শত্রুদমন করতে তন্ত্রে নানা পথ ও পদ্ধতি আছে, আমি এই প্রবন্ধে এমনই একটি শক্তিশালী তন্ত্র ক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি। এই ক্রিয়াটি খুবই গোপন ও সহজ সরল ক্রিয়া, যেটি কিনা বুধু তন্ত্রের অন্তর্গত একটি কার্যকরী ক্রিয়া। মূলত অঘোরী তন্ত্রে এমন ক্রিয়ার প্রচলন দেখা যায়।
বহু মানুষই শত্রুর উৎপাতে অস্থির হয়ে ওঠেন। তাঁদের জীবন ও মানসম্মান নিয়ে শত্রুরা ধংসলীলায় মেতে ওঠে। তখন তাঁরা হণ্যে হয়ে খুঁজে বেড়ান, কোথায় গেলে, কি করলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। এই প্রবন্ধে আমি শিক্ষামূলক ও তথ্যমূলক বিষয় হিসাবে এই ক্রিয়াটির প্রসঙ্গ উত্থাপন করছি। কোনও ফলাফলের জন্য আমি বা আমার এই বিশ্ববন্দিত ব্লগটির কোনও ভাবেই কোনো দায়দায়িত্ব নেই।
এই ক্রিয়াটি, যিনি ভুক্তভোগী, তিনি নিজে করবেন। অন্য কেউ করলে চলবেনা। তিনি প্রথমে চারটি কাকের পালক জোগাড় করে নেবেন। একটি লাল তেলের শিশি দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসবেন। ৪ ইঞ্চি / ৪ ইঞ্চি মাপের ৫ টি সাদা কাগজের টুকরো জোগাড় করে নেবেন। কোনও মঙ্গলবার বা শনিবারে দুপুর ১ টার পরে উনোনে বা গ্যাস ওভেনে একটি লোহার রুটি বানানোর চাটু বসিয়ে ওই কাকের পালকগুলি ভালো করে পুড়িয়ে নেবেন। পুড়ে যাওয়ার পরে যে ছাই তৈরি হবে, সেগুলিকে একটি শিশিতে জড়ো করে রাখবেন।
এই ছাই দিয়েই পর পর কয়েকদিন একই ক্রিয়া করা চলবে। এইবার ক্রিয়াটি সম্পর্কে লিখছি। প্রথমে আগের জড়ো করা সাদা কাগজের মধ্যে থেকে একটি সাদা কাগজ নিয়ে, কাগজের মাঝখানে শত্রুর পুরো নামটি পদবীসহ লিখতে হবে। লাল তেলের সাথে ওই ছাই কিছুটা নিয়ে এমনভাবে গুলবেন, যাতে করে তা দিয়ে কালির মতো ব্যবহার করা যায়। কালি তৈরি করে ও নামটি গোটা গোটা ও পরিষ্কার করে লিখে, উনোনে বা গ্যাস ওভেনে কাগজটিকে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
একবার করে নাম লিখে, একটি করে কাগজ পোড়াবেন। এইভাবে ৫ টি করে কাগজ শনিবার পর্যন্ত পোড়াতে হবে। এই ক্রিয়াটি করলে শত্রু আর শত্রুতা করবেনা। মাথা তুলে সামনে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারবেনা। এই ক্রিয়াটি খুব প্রয়োজন হলে তবেই করবেন। মনে রাখবেন, এগুলি পাপ কর্ম বা অভিচার কর্ম রূপে তন্ত্রে উল্লেখিত হয়েছে। শুধুমাত্র কৌতূহল মেটানো বা অবৈধ কর্মে এই ক্রিয়াগুলিকে কখনোই ব্যবহার করলে, তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে, সেইদিকে সতর্ক থাকবেন।