এই প্রবন্ধে, আমি নবগ্রহ কবচ সম্বন্ধে আলোচনা করছি। গ্রহযামলে উত্তরখণ্ডে এই কবচটি লিপিবদ্ধ রয়েছে। এই কবচটি অধ্যয়ন করলেই বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারা যায়, এই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে গ্রহগণের রূপকের বিস্তার কামনা করা হয়েছে। তারই সাথে সাথে, এই কবচটি পাঠ করলে, কি কি ঘটতে থাকবে তারও বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
আত্মরক্ষা, রণে জয়লাভ, সুখলাভ, আয়ুবৃদ্ধি, রোগমুক্তি, পাপমুক্তি ইত্যাদি যে ঘটবে, তা নিশ্চিত করে বলা হয়েছে।ব্রাহ্মণ হত্যা, সুরাপান বা মদ্যপান ও রক্ষিতা গমনের মতো দুরাচার থেকেও অবশ্যই মুক্তিলাভ ঘটে থাকে। বিশেষ করে নারী বা কোনও মহিলা যদি বাম বাহুতে এই কবচটি ভুজ্যপত্রে অষ্টগন্ধ কালিতে লিখে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে ধারণ করেন, তাহলে সুখ, ঐশ্বর্য সমন্বিত হবেনই এমনটাই আশা করেছেন কবচকার। বন্ধ্যানারীর পুত্ররত্ন লাভ, জন্মবন্ধ্যা, কাকবন্ধ্যা এই কবচের প্রসাদে সন্তানলাভ করে থাকেন। কবচটি প্রাচীন এবং শ্রী ব্যাসদেব কর্তৃক রচিত। এই কবচ অনুষ্টুপ ছন্দে রচিত।
॥ নবগ্রহকবচম্ ॥
ব্রহ্মোবাচ ।
শিরো মে পাতু মার্তণ্ড কপালং রোহিণীপতিঃ ।
মুখমঙ্গারকঃ পাতু কণ্ঠশ্চ শশিনন্দনঃ ।
বুদ্ধিং জীবঃ সদা পাতু হৃদয়ং ভৃগুনন্দনঃ ।
জঠরঞ্চ শনিঃ পাতু জিহ্বাং মে দিতিনন্দনঃ ।
পাদৌ কেতুঃ সদা পাতু বারাঃ সর্বাঙ্গমেব চ ।
তিথয়োঽষ্টৌ দিশঃ পান্তু নক্ষত্রাণি বপুঃ সদা ।
অংসৌ রাশিঃ সদা পাতু যোগাশ্চ স্থৈর্যমেব চ ।
গুহ্যং লিঙ্গং সদা পান্তু সর্বে গ্রহাঃ শুভপ্রদাঃ ।
অণিমাদীনি সর্বাণি লভতে য়ঃ পঠেদ্ ধ্রুবম্ ॥
এতাং রক্ষাং পঠেদ্ য়স্তু ভক্ত্যা স প্রয়তঃ সুধীঃ ।
স চিরায়ুঃ সুখী পুত্রী রণে চ বিজয়ী ভবেত্ ॥
অপুত্রো লভতে পুত্রং ধনার্থী ধনমাপ্নুয়াত্ ।
দারার্থী লভতে ভার্যাং সুরূপাং সুমনোহরাম্ ।
রোগী রোগাত্প্রমুচ্যেত বদ্ধো মুচ্যেত বন্ধনাত্ ।
জলে স্থলে চান্তরিক্ষে কারাগারে বিশেষতঃ ।
যঃ করে ধারয়েন্নিত্যং ভয়ং তস্য ন বিদ্যতে ।
ব্রহ্মহত্যা সুরাপানং স্তেয়ং গুর্বঙ্গনাগমঃ ।
সর্বপাপৈঃ প্রমুচ্যেত কবচস্য চ ধারণাত্ ॥
নারী বামভুজে ধৃত্বা সুখৈশ্বর্যসমন্বিতা ।
কাকবন্ধ্যা জন্মবন্ধ্যা মৃতবত্সা চ যা ভবেত্ ।
বহ্বপত্যা জীববত্সা কবচস্য প্রসাদতঃ ॥
ইতি গ্রহযামলে উত্তরখণ্ডে নবগ্রহ কবচং সমাপ্তম্ ।