এই প্রবন্ধে, আমি একটি এমন মন্ত্রের বিষয়ে আলোচনা করছি, যা কিনা হঠাৎ করেই নিদারুণ সমস্যা থেকে সমস্যা জর্জরিত মানুষকে মুক্ত করতে পারে। মন্ত্রটি বহু প্রাচীন একটি বহু ব্যাবহৃত একটি মন্ত্র।
কিন্তু আমরা জানি না, যে এই মন্ত্রটির মধ্যে এতো শক্তি নিহিত আছে,এবং হঠাৎ করেই সকল সমস্যা থেকে, এভাবে তা আমাদের মুক্তি দিতে পারে। আমাদের জীবনে, আমরা নানা সময়ে নানা সমস্যায় পড়ে নাকানি চোবানি খেতে থাকি। সেই অবস্থা থেকে কিছুতেই নিজেদের মুক্ত করতে পারি না। হতাশা আর নিরাশার দোলাচলে আমাদের জীবনের সুখ টুকু খুইয়ে বসি। এই মন্ত্রটির মতো এত বড় বন্ধু বোধহয় আর নেই, যা কিনা আমাদের সেই ভয়ংকর হতাশা থেকে উদ্ধার করে,আমাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে।
যে কোনও ধরনের সমস্যাতেই পড়ুন না কেন, মন্ত্রটির শক্তিতে সেই সমস্যা থেকে অচিরেই মুক্তি পাবেন, তা হলফ করে বলা যায়। যিনি এই মন্ত্রটি জপ করবেন, তাঁকে অবশ্যই সকালে ঘুম থেকে উঠে, শুদ্ধ হয়ে, শুদ্ধ মনে ,শুদ্ধাসনে, বসে ধুপ দীপ জ্বেলে উত্তর বা পূর্বদিকে মুখ করে এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে।
পারলে শ্রীকৃষ্ণের একটি চিত্র তিনি তাঁর সামনে জলচৌকিতে শুদ্ধ একটি কাপড় পেতে,তার উপরে বসিয়ে নিতে পারেন। প্রতিদিন একই সময়ে বসে মন্ত্রটি জপ করাই নিয়ম। একই সময়ে বসে মন্ত্র জপে, মন্ত্রের শক্তি বৃদ্ধি হয়ে, সাধককে অচিরাৎ ফল দিতে পারে।
মূলত এটি একটি সিদ্ধ মন্ত্র। যা কিনা, এই প্রবন্ধে আমি শিক্ষাও তথ্য হিসাবে পরিবেশন করছি, এবং কোনো ফলাফলের জন্য আমি বা আমার এই ব্লগের কোনোপ্রকার দায়দায়িত্ব নেই। প্রতিদিন ১০০৮ বার করে, বা নিতান্ত অপারগ হলে, ১০৮ বার করে মন্ত্রটি জপ করা বাঞ্চনীয়। তবে বেশি সংখ্যায় ও একই সংখ্যায় মন্ত্রটি প্রতিদিন জপ করে যেতে হবে, এ কথা বলাইবাহুল্য। কমপক্ষে ৯০ দিন বা যতদিন না সমস্যাটি পুরোপুরি মিটছে, ততদিন ধরে জপ করা চালিয়ে যেতে হবে।
মন্ত্র : ” ওঁ শ্রীকৃষ্ণং শরণং গচ্ছামি “