নক্ষত্র যোগ ছাড়া বিশেষ মুহূর্তে শিকড় নিয়ে সিদ্ধ করলে চমৎকার কাজ হয়৷ এর কিছু প্রয়োগ নিম্নে দেওয়া হল:-
সূর্য অথবা চন্দ্র গ্রহণের একদিন আগে ডুমুরগুল্ম শিকড়কে আমন্ত্রণ জানিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসুন৷ এটিকে বিধিসম্মত ক্রিয়ার দ্বারা দেবমূর্তির মতো পুজো-অর্চনা করার পর মন্ত্র দ্বারা সিদ্ধ করুন৷ এরসাথে শিকড় নিয়ে যাবার সময় ঘি, চিনি ও সুজির দ্বারা তৈরি হালুয়া কোনও পরিষ্কার মাটির পাত্রে নিয়ে নৈবিদ্যর সাথে গাছকে অর্পণ করুন৷ গ্রহণ শুরু হবার সাথে-সাথে দেবতার মতো পুজো করুন ও পুজোর পরে মোহকাল পর্যন্ত পদ্ম ফুলের মালা দ্বারা নিম্নলিখিত মন্ত্রটি জপ করতে থাকুন৷ গ্রহণ শেষ হবার পর এই মন্ত্রটিকে ২১ বার হবন আহুতি দিন৷ তারপর দেব-প্রতিমার কাছে ও অন্য কোনও পবিত্র স্থানে লাল কাপড়ে মুড়ে রেখে দিন৷ এটি রাখার পরে সেখানে মা লক্ষ্মীর স্থায়ী নিবাস হয়ে থাকে৷
এই শিকড়টিকে চৌকো ভূজ্যপত্রের উপর খুব অল্প পরিমাণে স্বর্ণ-খণ্ড রেখে মুড়ে ফেলুন ও লাল সুতা দিয়ে মোড়কে রেখে বাঁধুন ও তাবিজ তৈরি করে গলা অথবা ডান হাতে ধারণ করুন৷ এই ক্রিয়ার সাহায্যে অর্থ-সমাগমের পথ সুগম হয়ে যায়৷
‘ওঁ মহালক্ষ্যে চ বিদ্মহে বিষ্ণু ও পতনে ধীমহি তন্নো লক্ষ্মী প্রচোদয়াৎ৷’
হোলির ঠিক আগের দিন সূর্য অস্তের আগে পলাশ গাছের শিকড় নিয়ে ইষ্টদেবীর মতো পুজো করুন ও মন্ত্র দ্বারা সিদ্ধ করার পর এটিকে সিন্দুক, গলা অথবা পকেটে রেখে দিলে লক্ষ্মীর আগমনের পথ সুগম হয়ে যায়৷