মুসলিম মতে বশীকরণ প্রয়োগ / Rules for subjugation according to Muslims

বশীকরণ- প্রয়োগ 

“আগিশনি মাল খানদানী। ইন্নি,অম্মা,হাবা ইউসুফ,জুলেখানি। “ফলানি” মুঝ পে হো দিবানি। বরহক আব্দুল কাদর জিলানী”    

নিয়ম— সম্পূর্ণ নিয়মটি ২১ দিনের,কিন্তু ১১ দিনে এর প্রভাব হতে শুরু করে দেয়। এই নিয়মটির অপবাবহার কখনও করবেন না। অন্যথায় নিজের ক্ষতি হতে পারে। সাধনা করার সময়ে মাংস,মাছ,রসুন,পেঁয়াজ,দুধ,দই,ঘি ইত্যাদি খাদ্যের প্রয়োগ করা উচিত নয়। স্নান করে পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করে সাধনা করা উচিত। পবিত্রতার দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। বড় ধুতি অথবা পরিষ্কার বস্ত্রকে কুঁচি দিয়ে পরে সাধনা করা উচিত ,বাকি কাপড়টিকে শরীরে জড়িয়ে মাথাকে ঢেকে ফেলা উচিত। একটি কাপড়েই সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে ফেলতে হবে, যেমন হিন্দু স্ত্রীরা পরে থাকে। 

উক্ত মন্ত্রটির সাধনা রাত্রে যখন “নমাজ” করার সময় শেষ হয়ে যাবে,তখন করা উচিত। সাধনা করার আগে মুসলমানি পদ্ধতিতে আচমন করুন। সম্ভব হলে স্নান করে নিন। জপটি হয় মুসলমানি পদ্ধতিতে করুন অথবা হিন্দু পদ্ধতিতে। হিন্দু নিয়মে মালার দানাগুলি নিজের দিকে ঘুরিয়ে আনতে হয়। মুসলমানি পদ্ধতিতে মালার দানাগুলি নিজের দিক থেকে নিয়ে আগে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রতিদিন ১১০০ বার জপ্ করতে হবে। যদি ১১ দিনে কাজ না হয় তাহলে ২১ দিন পর্যন্ত জপটি করুন। 

কুরান শরীফ 

“কালা ময়িয ইল ইজামা ওহাইয়া রমিম”

নিয়ম

উক্ত মন্ত্রটি কুরান শরীফের ২৩ তম অধ্যায়ে আছে। এই মন্ত্রটির অপব্যবহার কখনও করবেন না,অন্যথা নিজের ক্ষতি হতে পারে।      

 নিয়মটি করার সময় একটি মাটির চওড়া হাঁড়ি নিয়ে নিন। হাঁড়িটিতে বাইরের হাওয়া আসা যাওয়ার জন্য নিচের দিকে দু-চারটি ছোট-ছোট ছিদ্র করে দিন। পাত্রটিতে আম কাঠের কয়লা ভরে রাখুন। কিছু কয়লা আলাদা রাখুন। পাত্রের কয়লাটি জ্বালিয়ে নিয়ে একবার “বিসমিল্লাহ” বলুন ও এগারো বার “দরূদ শরীফ” পড়ুন ও ভগবানের কাছে নিয়মটির সফলতার জন্য প্রার্থনা করুন। তারপর বাঁ হাতে একটি গোলমরিচ ও ডান হাতে একটি মালা নিয়ে উক্ত মন্ত্রটি ৪০ বার পড়ুন। গোলমরিচ ও কয়লাটিকে ফুঁ দিয়ে মাটির হাঁড়িতে জ্বলন্ত কয়লার উপর ফেলে দিন।যদি সাধকের নাম জানেন তাহলে তার নাম কখনও -কখনও নেবেন। অন্যথা মনে মনে স্মরণ করুন। এইভাবে ১১ দিন পর্যন্ত করুন। যদি মাঝে সাধক এসে যায় তাহলেও ১১ দিন পর্যন্ত করুন। অসম্পূর্ণ ছাড়বেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *