মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হওয়ার তন্ত্র / Tantra of fulfilling human desires

তন্ত্র আসলে কি একটা বুজরুকি? এর উত্তর হলো এটা বুজরুকি নয় বরং একটি সত্যতার জ্ঞান৷ এটি একটি বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান কখনো বুজরুকি হতে পারে না৷ তন্ত্র বা মন্ত্র কখনো মিথ্যা হতে পারে না৷ তবে হ্যাঁ ক্ষেত্র বিশেষে একজন তান্ত্রিক ধোঁকাবাজ হতে পারে৷

লোকেদের মনে এ বিষয়ে এরকম ধারণা হবার কারণ, যে একবার অনভিজ্ঞ ব্যক্তি এই বিষয়ে চর্চা করতে গিয়েছিলো, কিন্তু এই বিদ্যার বিষয়ে সে কিছুই জানতো না৷ সে শুধুমাত্র অল্পবিস্তর কিছু পুস্তক পাঠ করে নিজেকে তান্ত্রিক ভাবতে শুরু করলো৷ শুধুমাত্র তন্ত্র-মন্ত্রের পুস্তক পাঠ করলেই কোনও ব্যক্তি সফল তান্ত্রিক হতে পারে না৷ এক সফল তান্ত্রিক হতে গেলে লাগে কঠোর পরিশ্রম ও সাধনা৷ এই বিদ্যা একটি সমুদ্রের ন্যায় যা শত অধ্যয়ন করলেও শেষ হয় না৷

আমাদের দেশে অন্ধবিশ্বাস প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান৷ বিদেশে লোকেরা যতক্ষণ না  কোনও কথার সত্যতা যাচাই করবে, ততক্ষণ তারা কোনও  কথা মানবে না বা তার কোনোরূপ প্রচার করবে না৷ তন্ত্র-মন্ত্র প্রকৃত অর্থেই সততার প্রতীক বা এটা কোনও মিথ্যা বা বুজরুকি না৷

প্রিয় পাঠকবন্ধু, আপনাকে ‘তন্ত্রপ্রফেট ‘ ব্লগে স্বাগতম ! আপনি এই ব্লগে ভারতীয় অধ্যাত্ম শাস্ত্রের বহু জ্যোতিষ,তন্ত্র, যোগসাধনা ও ভবিষ্যৎবাণী সম্পর্কিত বিষয়গুলি জানতে পারবেন। আপনি হয়তো জেনে খুশি হবেন যে, মানুষের নানা ধরনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হওয়ার সাথে সাথে, মানুষের আধ্যাত্মিক চেতনা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় এবং মন শান্ত হয়, কাজে কর্মে সফলতা আসে, বিভিন্ন প্রাপ্তিযোগ ঘটে থাকে এবং সর্বোপরি মানুষটি মনে একরকম সুবিশাল বল পান।

আমি বহু অধ্যবসায়ের ফলে ভারতীয় তন্ত্র শাস্ত্র থেকে সংগ্রহ করে আমার এই ব্লগের পাঠক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে নিবেদন করছি। যদি অনুশীলন করে বা সেগুলি সম্পর্কে জেনে আপনি খুশি হন, তাহলে আমি আমার সকল শ্রম সার্থক বলে মনে করব।

আগামীতে আরো অনেক বেশি করে সংগ্রহ করার ইচ্ছে রয়েছে। ব্লগের একজন মূল্যবান পাঠক হিসাবে আপনার ভালো মন্তব্যগুলি আমাকে আরো উৎসাহিত করে তুলবে। ভালো ‘ ভালো মন্তব্য ‘ বলতে আমি ‘ গঠনমূলক সমালোচনা ‘ করার কথা বলছি, যা কিনা আমাকে বেশ দৃঢ়ভাবে সংগ্রহ, সংযোজন এবং সম্পাদনা করতে সাহায্য করবে।

ব্লগের একজন মূল্যবান পাঠক হিসাবে আপনার ভালো মন্তব্যগুলি আমাকে আরো উৎসাহিত করে তুলবে। ভালো ‘ ভালো মন্তব্য ‘ বলতে আমি ‘ গঠনমূলক সমালোচনা ‘ করার কথা বলছি, যা কিনা আমাকে বেশ দৃঢ়ভাবে সংগ্রহ, সংযোজন এবং সম্পাদনা করতে সাহায্য করবে।

এবার কিছু শক্তিশালী প্রয়োগ দেওয়া হচ্ছে যেগুলি কিনা অতন্ত্য ফলপ্রসূ:

যে ব্যক্তির বারে বারে জ্বর আসে সে যদি প্রতি শনি অথবা রবিবার বাড়ি থেকে সাতটি চালের দানা নিয়ে মৌন অবস্থায় যেখানে আখ গাছ থাকবে তার গোড়ায় পূর্ব দিকে মুখ করে একটি চালের দানা গোড়ায় রেখে বলবে যে,‘জ্বরদেবতা আপনার শনিবারে নিমন্ত্রণ রইল, তবে না ডাকলে আসবেন না৷’ দ্বিতীয় চালটি রেখে বলতে হবে, ‘জ্বরদেবতা আপনার সোমবার নিমন্ত্রণ রইল, তবে না ডাকলে আসবেন না৷’ এই ক্রিয়াটি পুরো সপ্তাহে দিনের নাম নিয়ে করতে হবে৷ তারপর আবার বাড়ী ফিরে আসতে হবে৷ তার পর দিন থেকে জ্বর আর আসবে না৷

যে ব্যক্তির মাথা ধরার রোগ থাকে তাকে সূর্য উঠার আগে বাড়ি থেকে এক টুকরো গুড় নিয়ে চৌরাস্তায় আসতে হবে৷ তারপর পশ্চিম দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে গুড়ের দানাটি দাঁত দিয়ে কয়েকটা টুকরো করে যথাস্থানে ফেলে দিয়ে বাড়ি চলে আসতে হবে৷ এরূপ করলে মাথা ধরা রোগ সেরে যাবে৷ 

তগর গুল্ম-বিশেষ, কেশর, সমান পরিমাণে নিয়ে পিষে যে স্ত্রীর মাথায় রাখা হবে সেই বশীভূত হয়ে যাবে৷ 

যে স্ত্রীলোকের শিশু গর্ভাশয়ে আটকে মারা যায় তাকে কুলের পাতা,আখের পাতা, বাবুল পাতা, নিম পাতা, অশ্বত্থ পাতা, সাত কুয়ার জল, সাত চৌরাস্তার মাটি নিয়ে কোনও রবিবারে একটি খালি পাত্রে ঢেলে কোনও কুল গাছের নীচে গিয়ে স্নান করতে হবে৷ এই ক্রিয়াটি শুক্ল পক্ষের রবিবারে করতে হবে৷ রোগ নিরাময় হয়ে সুস্থ শিশুর জন্ম হবে৷

গরুর গোবরে দিয়ে চারমুখী প্রদীপ বানিয়ে তিলের তেল দিয়ে জ্বালিয়ে দিন, তাতে একটু গুড়ও দিয়ে দিন৷ এই প্রদীপটি বাড়ীর প্রধান দরজায় রেখে দিন৷ দৃষ্টি দোষ নিমেষে দূর হবে৷

অনেক সময় শিশুরা কাঁদতেই থাকে, বাস্তবে তার কোনও রোগ থাকে না, সে দুধ খাওয়াও বন্ধ করে দেয়৷ এরূপ হলে মায়ের তার নিজের স্তন তিন,পাঁচ অথবা সাতটি সধবা স্ত্রীর দ্বারা থুথু দিয়ে দিন৷ তারপর শিশুকে স্বাভাবিক ভাবে দুধ খাওয়ানো যায়৷

কুমারী কন্যার হাতের কব্জির মাপে সুতা নিয়ে এক হাত লম্বা সুতা নিয়ে নিন৷ তারপর রবিবারে রোগীর ডান হাতে বেঁধে দিন৷ তাহলে পীড়া রোগ নির্মূল হয়ে যায়৷

যাদের কন্যা সন্তান ক্রমাগত জন্মায় তাদের রবিপুস্প যোগে বাঘ ও বিড়ালের নখ একসঙ্গে মোড়ক করে ডান হাতে পরলে পুত্র সন্তান হবার প্রবল আশা থাকে৷

পেঁচার মাংসকে ছায়াতে শুকিয়ে নিয়ে চূর্ণ করার পর কোনও স্ত্রীর মাথায় দিলে সে অনায়াসেই বশীভূত হয়ে যায়৷ 

রবিবার রাত্রে স্বামী শ্বশান এর ছাই এনে তাতে নিজের থুথু ও শুক্র মিলিয়ে কোনও স্ত্রীকে খাওয়ালে সে অনায়াসেই বশীভূত হয়ে যায়৷

রবি পুস্প নক্ষত্রতে স্বেত গুঞ্জর এর মূল নিয়ে চূর্ণ করুন এবং তাতে নিজের শুক্র মিশ্রিত করিয়া কোনও খাদ্যের সহিত স্ত্রীকে খাওয়ালে সে অনায়াসেই বশীভূত হয়ে যায়৷

কাকের জিববা ও নিজের ২০ টি নখ জ্বালান৷ শ্মশানের ছাই, নিজের শুক্র ও কনিষ্ঠ আঙুলের রক্ত ইত্যাদি মিশিয়ে দিন, রবিবারে কোনও স্ত্রীকে খাওয়ালে বশীভূত হয়ে যায়৷

মূল অথবা মূল সংক্রান্ত নক্ষত্রে সাদা সংখ্যাহুলীর মূল, কানের ফুল সমানভাবে নিয়ে তাতে নিজের শুক্র মিশ্রিত করিয়া গুগ্গুলের ধুনো দিয়ে যাকে খাওয়ানো হয় সে অনায়াসেই বশীভূত হয়ে যায়৷

সাদা চন্দন, মাছের পিত্ত, এই দুইটিকে মিশিয়ে বাম হাতের ছোট আঙুল দিয়ে কোনও স্ত্রীর উপর ছড়ালে সে ব্যাকুল হয়ে উঠবে৷

চিতার ছাই, কুট, কেশর এবং গোরোচন পাউডার যে স্ত্রীর মাথায় ঢালা হয়, সে সহজভাবে বশীভূত হয়ে যায়৷

You May also like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *