এই প্রবন্ধে, আমি একটি অতি শক্তিশালী স্বামী বশীকরণ যন্ত্রম সম্পর্কে লিখছি, যেটি স্বামী কে বশ করতে খুবই উপযোগী যন্ত্রম হিসাবে যুগ যুগ ধরে বিবেচিত ও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সকল স্ত্রীর মোটেও প্রয়োজন হয় না তাঁর স্বামীকে বশ করার। যাঁদের স্বামী, স্ত্রীর কোনো কথাই শোনেন না, নেশাভান করেন, অন্য মহিলাদের সঙ্গে সময় কাটান, সংসারে কারণে অকারণে অশান্তি করেন, তাঁদের বশ করতে এই স্বামী বশীকরণ যন্ত্রমটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই যন্ত্রমটি খুবই প্রাচীন একটি যন্ত্রম। যন্ত্রমটিকে অনেকে মুসলমানী তন্ত্র সাধনার বিধিবদ্ধ যন্ত্রম বলে মনে করে থাকেন। এই যন্ত্রমটির সুফল প্রমাণিত বলে বহু মুসলিম তন্ত্রবিদ স্বামী বশ করতে, এই যন্ত্রমটির সাহায্য নিয়ে থাকেন। যাইহোক, এই যন্ত্রমটির বহুল ব্যবহারই যন্ত্রমটির কার্যকারিতা সম্পর্কে, তন্ত্র গবেষকদের নিঃসন্দেহ করে থাকে।
এখন, আমি যন্ত্রমটির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে আমার ব্লগের পাঠক বন্ধুদের অবগত করছি। মাসের প্রথম শুক্লপক্ষের প্রথম রবিবার দিন, শুদ্ধাচারে শুদ্ধাসনে পশ্চিমমুখী বসে, ধুপ প্রদীপ জ্বালিয়ে, পরিষ্কার ও নিশ্ছিদ্র ভুজ্যপত্রের উপর গোলাপজল ও জাফরান মিশ্রিত কালি দিয়ে যন্ত্রমটি লিখতে হবে, ডালিমের কলম দিয়ে যন্ত্রমটি লিখবেন।
যন্ত্রম টি শুকিয়ে যাবার পরে ওই যন্ত্রমটিকে পঞ্চোপচারে পূজা করে লোবানের ধুঁয়ো দেখিয়ে, ও মুসলিমগণ ১০৮ বার বিসমিল্লা মন্ত্র ও ৭ বার দুরুদ পাঠ করে লোবানের বা গুগুলের ধুঁয়ো দেখিয়ে রূপার মাদুলিতে ভরে লাল সুতায় অর্থাৎ লাল ঘুনসি বা লাল কার দিয়ে বেঁধে স্ত্রী তাঁর বা হাতের বাজুতে ধারণ করবে।
যদিও আমি, এই প্রয়োগ বা যন্ত্রমের হয়ে কোনো ওকালতি করছিনা, আমি শুধু তথ্য ও শিক্ষামূলক হিসাবে এই ব্লগে সংকলিত করেছি, এবং কোনোরকম ফলাফলের জন্য আমি বা আমার ব্লগের দায়দায়িত্ব নেই বা থাকবে না।