সন্তান সংক্রান্ত বহু সমস্যার সঠিক সমাধান / The correct solutions for many child problems

এই প্রবন্ধে আমি সন্তানকে কি ভাবে রক্ষনাবেক্ষন করতে হবে সে সম্বন্ধে আলোচনা করতে চলেছি। তন্ত্রের অমোঘ শক্তিতে বহু বহু সমস্যার সমাধান সম্ভব। আমার এই ব্লগে, প্রিয় পাঠকবন্ধুদের কাছে এমন কিছু তন্ত্রের টোটকা সম্বন্ধে আলোচনা করতে চলেছি,যেগুলি মূলত আমার সংগ্রহ করা খুবই ফলপ্রসূ টোটকা, সন্তান সংক্রান্ত বহু সমস্যার সঠিক সমাধান করতে যেগুলির সত্যই জুড়ি মেলা ভার।


এগুলি মূলত আমি সমগ্র বিশ্বের মঙ্গলার্থে তথ্যমূলক ও শিক্ষামূলক বিষয় হিসাবে উপস্থাপিত করছি, যা কিনা আমার পাঠকবন্ধুদের জ্ঞানভাণ্ডারকে আরো প্রসারিত ও পরিবর্ধিত করবে বলেই আমার বিশ্বাস। একদম সন্তান না হওয়া অথবা হয়ে মারা যাওয়া অথবা গর্ভপাত হওয়া যদি এই সব পরিস্থিতি না হয় এবং সন্তান হয়েও বিকলাঙ্গ অথবা মানসিক ভারসাম্য হয় তাহলে মা বাবার দুঃখের সীমা থাকে না। এখানে আমি সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান সন্তান প্রাপ্তির টোটকা লিখতে চলেছি। এই টোটকাগুলি আমি কয়েকটি স্থানে অতি সফলতার সাথে প্রয়োগ করেছি।

  • স্ত্রী শুক্রবার দিন দুটি ছোলার রুটি বানাবেন। এরপর এতে প্রয়োজনমত ঘি লাগান। তারপর কোনোও শুকনো সবজি দুটি রুটির মধ্যে রেখে দিন। এরপর স্বামী-স্ত্রী দুজন বাজারে গিয়ে কোনোও ক্ষুধার্থ ব্যক্তিকে রুটি দুটি খাইয়ে দিন। তাকে যথাযোগ্য দক্ষিণা দিন ও চলে আসুন।
  • সোমবার দিন গর্ভবতী স্ত্রী কপূর এর একটা টুকরো নিন। এর অর্ধেক অংশ সামনে রেখে জ্বালিয়ে ফেলুন ও বাকি অংশ শিব মন্দিরে দিয়ে দিন। আপনার সন্তান সুন্দর আর স্বাস্থ্যবান হবে।
  • প্রায়শই দেখা যায় শিশুরা দুধ দেখলে ভয় পায়। পুরো দিন ক্ষুধার্ত থাকবে কিন্তু দুধ খেলেই কান্না শুরু করে দেবে বা বমি করবে। এর ফলে শিশুরা সবসময় ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পরে। যদি আপনার শিশু দুধ না খায় অথবা বমি করে দেয় তাহলে নিম্নলিখিত সরল টোটকাগুলি প্রয়োগ করুন। ঈশ্বরের আশীর্বাদে আপনার শিশু দুধ খেতে শুরু করবে আর বমিও করবে না। এই টোটকাটি শুধুমাত্র শনিবার অথবা রবিবারে করতে হবে——
  • একটি কপূর এর গোটা টুকরো নিয়ে নিন। এটি কিছু অংশ ভেঙ্গে শিশুকে জিভ দিয়ে চাটিয়ে নিন ও বাকিটা হনুমান মন্দিরে দিয়ে দিন। মনে রাখতে হবে যে এই টোটকাটি শুধুমাত্র একবারই করতে হবে।
  • একটি দুধের জার এ দুধ নিয়ে নিন। এই দুধটি শিশুর মাথার উপর থেকে ১১ বার ঢেলে কালো কুকুরকে নিজের সামনে খাইয়ে দিন। শিশুরা এই টোটকা প্রয়োগের পর থেকে আনন্দের সাথে দুধ খেতে লাগবে।
  • এমন কোনোও স্ত্রী যার সন্তান হয় না অথবা পুরো ভাবে সন্তান জন্মধারণে অক্ষম তাকে শনিবার দিন বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান আর শিশুর মাথায় হাত দিতে বলুন। এটা মনে রাখতে হবে, শিশুটি কোলে যেন না থাকে। ওই স্ত্রীটি চলে যাবার পর ওই স্থানটি ঝাড়ু দিয়ে দিন।
  • শিশুকে দুধপান করানোর সময় শিশুটিকে আঁচল দিয়ে ঢেকে রাখুন ও দুধের পাত্রটিও ঢেকে রাখুন। যদি সম্ভব হয় তো শিশুকে দুধপান করানোর সময় মমতা ও স্নেহের চোখে বার-বার  তার দিকে তাকান। এর ফলে শিশুটির মনে আত্মবিশ্বাস জন্মাবে ও আপনার স্নেহের চোখ তার মাংসপেশী আর হাড়কে শক্ত করবে।

  • বুধবার দিন ভুজ্যপত্র নিয়ে তাতে নিম্ন যন্ত্রটি হলুদ দিয়ে লিখুন ও একটি তাবিজে ভরে হলুদ সুতো দিয়ে শিশুদের গলায় পরিয়ে দিন। সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর হয়ে যাবে ও শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠবে।                                                  
                                                                       যন্ত্র 
 
 ৪
 ৩
 ৮
 ৭
 ৫
 ১
 ২
 ৭
 ৯
  • যদি আপনার শিশু সবসময় কোনোও  না কোনোও রোগে আক্রান্ত থাকে ,ঔষধপত্র দিয়েও কোনোও  লাভ হয়নি তবে মঙ্গলবার দিন অষ্টধাতুর বালা বানাতে অর্ডার দিন। শনিবার দিন সেই বালা বাড়িতে নিয়ে আসুন। গঙ্গাজল দিয়ে মোটামুটি ধুয়ে ফেলুন। তারপর বালার একপাশে কিছুটা সিঁদুর লাগিয়ে দিন। সময় থাকলে হনুমান চালিসার পাঠ করুন। এরপর অষ্টধাতুর তৈরী এই বালাটি সোজা শিশুটিকে পরিয়ে দিন। আপনি শিশুটির সুস্থতা আপনি নিজে অনুভব করবেন।
  • মা -বোনেরা প্রায়শই এটা অনুভব করেন যে শিশুরা একটু বেশি কাঁদে। রাত্রিতে ঘুমাতে-ঘুমাতে চমকে উঠে ও তারপর তারস্বরে কাঁদতে শুরু করে। যদি আপনার শিশু বেশি কাঁদে ও রাত্রিতে চমকে উঠে তবে রবিবারে কালো সুতো নিয়ে তাতে একটি বাঘের নখ লাগিয়ে দিন। এরপর আপনার শিশুর কান্না ও রাত্রে চমকে উঠা বন্ধ হয়ে যাবে। এই ক্রিয়াটি শুধুমাত্র ৪ বৎসর বয়স পর্যন্ত করতে হবে। এর পরে নয়।
  • যদি আপনার শিশু বেশ বড় হয়ে গেছে আর অন্ধকারে অথবা একাত্বিতে ভয় পায় তাহলে  চিন্তার কিছু নেই। আপনি বাঘের কিছুটা লোম নিয়ে একটি যন্ত্রতে ভরে তার গলায় পরিয়ে দিন। দুৰ্ভাগ্যবশত যদি বাঘের লোম না পাওয়া যায় তাহলে বিড়ালের লোমও তাবিজে ভরে দেওয়া যায়।
  • প্রায়শই সব মায়েরাই শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করার ব্যাপারে খুব চিন্তিত থাকেন। বিছানায় প্রস্রাব করলে বিছানা নোংরা ও দুর্গন্ধ হয়। যদি আপনার শিশুটি বিছানায় বেশি প্রস্রাব করে থাকে তাহলে গোলাপের ধূপকাঠি সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে তার ছাইটি একটি ভুজ্যপত্রে একসঙ্গে নিতে হবে। ওই ভুজ্যপত্রেই ছাইএ গঙ্গাজল দিয়ে একটি প্রলেপ তৈরী করুন। উক্ত প্রলেপটি শিশুর নাভি আর পেটে আলতো করে লাগিয়ে দিন। আপনি নিজেই অনুভব করবেন যে আপনার শিশুটি আর বিছানায় প্রস্রাব করছে না। এই ক্রিয়াটি একদিন ছাড়া করুন।

You May also like

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *