তথ্যমূলক ও শিক্ষামূলক টোটকা/ Informational and Educational Totka

এই প্রবন্ধে আমি কয়েকটি সহজ-সরল কাজের জন্য টোটকা সংক্রান্ত তথ্য আলোচনা করছি। কাজের বিষয়ে যে সমস্ত বাধা বিঘ্ন উপস্থিত হয়,সেগুলি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য ভারতীয় তন্ত্রে এইসব তথ্যমূলক ও শিক্ষামূলক টোটকা, আমি পাঠক হিসাবে আপনার দোরগোড়ায় উপস্থিত হয়েছি। আশা করি, আপনি এগুলি জেনে সমৃদ্ধ হবেন।   

ক্লান্তির জন্য

ভ্রমণ থেকে আসার পর ক্লান্তি ভাব আসলে নিজের পা দুটি ভালো করে ধুয়ে নিম্ন মন্ত্রের জপ করুন৷ পায়ের চেটোতে হালকা-হালকা হাত বোলান ও বলুন ‘ওঁ বাসুদেবায় নমঃ’৷ কিছুক্ষণ পর শরীরে চনমনে ভাব আসতে শুরু করবে৷       

সন্তান প্রাপ্তির জন্য

শুক্রবার দিন ছোলার আটার দুটি রুটি বানিয়ে তার উপর শুকনো সব্জি রেখে কোনও দরিদ্রকে খাওয়ান৷ এই ক্রিয়াটি সাতবার করলে সুস্থ সন্তান জন্মগ্রহণ করবে৷ সোমবার দিন গর্ভবতী স্ত্রী দেশি কর্পূরের একটি টুকরো নিন৷ এর অর্ধেক অংশটি ভেঙে জ্বালিয়ে দিন ও অর্ধেক অংশটি শিবের মন্দিরে রেখে দিলেও সুস্থ সন্তান হয়৷ গোশালায় গরু দান করলেও সন্তানের জন্ম হয়৷ কুমারী মেয়ের চরণ ছুঁলেও সন্তানের জন্ম হয়৷ শুক্রবারে আটাতে ছানা মিশিয়ে গরুকে খাওয়ান৷ এতেও সন্তানের জন্ম হয়৷

শিশুদের রক্ষার জন্য

শিশুদের দুধ খাওয়ানোর আগে দুধ বাড়িতে তৈরি করে মন্দিরে রেখে দিন৷ তারপর শিশুটিকে দুধ পান করালে সহজেই হজম হয়ে যায়৷

একটি দেশি কর্পূরের টুকরো নিন৷ সেটিকে শিশুটিকে দিয়ে চাটিয়ে নিন৷ বাকি অংশটি হনুমানজির মন্দিরে রেখে আসুন৷

শিশু দুধ না খেলে

অল্প পরিমাণে দুধ নিন৷ এটি শিশুটির মাথায় ২১ বা ঘুরিয়ে কালো কুকুরকে খাইয়ে দিলে শিশুটি দুধ খাওয়া শুরু করে দেবে৷

কিছু অন্য টোটকা

আশ্লেষা নক্ষত্রতে ধুতরা ফুলের মূল বাড়িতে রাখলে সর্প ভয় থাকে না৷ 

পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্রতে বহেরা পাতা নিয়ে বাড়িতে রাখলে ব্যাভিচার প্রয়োগের প্রভাব থাকে না৷

উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্রতে লেবুর মূল নিয়ে গরুর দুধের সাথে পান করলে পুত্র সন্তান প্রাপ্তি হয়৷

হস্ত নক্ষত্রতে চম্পার মূল নিয়ে শিশুদের গলায় ধারণ করালে নজর লাগে না৷

অনুরাধা নক্ষত্রতে যুঁইয়ের মূল গলায় ধারণ করলে শত্রু বন্ধুতপূর্ণ ব্যবহার করেন৷

শ্রাবণ নক্ষত্রতে ক্যাস্টর মূল নিয়ে স্ত্রীকে পরিয়ে দিলে সে গর্ভধারণ করে৷

কৃতিকা নক্ষত্রতে পেঁয়াজের পাতা নিয়ে গরুর দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে সমস্ত রোগ সেরে যায়৷

পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্রতে তুলসির মূল নিয়ে মাথায় রাখলে অগ্ণি ভয় থাকে না৷

উত্তরভাদ্রপদে অশ্বত্থ গাছের মূল নিয়ে গলায় ধারণ করলে বিজয়ী হওয়া যায়৷ অশ্বত্থ গাছের নীচে বসে হনুমানজির পুজো, মঙ্গলবারে উপবাস, রাত্রিতে একলা শয়ন, ব্রহ্মাচার্য ও মন্ত্রের নিয়মিত জপ ‘ওঁ হ্রীং হনুমতে রামদুতেও নমঃ’ করলে হনুমানজির দর্শন হয়ে যায়, কিন্তু এই সাধনাতে সাধককে সাহসী, ব্রহ্মচারী, সংযমী হতে হবে৷ হনুমানজি স্বপ্ণতে এসে দর্শন অবশ্যই দেবে৷

অশ্বিনী নক্ষত্রের দিন বিল্বপত্রের সাথে একটি রঙিন গরুর দুধ মিশিয়ে খাওয়ালে স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হয়৷

অশ্বিনী নক্ষত্রতে অপাঙের মূল নিয়ে যন্ত্রমে ভরে সভায় গেলে সভা অবশ্যই সফল হবে৷

ভরণী নক্ষত্রতে সিভিলিয়ান লতার গুল্ম নিয়ে চুন, সুপারি দিয়ে চুরি হওয়া স্থানে রেখে দিলে চুরি হওয়া দ্রব্যর সন্ধান শীঘ্র পাওয়া যায়৷

আর্দ্রা নক্ষত্রতে আকন্দ গাছের মূল নিয়ে যন্ত্রমের মতো গলায় ধারণ করলে যা বলবেন সেটাই মান্যতা প্রাপ্ত হবে৷

পূনর্বসু নক্ষত্রতে ছাগলবটি বা দুধিলতা বা অজশ্রীঙ্গি মূল নিয়ে শরীরে লেপন করলে উপকার পাওয়া যায়৷

কুণ্ডলীতে চন্দ্র অশুভ হলে পরিবারিক অশান্তি, অর্থের ঘাটতি ও কার্য সঞ্চালনে অসুবিধা হয়৷ এরকম কোনও অসুবিধা হলে রবিবার রাতে শোবার সময় রুপোর গ্লাসে অল্প পরিমাণে কাঁচা দুধ রেখে মাথার কাছে রেখে শুয়ে পড়ুন৷ সোমবার সকালে এই দুধটি বাবলা গাছের নীচে রেখে আসুন ও ফল অনুভব করুন৷

যাদের বারে-বারে জ্বর আসে তাদের শোল মাছ স্পর্শ করিয়ে কোনও চৌরাস্তায় ফেলে দিলে জ্বর ভালো হয়ে যায়৷

হরিণের বাম চোখটি তাবিজের সাথে মুড়িয়ে কালো সুতোর দ্বারা নিজের ডান হাতে বাঁধার পর যে স্ত্রীর কাছে যাবেন সেই মন্ত্রমুগ্দ হয়ে যাবে৷

গাধার দাঁত পকেটে রাখলে সেই ব্যক্তির কোনওদিন আর্থিক সঙ্কট থাকে না৷

হাতির মলকে রুপোর তাবিজে ভরে কোনও শিশুর গলায় সেই তাবিজ পরিয়ে দিলে সেই শিশুটির উপর কোনও খারাপ হাওয়া-বাতাস লাগে না৷

কুকুরের দাঁত তাবিজে ভরে শিশুদের গলায় পরিয়ে দিলে দাঁত বেরোনোর সময় নানারকম অসুবিধা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷

কুকুরের মূত্রের সাথে মাটি ভিজিয়ে তার গোল্লা বানিয়ে নিন৷ জ্বর-পীড়িত বাক্তিদের গলায় কাপড়ের সাহায্য এটি পরিয়ে দিলে সে সমস্ত রকমের রোগ থেকে মুক্ত হয়ে যায়৷

কালো বিড়ালের দাঁত তাবিজে ধারণ করা বাক্তিকে কখনো কোনও সঙ্কটের সম্মুখীন হতে হয় না৷

You may also like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *