শক্তিশালী টোনা-টোটকা/ Strong Totka

কিছু টোটকা এমনও হয়, যেটা করলে কোনও সমস্যাই হয় না৷ এই টোটকাগুলি সম্পূর্ণভাবে সিদ্ধ হয়৷
অতএব এটিকে সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের সাথে করতে হবে৷ টোটকার প্রয়োগ যে ভাবেই করা হোক না কেনো, প্রভাবশালী অবশ্যই হবে৷
টোনা-টোটকা আপাতদৃষ্টিতে বিজ্ঞানের উপর আধারিত ও চমৎকারীও হয়৷ ঋষি-মুনিদের মতে টোনা-টোটকার সাহায্যে সমস্ত আশা-কামনার পূরণ করা সম্ভব৷
আজকের বর্তমান যুগে টোটকা সুখ ও শান্তি প্রাপ্তির সহায়ক৷ যে ব্যক্তি রোগগ্রস্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক কষ্ট পাচ্ছেন তাদেরকে টোটকার সাহায্য সুস্থ করা যায়৷

ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদে টোনা-টোটকার বর্ণনা করা হয়েছে৷ আজও গ্রামে-গঞ্জে টোনা-টোটকার প্রচলন আছে কারণ ইহা প্রকৃতির মধ্যেই থাকে৷ অর্থাৎ গ্রামে-গঞ্জে বনস্পতি খুব সহজেই পাওয়া যায়, এইজন্য টোনা-টোটকার প্রচলনও বেশি৷
বিভিন্ন প্রকারের টোনা-টোটকা প্রস্তুত করার নিয়মাবলী-


নতুন ব্যবসায় সফলতা প্রাপ্তির টোটকা
পুরোনো ব্যবসায় সফলতা পেয়ে শিল্পপতি অথবা ব্যবসায়ী নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান৷ প্রায়শই এমন দেখা গেছে যে, পুরোনো ব্যবসা নিজের গতি অনুযায়ী চলতে থাকে, কিন্তু নতুন ব্যবসা সেভাবে চলে না ও ভিন্ন-ভিন্ন ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়৷ এর প্রতিকারের জন্য নিম্ন টোটকাগুলি অনুসরণ করুন৷
নিয়ম – শনিবার দিন পুরোনো কার্যালয় থেকে কোনও লোহার বস্তু আনুন৷ সেটি রাখার আগে ১১ টি কালো কলাই ডালের দানা উক্ত স্থানে রেখে দিন৷ লোহার বস্তুটি ও কালো কলাই ডাল নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন৷ মনে রাখবেন যেন বস্তুগুলি দ্বিতীয়বার সামনে-পিছনে না করা হয়৷ এভাবে করলে নতুন ব্যবসার পরিস্থিতি পুরোনো ব্যবসার মত হয়ে যাবে ও নিঃসন্দেহে সফলতা প্রাপ্তি হবে৷


অংশীদারিত্ব থেকে সফলতা পাবার টোটকা
প্রায়শই এমন হয় যে অংশীদারিত্বের কিছু বছর যাবার পরেও ঝামেলা-ঝঞ্ঝাট এর মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে যায়৷ চাপ ও ধাক্কা উৎপত্তি হয়৷ অংশীদারিত্ব দুই ব্যক্তির মধ্যে অথবা কয়েকটি ব্যক্তির মধ্যে, সেটিকে টোটকার সাহায্যে করা যায় ও সফলতাও প্রাপ্ত করা যায়৷
নিয়ম—দীপাবলির রাত্রে কাঁচা (পৈতার সুতো) সুতো নিয়ে অংশীদারির নাম নিয়ে দড়ির মত গিঁট লাগিয়ে রোলি অল্প পরিমাণে ছিটিয়ে দিন ও লক্ষ্মীর আরাধনা করতে থাকুন৷ এরপর এই সুতোটিকে ব্যবসার স্থানে ঝুলিয়ে রাখুন৷ এই ক্রিয়াটি দীপাবলীর দিন প্রত্যেক বছর করতে থাকুন৷ না হলেল প্রভাব নিস্ফল হয়ে যাবে৷ এভাবে ক্রিয়াটি করলে অংশীদারিত্ব বজায় থাকবে৷


কর্মচারীদের স্থায়ী ভাবে রাখার জন্য
(কেবলমাত্র রপ্তানিকারকদের জন্য)
আমার একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন৷ তিনি তার তৈরির একটি শিল্প গড়েছিলেন,এমনিতে শিল্পটি খুব ভালভাবেই চলছিল, কিন্তু কর্মচারীরা ক্রমশ চাকরি ছাড়তে শুরু করে দেয়৷
এরপর নতুন কর্মচারী খুঁজতে খুঁজতে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল৷ এই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য একজন সাধু আমাকে একটি সরল টোটকা বলেছিলেন৷ এই টোটকাটি আমি আমার বন্ধুকে বললাম৷ পরিণামস্বরূপ একশো শতাংশ লাভ হল৷ টোটকাটি নিম্নপ্রকার—
নিয়ম—শনিবার দিন রাস্তায় পরে থাকা পেরেক তুলে নিন ও ব্যবসার স্থানে নিয়ে গিয়ে মহিষের মূত্র দিয়ে ধুয়ে ও গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ করে নিন৷ তারপর কর্মচারীরা যে ঘরে কাজ করে, সেই ঘরের মাঝখানে সেই পেরেকটি পুঁতে দিন৷ এরকম করলে কর্মচারীরা নিয়মিত ভাবে কাজ করবে৷


ব্যক্তিগত আলস্য পরিত্যাগ করার জন্য টোটকা
আমার বাবার একজন বন্ধু ছিলেন—শ্রী রঘুনাথ প্রসাদজী৷ তার সাগরপুরে ভালো একটি ব্যবসা ছিল৷ বিভিন্ন ধরনের চেষ্টা সত্ত্বেও লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছিলেন না৷
তিনি বললেন আলস্যের কারণে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছিল৷ শত চেষ্টার পরেও কোনও ভালো ফল পাচ্ছিলেন না৷ এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবার জন্য একজন জ্ঞানী ব্যক্তি একটি টোটকা বলেছিলেন৷ সেটি নিম্নপ্রকার—
নিয়ম: মঙ্গলবারে লাল প্রবাল নিয়ে আসুন ও সেটিকে তামা অথবা সোনা দিয়ে সেই দিনই বানিয়ে অনামিকা আঙুলে ‘রামদুতায় হনুমান নমঃ’ মন্ত্রটির ১০৮ বার জপ করে ধারণ করে নিন৷ অবশেষে চল্লিশ দিনের মধ্যে আলস্য থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন এবং লাভও পেতে থাকবেন৷


অসফল কার্য সম্পন্ন কারবার টোটকা
জীবনে প্রায়ই জটিল কার্যে সফলতা আসে না অর্থাৎ তা অধরাই থেকে যায়৷ এমনিতে এটি একটি শুদ্ধ ক্রিয়া—এর প্রয়োগের ফলে কোনও প্রকারের ক্ষতি হয় না৷ অনেক চেষ্টার পরেও কার্য অসফল থেকে গেলে নিম্নলিখিত টোটকাটি করুন৷
নিয়ম :
১৷ সাতটি গোটা হলুদের টুকরো, ২৷ সাতটি পৈতা, ৩৷ সাতটি পূজার ছোট সুপারি ৪৷ সাতটি হলুদ গাঁদা ফুল, ৫৷ সাতটি ছোট-ছোট গুড়ের টুকরো, ৬৷ সাতটি পঞ্চদশী যন্ত্রম, ৭৷ সাতটি ছোট শিশু (১২ বছরের কম)৷
পঞ্চদশী যন্ত্রম
৬ ১ ৮
৭ ৫ ৩
২ ৯ ৪

বৃহস্পতিবার দিন উপরলিখিত বস্তুগুলিকে একত্র করুন ও পীতাম্বর (হলুদ কাপড়) দিয়ে বাঁধুন৷ তারপর বালকদের প্রসাদস্বরূপ অল্প-অল্প হলুদ বরফি ও দক্ষিণার সাথে বিদায় করুন৷ তারপর সেই কাপড়ের পুঁটলিটি পুজোর জায়গায় অথবা লকারে রেখে দিন৷ এই টোটকার প্রভাবে আটকানো কাজ শীঘ্রই সফল ও সম্পন্ন হয়ে যাবে৷
কিছুদিন পর উক্ত জিনিসগুলোকে নিয়ে একসঙ্গে গুঁড়ো করে নিন ও সোনা, রুপো অথবা তামার তাবিজে ভরে নিজের কাছে রাখুন৷

You may also like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *