এই প্রবন্ধে, আমি এমন একটি তান্ত্রিক যন্ত্রমের বিষয়ে আলোচনা করছি, যে যন্ত্রমটি এতই শক্তিশালী একটি যন্ত্রম, যেটি সকল সমস্যার চটজলদি সমাধান করে দিতে পারে। যন্ত্রমটি নিয়ে কাজ করলে, আপনি যে সমস্যাতেই পড়ুন না কেন, তা থেকে অবশ্যই মুক্তি পাবেন, এতে কোনও সন্দেহই নেই। তাই সিদ্ধ তান্ত্রিকগণ যুগে যুগে এই যন্ত্রমটি নিয়ে কাজ করে চলেছেন। যন্ত্রমটিকে অনেকেই আদর করে মুশকিল আসান যন্ত্রম বলে থাকেন।
তবে এই সম্পর্কে গবেষকরা কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করেন, কেউ কেউ বলেন, এই যন্ত্রমটি আসলে এমন কিছু কাজে ব্যবহার করা হয়, যেসব কাজে চট করে সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। আর কোনো কোনো গবেষকেরা এমনটি মোটেও মনে করেন না, তাঁদের মতে, যন্ত্রমটি তার নিজের কর্মকুশলতাতেই আদরণীয় হয়ে উঠেছে।
যাই হোক, যে কোনও সমস্যাতেই এই যন্ত্রমটি প্রয়োগের মাধ্যমে উপকৃত হাওয়া সম্ভব হবে বলেই মনে করা হয়। যে ব্যক্তি এই যন্ত্রমটি তৈরি করবেন, তাঁকে টানা ৪০ দিন পর্যন্ত এই যন্ত্রমটিকে নিয়ে কাজ করতে হবে। যে কোনও মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি থেকে শুরু করে টানা ৪০ দিন পর্যন্ত এই যন্ত্রমটিকে নিয়ে কাজ করতে হবে।
প্রতিদিন লাল কালি দিয়ে যন্ত্রমটি লিখে গুগ্গুল বা লোবানের ধোঁয়া দিতে হবে। তারপরে অল্প আটা মেখে তার ভিতরে এই যন্ত্রমটি ভরে নিয়ে গুলি পাকিয়ে কোনও পুকুরের নিকট গিয়ে, প্রতিদিন একই মনোকামনা অর্থাৎ সমস্যাটির থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা বলতে বলতে আটার গুলিটিকে পুকুরের জলে নিক্ষেপ করতে হবে।
টানা ৪০ দিন কাজটি করে, ৪১ দিনের দিন একটি যন্ত্রম এঁকে নিয়ে পঞ্চোপচারে পূজা করে, গুগ্গুল বা লোবানের ধোঁয়া দিয়ে রূপার বা তামার মাদুলিতে ভরে গলায় ধারণ করতে হবে। এই যন্ত্রমটি তৈরি বা প্রয়োগের তথ্য ও শিক্ষা পেশ করলাম মাত্র, এটির ফলাফলের জন্য আমার বা আমার ব্লগের কোনও দায়দায়িত্ব নেই।
