শত্রুর উত্তেজনা এবং দমনের জন্য শক্তিশালী যন্ত্র / Powerful instrument for the excitement and suppression of the enemy

শত্রুদমন ও টেনশন  দূর করতে শক্তিশালী যন্ত্রম সম্পর্কে এই প্রবন্ধে আমি আলোচনা করছি। এই বিশ্বে শত্রু নেই, এমন মানুষের দেখা পাওয়া দুর্লভ।  প্রত্যেকেরই কোন না কোনও শত্রু থাকবেই। তা সে শক্তিশালী বা দুর্বল শত্রু, যাই হোক না কেন। কারো শত্রু প্রতক্ষ্যভাবে, কারো শত্রু পরোক্ষভাবে শত্রুতা করে থাকে। আমাদের মানসিক স্থিতি কে নষ্ট করে, শুধু নয়, আমাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এই রকম পরিহিতি হলে, সে পরিস্থিতি থেকে বাঁচবো কিভাবে ? এটা একটি বড়ো প্রশ্ন।

আমাদের চারপাশে যত মানুষ আছেন , তাঁদের মধ্যে তিন ধরণের মানুষ আছেন, প্রথম ধরণের মানুষ হলেন, বনধু ভাবাপন্ন। দ্বিতীয় ধরণের মানুষ হলেন, শত্রু ভাবাপন্ন আর তৃতীয় ধরণের মানুষ হলেন, নিরপেক্ষ ভাবাপন্ন। এর মধ্যে কারো ১ম ধরণের, কারো দ্বিতীয় ধরণের মানুষের সংখ্যা তাঁদের চারপাশে বেশি। তবে শত্রু ভাবাপন্ন মানুষের সংখ্যা এখন সব চাইতে বেশি করে আমাদের নজরে আসে।

এই রকম শত্রুতা থেকে মুক্তির উপায়টাই আজ আমি এই প্রবন্ধে আলোচনা করছি। এই যন্ত্রমটি ব্যবহারে শুধু শত্রুর হাত থেকে মুক্তি পাওয়াই নয়, মানসিক অস্থিরতা বা টেনশন থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।  তন্ত্রশাস্ত্রে সেরকমটাই লিপিবদ্ধ রয়েছে। টেনশনেও ভোগেননা এমন মানুষের সংখ্যাও ব্যাপকহারে কমে যাচ্ছে।  সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে , সারা বিশ্বে ৮৩ শতাংশের ও বেশি মানুষ টেনশনে ভোগেন। এই যন্ত্রমটি ব্যবহার করলে, শত্রুদমনের সাথে সাথে টেনশন থেকেও মুক্তি মিলতে পারে।

এইবার আসি যন্ত্রমটি তৈরি করার প্রসঙ্গে, যে কোনও মাসের শুক্লপক্ষের শুভতিথিতে সকল ৬ টা থেকে ৮ টার মধ্যে বা সন্ধ্যা ৭ টা থেকে – রাত্রি ৯টার মধ্যে যন্ত্রমটি তৈরি করতে হবে, শুক্লা দ্বিতীয়া , দশমী,দ্বাদশী তিথি ও সোম,বৃহস্পতি,শুক্র, বার হলে ভালো হয়। অষ্টগন্ধ কালি ও ডালিমের কলম দিয়ে ভুজ্যপত্রের উপর, পশ্চিমদিকে মুখ করে বসে যন্ত্রমটি লিখতে হবে। যন্ত্রমটি শুকিয়ে গেলে যন্ত্রমটিকে পূজা করে ও লোবানের ধোঁয়া দিয়ে, সোনা বা রূপার তাবিজে ভরে গলায় এ পুরুষেরা ডানহাতে ও মহিলাগণ বামহাতে ধারণ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *