এই প্রবন্ধে, আমি যে মন্ত্রটি নিয়ে লিখতে চলেছি,সেই মন্ত্রটি এমন একটি তন্ত্রোক্ত মন্ত্র, যেটি কিনা, খুব প্রাচীন একটি মন্ত্র, এবং অবশ্যই এই মন্ত্রটি আমি গুরু পরম্পরায় লাভ করেছিলাম। বহু প্রাচীনকাল থেকেই মন্ত্রটি সম্ভবত গুরু পরম্পরায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
যে কোনও বিপদে পড়লে বা বিপদের আগেই এই মন্ত্র ৭ বার জপ করলে ভূত,প্রেত,চোর,ডাকাত, দুষ্টলোক,হিংস্র জন্তু,সাপ সহ সব জীবজন্তুই দূরে পালিয়ে যাবে। এমনি তন্ত্রশাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে।
এইবারে বলছি, কেমনভাবে এই মন্ত্রের ব্যবহার করতে হবে। প্রথমে ১২ আঙ্গুল পরিমাণ একটি পলাশ কাঠের কীলক তৈরি করে, এই মন্ত্র ১০০৮ বার জপ করে, সেই কীলকটি উত্তর-পূর্ব কোণে যার ঘরে পুঁতে রাখা হবে, তাঁর ঘরের সকলেই খুবই শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। কোনও বিপদ আপদ আসবে না। শুধুমাত্র বিপদ আপদ ই ন য়, আমার অভিজ্ঞতা বলছে, বাস্তুরক্ষাতেও এই মন্ত্রের জুড়ি মেলা ভার। বাস্তুসংস্কারে ও এই মন্ত্রের ব্যবহার, অভিজ্ঞ কোনও তান্ত্রিকসাধককে দিয়ে করানো যেতে পারে। এই কর্মটিকে তন্ত্রশাস্ত্রের শান্তিকর্মের অন্তর্গত কর্ম হিসাবে গণ্য করা হয়। শান্তিকর্ম করার জন্য ঈশানদিকে মুখ করে করতে হয়। শান্তিকারমের দেবী রতি। এই কর্মের সময় হেমন্তকাল, অর্থাৎ সূর্য ওঠার ১৬ ঘন্টা পর থেকে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত। শান্তিকর্মের তিথি – দ্বিতীয়া,তৃতীয়া, পঞ্চমী, সপ্তমী তিথি। সোমবার,বৃহস্পতিবার, ও শুক্রবার করতে হয়। মেষ, কন্যা, ধনু ও মীনলগ্নে এই কাজ করতে হয়। রোহিনী, অশ্লেষা, অনুরাধা, মূলা, পূর্বাষাঢ়া, উত্তরাষাঢ়া, শতভিষা, পূর্বভাদ্রপদ ও উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্রে এই কর্মটি করা যেতে পারে, এমনই বর্ণনা তন্ত্রশাস্ত্রে উল্লেখিত হয়েছে।
মন্ত্র :
” ওঁ হং হাং হিং হীংহুুং হূং
হেং হৈং হোং হৌং হং হঃ ক্ষং
ক্ষাং ক্ষিং ক্ষীং ক্ষুং ক্ষূং ক্ষেং
ক্ষৌং ক্ষোং ক্ষৌং ক্ষঃ হং স্বাহা ।”