এই প্রবন্ধে, আমি একটি এমন মন্ত্র সম্পর্কে লিখছি, যে মন্ত্রটির মাধ্যমে মনের যে কোনও সৎ ইচ্ছার পূরণ হয়ে থাকে। এই মন্ত্রটি যে অতীব প্রাচীন ও বহু ব্যবহৃত, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই মন্ত্রটি শুধুমাত্র মনের ইচ্ছাপূরণই করে না, সাথে সাথে, নানা দিক থেকে সাধকের লাভ হতে থাকে। মা দূর্গা দশমহাবিদ্যা দেবী হওয়ার কারণে, এই মন্ত্রটির সাধনাকারী যেকোনও ক্ষতিকর প্রভাব, অভাব অনটন, মৃত্যুভয়, ফাঁড়া, দুর্ঘটনা বা অশান্তি থেকে মুক্তিলাভ, শত্রুর অত্যাচার থেকে মুক্তি, রোগের প্রকোপ থেকে মুক্তি, অযথা হয়রানি ও যেকোনো দুর্যোগ থেকে মুক্তি লাভ করে থাকেন।
মা দূর্গার এই মন্ত্রটি সিদ্ধ করে নিলে মা দশমহাবিদ্যার আশীর্বাদে সুখে ও শান্তিতে থাকেন। মনের যেকোনো একটি ইচ্ছার পূরণে এই মন্ত্রের যথেষ্ট মাহাত্ম্য আছে। যদিও দূর্গাপূজার নবরাত্রিতে এই মন্ত্রটি জপ শুরু করলে বেশি ভালো হয়, তবে অবস্থা বিশেষে শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে জপ শুরু করা যেতে পারে।
প্রতিদিন একই সময়ে একই আসনে শুদ্ধচিত্তে শুদ্ধবস্ত্রে মা দূর্গার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস সহকারে নিচে দেওয়া মন্ত্রটি ১০৮ বার করে জপ করবেন। উত্তর বা পূর্বদিকে মুখ করে শুদ্ধাসনে বসবেন। সামনে কিছু ধূপকাঠি জ্বেলে নেবেন। প্রদীপ জ্বালাবেন। সামনে রাখবেন মা দূর্গার একটি সুন্দর চিত্র। চিত্রের সামনে প্রতিদিন একটি করে জবাফুলের বা লালফুলের মালা বা নিতান্তপক্ষে একটি ভালো পঞ্চমুখী জবাফুল রক্তচন্দন সহকারে নিবেদন করবেন। মোট তিনমাস এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে। সঠিক নিয়মে করলে মা দূর্গার কৃপায়, নিশ্চয়ই মনের ইচ্ছাপূরণ হবেই হবে। পূর্বে মনের ইচ্ছাটিকে সংকল্প করে নেবেন।
মন্ত্র : ” ওঁ হ্রীং দূর্গা দেব্যৈ নমঃ “