নানা সমস্যার কার্যকরী টোটকা / Effective totka for various problems

প্রিয় পাঠকগণ, টোটকা এমন একটি বিজ্ঞান যাতে সন্তুলিত, সময়বদ্ধতা ক্রমাগত প্রয়োগ করলে সমস্যার সরলভাবে নিরাকারণ করা সম্ভব হয়৷ যে ক্রিয়া আমাদের কার্য সিদ্ধ করে আর যেটা আমাদের বোধশক্তির বাইরে সেটাকে আমরা অলৌকিক বলে আখ্যা দিই৷ এমন প্রয়োগ যা অল্প সময় ও পরিশ্রমের দ্বারা করা হয় ‘‘টোটকা’’ বলা হয়৷ এর পেছনে দুটো সিদ্ধান্ত মনে রাখতে হবে৷ প্রথমতঃ এটা করার সময় কেউ ব্যাঙ্গ করবে না আর দ্বিতীয় এর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা, এবং আস্থা মনে জাগ্রত  থাকবে৷

যদি শিরায় শিরা উঠে যায় তো কোনও এমন শিশুর পা পিঠে চাপানো উচিত যারা বিপরীত পায়ে জন্মগ্রহণ করেছে৷

নজর লাগা প্রভাবিত শিশুর উপর লবণ ও লঙ্কা জ্বালিয়ে চক্রাকারে ঘুরিয়ে দিলে শিশুটি ঠিক হয়ে যায়৷

গ্রামাঞ্চলে শিশুদের গলায় নজরকাঠি পরানো অথবা তাদের মাথায় কাজলের টিকা লাগিয়ে নজরের কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করা আপনারা সবাই জানেন৷

ছোট শিশুদের দাঁত বেরোতে অনেকসময় পীড়া উৎপন্ন হয়৷ কখনো কখনো পীড়ায় জর্জরিত হয়ে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পরে৷ এর জন্য শিশুর গলায় রুই মাছের পাঁচটি দাঁত সুতায় বেঁধে ঝুলিয়ে দিন৷

কখনো কখনো শিশুরা ঘুমন্ত অবস্থায় হঠাৎ চমকে উঠে কাঁদতে শুরু করে৷ এরকম হলে শিশুর গলায় রসুনের চার কোয়া সুতোয় বেঁধে ঝুলিয়ে দিন৷ শিশুরা ভয় পাবে না৷ কারোর ক্ষতি করার জন্য অনেক ধরনের টোটকার ব্যবহার করা হয়৷ আমি এখানে এসব বিস্তারিত আলোচনা করবো না কারণ আমি সর্বদা ভালো করার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি৷

কারোর ক্ষতি করার জন্য অনেক ধরনের টোটকার ব্যবহার করা হয়৷ আমি এখানে এসব বিস্তারিত আলোচনা করবো না কারণ আমি সর্বদা ভালো করার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি৷

ভারতবর্ষে অনেক ধরনের বনস্পতি রয়েছে যার মধ্যে কিছু জীবনদায়ী হয় আর কিছু সংহারকও হয়৷ আজকের পর্যবেক্ষণের কারণে বনস্পতি ঔষধী রূপে অবশ্যই প্রভাবিত হচ্ছে, কিন্তু তন্ত্রতে তার স্থান ও প্রভাব আজও ততটাই আছে৷

সর্বপ্রথম আমি গাছের চারার বর্ণনা করছি যেটা সঠিক বার ও নক্ষত্রতে এনে পূজা-পাঠ দ্বারা লাভবান হয়৷ এর জন্য আপনাকে কোনও বড় পূজা-পাঠ বা হবনের আয়োজন করতে হবে না৷ আপনি সাধারণ পূজা-পাঠ করেও লাভবান হাতে পারেন৷

সহদেবী—এটা একটি বনস্পতি৷ এর চারা খুব সহজেই পাওয়া যায়৷ তান্ত্রিক দৃষ্টিতে এটা অনেক লাভদায়ক ও অলৌকিক হয়৷  

চারা গাছের শিকড় আনার আগে কোনও শুভ যোগে একদিন আগে চারাকে নিমন্ত্রণ দিন৷ এটা বলতে হবে যে ‘উক্ত’ সময়ে আপনাকে নিতে আসবো৷ যে ইচ্ছাতে শুভ কার্য সিদ্ধির জন্য আপনাকে নিতে আসবো, আপনার আশীর্বাদে সেই মনোস্কামনা অবশ্যই সিদ্ধ বা পূর্ণ হবে৷ পরেরদিন জল আর মিষ্টি নিয়ে যান৷ জল নিবেদন করে এক টানে জল আর মিষ্টিকে টেনে আনুন৷ বাড়িতে এনে প্রতিমার মত পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করে আসনে প্রতিষ্ঠা করুন৷ তারপর ধুপ ধুনো দিয়ে পূজা করে এই মন্ত্রগুলি বলুন৷ ‘ওঁ নমো রূপাবতী, সর্বপ্রতিতে, শ্রী সর্বজনরঞ্জনি  সর্বলোক বশকরনি সর্বসুখ রঞ্জনী, লক্ষ্মী দয়ানি মহামাইল ঘোল থি কুরু কুরু স্বাহা৷’ ২১ বার জপ করুন৷ 

চারার কাছে যাবার পূর্বে পূজন বিধি পর্যন্ত শান্ত থাকতে হবে৷ পূজা সমাপ্ত হইবার পর শিকড়টিকে লাল শালুতে মোড়ক করে সিন্দুক অথবা অন্য ভাণ্ডারে রাখলে ধনের উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকবে৷

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *