শাবর মন্ত্র ও টোটকা / Shabar Mantra and Totka

শাস্ত্রতে বলা হয়েছে ‘মন্ত্রাধীনাস্তু দেবতা’ অর্থাৎ দেবতা মন্ত্রের বশে অথবা অধীনে হয়ে থাকে৷ মন্ত্রের শক্তি মানব সমাজে পরিচিত আছে ও এর কল্যাণকারী পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ বিশ্ব লাভান্বিত হয়৷ মৃত্যু জীবনের এক কটূ ও অনিবার্য সত্য হয়, কিন্তু অপমৃত্যু, অকাল মৃত্যু এবং মৃত্যু তুল্য কষ্ট সর্বদা সঠিক বলে গণ্য করা হয়েছে৷ এর নিবারণের জন্য মুনি-ঋষিরা অনেক নিয়ম বলেছেন৷ এতে সর্বাধিক প্রচলিত, উপযুক্ত, সরল শাবরী তান্ত্রিক প্রয়োগ বর্তমান৷

জনসমক্ষে প্রায়শই এটি মানা হয় যে তান্ত্রিক প্রয়োগ শ্রমসাধ্য ও ঘৃণিত হয় ও এটি অন্তিম সময়ে পৌঁছানো ব্যক্তিদের জন্য করা হয়৷ কিন্তু এটি ভ্রান্ত-ধারণা৷ তন্ত্রসাধনা অথবা প্রয়োগকে নিম্নলিখিত লক্ষ্যের প্রাপ্তির জন্য প্রয়োগে আনা হয়৷

১) আরোগ্য প্রাপ্তি৷ ২) অসাধ্য রোগ থেকে মুক্তি৷ ৩) গ্রহ দশা নিবারণ৷ ৪) প্রতিকূল সময়ে ফলের নূ্যনতম ব্যাখ্যা৷ ৫) দারিদ্রতা থেকে মুক্তি৷ ৬) পুত্র প্রাপ্তি৷ ৭) মহামারী থেকে মুক্তি৷ ৮) প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিবারণ৷ ৯) দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি৷ ১০) সাংসারিক সমস্যা থেকে মুক্তি৷

মন্ত্রশাস্ত্রতে বর্ণিত যে প্রয়োগ ও কর্ম করলে রোগ-শোক, মহামারী, ভয়,শারীরিক সমস্যা ও অনান্য উপদ্রব বন্ধ হয়ে যায়৷ একে শান্তি কর্ম বলা হয়ে থাকে৷

শান্তি কর্মের উল্লেখ প্রায়শই সমস্ত ধর্ম, মত, সম্প্রদায় ও সাধনার পদ্ধতি অনুযায়ী করা হয়৷ ভারতীয় জীবনে আজও জীবন প্রণালী মন্ত্রের উপরেই আশ্রিত অনুভব হয়৷

এমনিতে সাধারণ ভাষার মন্ত্র যাকে শাবর মন্ত্র বলা হয়, গ্রাম্য পরিবেশে বংশ পরম্পরায় সুরক্ষিত থাকে৷ গ্রাম্য ক্ষেত্রে বংশ পরম্পরায় গুরু, শিষ্য পরম্পরায় সুরক্ষিত থাকে৷

শাবর মন্ত্রের বিষয়ে বলা হয় যে ভগবান শিব গুরু গোরক্ষনাথের সাহায্য সরলীকরণ করিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে, এর উদেশ্য ‘বহুজন হিতায়, বহুজন সুখায়’হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *