জীবনের নানা সমস্যায় জেরবার হলে, সমস্যার ভারে পর্যুদস্ত হলে, সঠিক সমাধানের রাস্তা না খুঁজে পেলে এই প্রবন্ধে আলোচিত মন্ত্রটি সেই বিব্রত মানুষটিকে, সমস্যার বেড়াজাল থেকে, হয়রানির দম বন্ধ করা পরিস্থিতি থেকে অবশ্যই উদ্ধার করে আনার ক্ষমতাসম্পন্ন, সে বিষয়ে মন্ত্রটি সম্পর্কে বলার আবশ্যকতা, বোধকরি নেই। তবুও সমস্যা জর্জরিত মানুষের সাহায্যার্থে, শিক্ষামূলক ও তথ্যমূলক বিষয় হিসাবে, আমি এই মন্ত্রটির অবতারণা ও সাথে, সেটি অভ্যাস করার সুকৌশলটি, এই প্রবন্ধে বিবৃত করছি।
মন্ত্রটি মূলত শ্রীকৃষ্ণ মন্ত্র। অনেকে আবার মন্ত্রটিকে শ্রী গোবিন্দ মন্ত্র বলেও সম্বোধন করে থাকেন। যখন সমস্যার ঘনঘটা মানুষের পিছু ছাড়েনা, তখন এই শ্রীকৃষ্ণ মন্ত্রটি অতি সহজেই মানুষকে সমস্যার দুর্নিবার স্রোত থেকে উদ্ধার ও সঠিক সুষ্ঠু সমাধানের পথ অবশ্যই দেখাবে। প্রতিদিন এই মন্ত্রটি অভ্যাসের ফলে যাবতীয় সমস্যার ও যাবতীয় হয়রানীর অবসান ঘটবে তা বলাইবাহুল্য।
এবার আসি মন্ত্রটি জপ করার প্রয়োগ পদ্ধতির আলোচনায়। প্রতিদিন শ্রীকৃষ্ণের একটি চিত্রে ফুল ও মালা চড়িয়ে, ধূপকাঠি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে, উত্তর অথবা, পূর্বমুখী হয়ে শুদ্ধ বস্ত্রে, শুদ্ধাসনে, তদ্গতচিত্তে এই সিদ্ধমন্ত্রটি ১০০৮ বার বা নিতান্ত কমপক্ষে ১০৮ বার জপ করতে হবে। মন্ত্রটি সঠিকভাবে নিয়ম মেনে প্রতিদিন জপ করতে থাকলে যে শুধু সমস্যা থেকেই মুক্তি মিলবে, তা নয় তার সঙ্গে সঙ্গে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদও জপকারীর উপর বর্ষিত হতে থাকবে। তখন সমস্যা তো মিটবেই, সাথে সাথে জপকারীর অন্তরে এক অনির্বচনীয় দৈবশক্তিরও বিকাশ ঘটবে।
মন্ত্র : ” ওঁ ক্লীং কৃষ্ণায় গোবিন্দায় গোপীজনবল্লভায় স্বাহা “