ভূত -প্রেত বাধা,হাওয়া বাতাস লাগার টোটকা / Ghost Removal Totka

ভূত -প্রেত বাধা,হাওয়া বাতাস লাগা এ সবই কু -সংস্কার বলে মানেন এক শ্রেণীর মানুষ। আরেক শ্রেণীর মানুষ এগুলিকে যথেষ্ট মেনে চলেন এবং ভয়ও পান। আমি নিরপেক্ষ ভাবে বলতে চাই যে, এই উপসর্গগুলি মানসিক বা শারীরিক দুর্বলতা থেকে ঘটতেই পারে কিন্ত যখন চিকিৎসকেরা বহু চিকিৎসা করেও এই উপসর্গগুলি দূরীভূত করতে সক্ষম না হন তখন হতাশা ও নিরাশাগ্রস্ত হয়ে তন্ত্র মন্ত্রের সাহায্য নেওয়ার জন্য উৎসুক হয়ে ওঠেন।

এ বিষয়গুলিতে যে সকল তথ্য,অর্থাৎ তন্ত্র বিষয়ক তথ্য আমি বিভিন্ন প্রাচীন পুঁথি ঘেটে সংগ্রহ করেছি,সেগুলির মধ্যে দুটি উপায় আমি এই প্রবন্ধে লিপিবদ্ধ করছি। এগুলির হয়ে ওকালতি করতে আমি রাজি নই। আমি শুধুমাত্র তথ্যমূলক ও শিক্ষামূলক বিষয় হিসাবে উপস্থাপিত করছি মাত্র।      

ভয় নাশক টোটকা

যে কোনও প্রকার টোটকা বেশি প্রভাবশালী করবার জন্য দীপাবলী, হোলি ইত্যাদি শুভক্ষণে তার সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত মন্ত্রের একটি মালা অবশ্যই জপ করা উচিত৷ এর পরেই এই টোটকাটির প্রভাব হয়৷ এতে ভগবান দত্তত্রেয়র উপাসনা ও ইন্দ্রজাল সাধনার মন্ত্রটিও সিদ্ধ করা আবশ্যক৷ সেই সময়ে তান্ত্রিক রূপে জরি-বুটিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে যদি নিজের কাছে রেখে দেওয়া যায় তাহলে, এই সাধক সারা বছর তার চমৎকারী গুণ দেখাতে পারে৷ নিম্নে কিছু ভয় নাশক টোটকা দেওয়া হল৷ যদি সাধক দীপাবলিতে এই টোটকাটি সিদ্ধ না করেন তাহলে প্রয়োগ করবার জন্য কোনও শুভক্ষণে উক্ত মন্ত্রটি ১০০৮ বার মন্ত্র জপ ও পূজা-যোগ অর্পণ করে তন্ত্রের ব্যবহার করতে পারে৷ ভয় নাশক টোটকাগুলি নিম্নপ্রকার—

ময়ূরের পালক বাড়িতে রাখলে সাপ ঘরে আসে না৷

অশ্লেষা নক্ষত্রতে আমলার শিকড় নিয়ে হাতে ধারণ করলে সাধক হিংস্র পশু থেকে ভয় মুক্ত থাকতে পারবে৷

কেওড়া গাছের শিকড় মাথায় লাগালে চোরের ভয় থাকে না৷

তান্ত্রিক বিধি-নিয়ম অনুযায়ী রবিপুস্প যোগে সাদা আকন্দ ফুলের শিকড় নিয়ে ধারণ করলে বাঘ ইত্যাদি হিংস্র পশুর কোনও ভয় থাকে না৷ এই যোগে কালো ধুতরা ফুলের শিকড় নিয়ে কাজ করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়৷    

আগুনের ভয় থেকে মুক্তি পাবার জন্য সাদা আকন্দ ফুলের শিকড় ধারণ করলে লাভ পাওয়া যায়৷

ফিরোজা রত্ন ধারণ করলে বিষধর জংলী সাপ, বিছা ইত্যাদি সাধকের সামনে আসতে পারে না৷

অশ্লেষা নক্ষত্রতে নিয়ম করে লজ্জাবতী লতার শিকড় নিয়ে শরীরে ধারণ করলে ব্যক্তি সমস্ত রকমের ভয় থেকে মুক্তি পায়৷

কৃতিকা নক্ষত্রতে তৈরি করা লোহার আংটি ধারণ করলে ব্যক্তি সমস্ত রকমের জাদু-টোনা ও বিভিন্ন প্রয়োগ থেকে বাঁচতে পারে৷ এটি সমস্ত ধরনের কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করে৷

প্রেতবাধা নাশক টোটকা

সাধারণত ভূত-প্রেত অথবা অশুভ আত্মারা ব্যক্তিকে নিজেদের বশে নিয়ে শারীরিক, মানসিক সমস্যার উৎপন্ন করে দেয়, যার সমাধান চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোনও বিদ্যায় হয় না৷

এটি শক্তি উপাসনা অথবা দৈব শক্তির কৃপায় সমাধান করা যেতে পারে৷ এর জন্য মুনি-ঋষিরা দূর্গা, হনুমান, শিব, কালী ও পীর-পয়গাম্বরের শক্তির সাহায্যে নিয়ে রোগীকে বিভূতি ইত্যাদি দিয়ে ঠিক করেন অথবা চামুন্ডা বা ভুতেশ্বরীর স্মরণ করে একে দূর করেন৷

এই ধরনের কোনও বাধার জন্য হোলি-দীপাবলি বা গ্রহণের রাত্রিতে ১১ টি মালা সহ নিম্ন মন্ত্রটি জপ করুন৷

তারপর এর সঙ্গে সম্পর্কিত তান্ত্রিক সামগ্রী অভিমন্ত্রিত করে প্রয়োগ করা হলে যে কোনও প্রকার বাইরের বাতাস বা প্রেতবাধার নিবারণ করা হয়৷

  ওঁ নমঃ শ্মশানবাসিন্যে ভুতাদিনা পলায়ন কুরু কুরু স্বাহা৷

উপরোক্ত মন্ত্রটি ১০৮ বার অভিমন্ত্রিত করে রসুন ও হিং একসঙ্গে পিষে লেপন তৈরি করুন৷ এটি লাগিয়ে শুকিয়ে নিলে প্রেতবাধার নিবারণ হয়ে যায়৷ 

বেল, দেবদারু, প্রিয়ঙ্গু গাছের শিকড় নিয়ে চূর্ণ তৈরি করুন৷ এর ধুনো দিলে প্রেতবাধার নিবারণ হয়ে যায়৷ অশ্বিনী নক্ষত্রতে ঘোড়ার খুর (নখ) নিয়ে প্রেতবাধাগ্রস্ত ব্যক্তিকে ধুনো দিলে সমস্ত প্রকারের ভৌতিক উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷

You may also like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *