বশীকরণের প্রভাবশালী টোটকা    / Powerful Vasikaran Totka    

 যে মহিলা স্বামীর সাথে কথায়-কথায় ঝগড়া করতে থাকে অথবা কোনও কুসঙ্গের কারণে খারাপ মহিলা অথবা ব্যক্তির কবলে পড়ে যায় তাহলে নিম্নলিখিত টোটকাটি করুন। প্রভুর কৃপায় প্রত্যেক সমস্যার সমাধান হয়ে জীবন সুখময় হয়ে উঠবে। 

১ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাত্রে বারোটার সময় স্বামীর মাথা থেকে কিছুটা চুল গোপনে কেটে সেটিকে   নিজের কাছে রেখে দিন। স্বামী শুভবুদ্ধিসম্পন্ন হবে। এর পরেও সে যদি বশে না আসে,তাহলে সেই চুলগুলি জ্বালিয়ে বাইরে ফেলে পয়সার সাহায্যে জ্বালানো ছাইটি ঘষে দিন। এইভাবে কাজটি করলে সে অবশ্যই বশে চলে আসবে। 

২ গ্রহণ অথবা দীপাবলির রাত্রে নিম্ন মন্ত্রটি ২১০০০ বার জপ করে শুদ্ধিকরণ করে নিন। যখনই আপনি কোনও ব্যক্তিকে বশে করতে চাইবেন,তাকে যে কোনও একটি মিষ্টি খাদ্যবস্তু নিম্ন মন্ত্রের সাহায্যে অভিমন্ত্রিত করে খাইয়ে দিতে হবে। সে বশে চলে আসবে। মন্ত্রটি নিম্নরূপ——-

“নাম নাথয় নাথয় মোহয় মোহয়

আকর্ষয় আকর্ষয় দাসানুদাসং কুরু কুরু 

বংশ কুরু কুরু স্বাহা।”

১ কালো কুঁচের কিছু দানা মধুতে ডুবিয়ে রেখে দিন ও এই কাজটি করার সময় যে ব্যক্তিকে বশীকরণ করতে হবে,তাকে স্মরণ নিরন্তর করতে থাকুন। বশীকরণ শুদ্ধিকরণ হয়ে যাবে। 

২ অমরবেল রৌদ্রে শুকিয়ে নিয়ে ভালো করে বেঁটে শুদ্ধ গোরোচন ও কালো হলুদ মিশিয়ে এটিকে তামার তাবিজে ভরে সর্বদা গলায় ধারণ করলে আশ্চর্যরকমের বশীকরণ হয়ে থাকে। 

৩ পেঁয়াজের রস দিয়ে নিজের তর্জনী আঙুলের সাহায্যে উক্ত ব্যক্তির নাম রুটিতে লিখতে হবে,যাকে আপনি বশীকরণ করবেন। লিখবার পরে উক্ত রুটি উক্ত ব্যক্তিকে খাইয়ে দিন। সেই ব্যক্তি আপনার কথামত চলবে। এই কাজটি ক্রমাগত ৯দিন পর্যন্ত্য করুন। 

৪ সম্মোহন ও বশীকরণের জন্য আপনি চন্দনের মত কালো হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। এই টিকাটি অনেকটাই সম্মোহনকারী হয়ে থাকে। টিকার মধ্যবর্তী স্থানে নিজের কনিষ্ঠ আঙুলের রক্ত লাগালে এই কাজটি আরও প্রভাবশালী হয়ে থাকে।

৫ সিঁদুর সাদা পানের রসে বেঁটে তিলক করলে বশীকরণ হয়ে যায়। 

৬ ভুজ্যপত্রে শত্রূর নাম লিখে সেটিকে শুদ্ধ মধুর শিশিতে ডুবিয়ে রাখলে তার বশীকরণ হয়ে যাবে।

৭ অশ্লেষা নক্ষত্রে অর্জুন গাছের ছাল নিয়ে আসুন। এটি কালো ছাগলের মুত্রতে বেঁটে ভালো করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এই গুঁড়ো যার কপালে দেওয়া হবে,সেই বশীভূত হয়ে যাবে। 

৮ পাঁচ প্রকারের ফলের রসের তিলক করলেও বশীকরণ হয়ে থাকে। 

৯ মা সিঁথির সিঁদুরের টিকা নিজের ছেলের মাথায় লাগিয়ে দিলে সে বশে চলে আসবে। ছেলে মায়ের কথামত চলবে। 

১০ পেঁচার মাংস ও অপাঙের শিকড় একসাথে বেঁটে খাওয়ালে তৎক্ষণাৎ বশীকরণ হয়ে যায়।

১১ কুঁচের শিকড় চন্দনের মত মাথায় লাগালে সামনে থাকা ব্যক্তি বশীভূত হয়ে যাবে। 

১২  ভূত-প্রেত রোগগ্রস্ত ব্যক্তির গলায় ১৫ টি কালো রত্তি পরিয়ে দিলে প্রেত বাধা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

১৩ বাড়ির চাকর কাজ ছেড়ে চলে গেলে বা যাবার পরিস্থিতি হলে,যে কোনও শনিবারে বাড়ি থেকে বেরোবার সময় অথবা কাজে যাবার সময় রাস্তা থেকে পেরেক তুলে নিন। এটি গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে যেখানে চাকর-বাকর কাজ করে,সেখানে পুঁতে দিন। এতে চাকর-বাকর কাজ ছেড়ে যাবে না। 

১৪ মাসিক ঋতুস্রাবের তিনদিন পরে ডালিমের খোসা ও সাদা সর্ষে নিয়ে জলে বেঁটে যোনিতে লেপন করলে স্ত্রী নিজের স্বামীকে বশে রাখতে পারবে। 

১৫ পুষ্য নক্ষত্রে জুঁইফুলের শিকড় তাবিজে ধারণ করলে শত্রূও বশে চলে আসে। 

১৬ লোহার একটি টুকরো আগুনে গরম করে জল দিয়ে ঠান্ডা করুন। এইভাবে তিনবার গরম করে পুনরায় ঠান্ডা করুন ও প্রত্যেক বার ঠান্ডা করার সময় বলতে থাকুন, যে ভাবে গরম লোহা জলে ঠান্ডা হচ্ছে,ঠিক সেই ভাবেই উক্ত ছেলেটির প্রেম উক্ত মেয়েটির সাথে যেন ঠান্ডা হয়ে যায়। তারপর সেই জল দিয়ে প্রেমে পাগল রোগীর মুখ ধোওয়ান ও কিছুটা জল তার বক্ষস্থলেও ছিঁটিয়ে দিন। ১৩ দিন পর্যন্ত্য এই কাজটি করলে সে নিজের প্রেমিকাকে ভুলে যাবে।

১৭ বশীকরণের জন্য পেঁচার মাংস ও অপাঙের শিকড় একসাথে বেঁটে খাইয়ে দিলে মহা বশীকরণ হয়ে থাকে। 

১৮  পেঁচার মাংস শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিয়ে এটি কোনও খাবার বস্তুতে মিশিয়ে খাইয়ে দিলে মহাবশীকরণ হয়ে থাকে। 

১৯ হরিনের বাঁ চোখ তাবিজে গেঁথে কালো সুতোর সাহায্যে নিজের ডান হাতে ধারণ করলে প্রবল বশীকরণ হয়ে থাকে। কোনও মহিলার সামনে গেলে সে সম্পূর্ণভাবে বশীভূত হয়ে যাবে। 

২০ একুশ দানা কালো কলাই নিয়ে এতে অল্প-পরিমানে কচ্চি ঘানির সর্ষের তেল ও অল্প মেহেন্দি দিয়ে দিন। এবার দানাগুলি রং করে দিন। এবার যাকে ডাকতে হবে,তার দিকে জোরে ছুঁড়ে দিন। এই কাজটি পাঁচদিন পর্যন্ত্য করতে হবে। 

২১ কাক ও পেঁচার ঠোঁট এই দুটি জিনিসকে একসাথে মিশিয়ে গোলাপ জলে মেশান ও মাথায় তিলক করুন। এবার যে মহিলার কাছে যাবেন,সে সম্মোহিত হয়ে আপনার জন্য নিজের জীবন দিতে পিছপা হবে না। 

আমি এই কাজগুলি করার জন্য কোনোরকম ওকালতি করছি না। কেবল মাত্র তথ্য ও শিক্ষা মূলক উপস্থাপনা হিসেবে প্রকাশিত হল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *