে বাইরে ফেলে দিন৷ সম্ভব হলে পা দিয়ে ভালোভাবে পদপিষ্ট করে দিন৷ বাচ্চারা ধীরে-ধীরে প্রখর বুদ্ধির অধিকারী হাতে পারবে৷ যদি সম্ভব হয় তাহলে এই মন্ত্রটির উচ্চারণ করুন—‘ওঁ হ্রীং ঐং হ্রীং সরস্বত্যৈ নমঃ৷’

You may also like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *