শনির নিজের কক্ষপথে ৬২টি চাঁদ এবং সুবিশাল বলয় রয়েছে। এই বলয় বরফ , ছোট ছোট পাথরের অগুনতি টুকরো এবং ধুলো মিশে তৈরি হয়েছে। ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রের অনুসারে শনি একটি নপুংসক গ্রহ এবং সংশোধনকারী গ্রহ, যা আমাদের সুদীর্ঘ সময়ের জন্য লালিত বদ অভ্যাস এবং লোভী ও অহংকারী প্রকৃতি থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটায় ও আমাদের ত্রূটিমুক্ত করে।
অভ্যাসকারী নিজে শনিগ্রহের শান্তির জন্য এই উপায়গুলি করবেন :- –
1. অভ্যাসকারী স্নানের জলে কালো তিল সঙ্গে সবুজ ঘাস মিশ্রিত করে নেবেন এবং প্রতি শনিবারে সকালে স্নান করবেন।
2. অভ্যাসকারী কালো এলাচ, কালো তিল, লবঙ্গ, লোহার তৈরি বাসনপত্রাদির ব্যবহার , নীল জামা, গুগ্গুল , গোটা কালো মাসকালাইয়ের গোটা ডাল দান করবেন। অভ্যাসকারী নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী, যে কোনও শনিমন্দিরে প্রতি শনিবারে নিজের নাম ও গোত্র দিয়ে পূজা দেবেন।
এখন আমি শনি যন্ত্রম প্রস্তূত করার সম্পর্কে লিখছি. অভ্যাসকারী একটি শনিবার শুভ মুহূর্তে সকালে স্নান করবে এবং পরিষ্কার নীল বা কোনো কালো রঙের পোশাক পরে, একটি কালো আসনে উত্তর বা পূর্বমুখে বসবেন। অভ্যাসকারী একটি প্রদীপ জ্বালাবেন এবং কিছু ধূপ কাঠি জ্বেলে তার সামনে, মা দক্ষিণাকালী দেবীর পূজা বা শ্রী গনেশজির পূজা করবেন এবং একাগ্র মন নিয়ে ” শনি গ্রহ যন্ত্রম” আঁকতে শুরু করবেন।
অভ্যাসকারী একটি ভুজ্জ্যপত্রের উপর লাল চন্দন, সাদা চন্দন, অষ্টগন্ধ ও কেশর মিশ্রিত কালি ব্যবহার করে ডালিমের একটি সরু কাঠের কলম , বা সোনার নিবের একটি কলম দ্বারা আঁকবেন ও যন্ত্রমটি শুকিয়ে যাবার পরে যন্ত্রমটিকে পঞ্চোপচারে পূজা করে অর্থাৎ ধুপ, দীপ , ফুল, ফল ও নৈবেদ্য সহযোগে পূজা করে একটি সোনা, রূপা, বা তামা দিয়ে তৈরি তাবিজে ভরে কালো রঙের কারে বা সুতায় বা সোনা বা রূপার চেনে গলায় বা পুরুষেরা ডানহাতে ও মহিলারা বামহাতে ধারণ করবেন।