যদি আপনি এই নিয়মটি বছরে শুধুমাত্র দুবার অর্থাৎ একবার জানুয়ারী মাসে ও একবার জুলাই মাসে করেন তাহলে বাড়িতে লক্ষ্মীর স্থায়ী নিবাস হয়৷ যদি আপনি শনির প্রকোপ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হন তাহলেও আপনি মুক্তি পেয়ে যাবেন৷ এরজন্য শুক্লপক্ষের প্রথম রবিবারে দুপুরে ১২টার সময় পরিবারের সমস্ত সদস্যদের সাথে বসুন৷ একটি শুকনো নারকোল নিয়ে নিন৷ একটি প্লেটে ২৫০ গ্রাম গুঁড়ো চিনি ও অল্প মাত্রায় নারকোল কুঁড়িয়ে নিন৷ নারকোলের উপরের অংশটি ছুরির সাহায্যে ছিদ্র করে নিজের আঙুলটি প্রবেশ করান৷ এরপর চিনি মিশ্রিত নারকোল গুড়োটি নারকোলের ছিদ্রতে প্রবেশ করান৷ এর মধ্যে কেউ অন্যের সাথে কথা বলবেন না৷ মন দিয়ে ‘শ্রী শ্রীয়ে নমঃ’ মন্ত্রটি জপ করতে থাকুন৷ নারকোলের খোলটি যখন সম্পূর্ণ ভরে যাবে তখন বাড়ির বয়জ্যেষ্ঠ কোনও অশ্বত্থ গাছের নিচে প্রায় একহাত গর্ত করে খোলটি পুঁতে ফেলুন৷ মাটি চাপা দিয়ে গর্তটি বুজিয়ে ফেলুন৷ যে নারকোল গুঁড়ো অবশিষ্ঠ রয়েছে সেটিকে গর্তের আশেপাশে ছাড়িয়ে দিন৷ গর্তের উপর বড় একটি পাথর রেখে দিন যাতে কোনও জন্তু গর্তটি থেকে খোলাটি বের করতে না পারে৷ এরপর বাড়িতে ফিরে আসুন৷
এই কাজটি করার সার্থকতা এখানেই যে আপনি পৃথিবীর সবচাইতে দুর্বল জীব পিঁপড়েদের দীর্ঘ সময়ের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, তাহলে ঈশ্বর আপনার মনোস্কামনা কেন পূরণ করবেন না৷ শনি প্রকোপ থেকে বাঁচবার জন্য নিয়মিত পিঁপড়েদের খাওয়ান৷ এটাও আপনি করেছেন৷ আপনার একটি কার্যের সাহায্য তিনটি লাভ হয়েছে৷ প্রথমতঃ মা লক্ষ্মীর আগমনের পথ প্রশস্ত হয়েছে৷ অন্যটি শনিদেবের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়েছেন ও আপনি ঈশ্বরকেও প্রসন্ন করেছেন৷ যখন ঈশ্বর মা লক্ষ্মী ও শনিদেব প্রসন্ন আছেন তখন আপনি নিজেই ভাবতে পারবেন যে, আপনি কি কি লাভ ও ফলাফল পেতে পারেন৷