এই প্রবন্ধে , আমি একটি এমন যন্ত্রম সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি , যে যন্ত্রমটি প্রকৃতপক্ষেই টাকা পয়সার অভাব , দুঃখ দারিদ্র দূর করার জন্য একটি সহজ ও সরল এবং খুবই প্রভাবশালী একটি যন্ত্রম ।যন্ত্রমটি বহু প্রাচীন একটি যন্ত্রম, বহু ব্যবহৃত এবং সত্যিকারেই আশু ফলপ্রদ। যিনি আর্থিক ভাবে ক্রমশই দুর্বল হয়ে পড়ছেন এবং শত চেষ্টা করেও আর্থিক দারিদ্র থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শত চেষ্টা করেও মুক্তি পাচ্ছেন না, তিনি নিয়ম করে এইযন্ত্রমটি ধারণ করলে অবশ্যই আর্থিক অভাব ও দারিদ্র থেকে মুক্তি পাবেন।
আমরা জানি, টাকা পয়সা যে ব্যক্তির নেই বা আর্থিক বিষয়ে যে কমজোরি , সেই ব্যক্তি জীবন সংগ্রামে পিছিয়ে পড়েন এবং তাঁর জীবন টি অগোছালো ও সংঘর্ষ পূর্ণ হয়ে যায়। এই বিষয় টি যেমন অসহনীয় তেমনই অতীব যন্ত্রণাদায়ক। এই ভাবে চলতে থাকলে ওই ব্যক্তি মানসিক ভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন, হিতাহিত জ্ঞান তাঁর আর থাকে না। এমন অবস্থায় এই যন্ত্রমটি নিয়ম করে তৈরি করে, ধারণ করলে সেই ব্যক্তি টাকা পয়সার অভাব , দুঃখ দারিদ্র থেকে অবশ্যই পরিত্রান পাবেন এ বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।
এই আর্থিক অভাব ও ঋণমুক্তির অতীব শক্তিশালী যন্ত্রমটি ঋণ থেকেও মুক্তি দিয়ে থাকে। আমাদের জীবনে বহু মানুষেরই ঋণ থাকে, আর্থিক ঋণের জালে জড়িয়ে মানুষের অবস্থা হয় শোচনীয়। ঋণগ্রস্থ বহু মানুষের ঋণের বোঝা আবার ক্রমশই বৃদ্ধি পেতে থাকে। ঋণের নাগপাশে জড়িয়ে গিয়ে তাঁদের নাভিশ্বাস উঠতে থাকে। এই বিশেষ যন্ত্রমটি টাকা পয়সার অভাব , দুঃখ দারিদ্র দূর করার সাথে সাথে মানুষকে ঋণের বোঝা থেকেও মুক্তি দেয়। যন্ত্রমটির আরো একটি বিশেষ শক্তি আছে , সেটি হল , যন্ত্রমটি সঠিকভাবে তৈরি করে ধারণ করলে, ব্যবহারকারীর আর্থিক ঋণের জালে জড়িয়ে পড়তেও হয় না।
এইবার আসি যন্ত্রমটি তৈরি করার প্রসঙ্গে, যে কোনও মাসের শুক্লপক্ষের শুভতিথিতে সকল ৬ টা থেকে ৮ টার মধ্যে বা সন্ধ্যা ৭ টা থেকে – রাত্রি ৯টার মধ্যে যন্ত্রমটি তৈরি করতে হবে, শুক্লা দ্বিতীয়া , দশমী,দ্বাদশী তিথি ও সোম,বৃহস্পতি,শুক্র, বার হলে ভালো হয়। অষ্টগন্ধ কালি ও ডালিমের কলম দিয়ে ভুজ্যপত্রের উপর, পশ্চিমদিকে মুখ করে বসে যন্ত্রমটি লিখতে হবে। যন্ত্রমটি শুকিয়ে গেলে যন্ত্রমটিকে পূজা করে ও লোবানের ধোঁয়া দিয়ে, সোনা বা রূপার তাবিজে ভরে গলায় এ পুরুষেরা ডানহাতে ও মহিলাগণ বামহাতে ধারণ করবেন।
