ভারতীয় তন্ত্রে নানারকম টোটকার ব্যবহার / Various Totka used in Indian Tantra

নানা সমস্যার জন্য ভারতীয় তন্ত্রে নানারকম টোটকার ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে। আমি এই প্রবন্ধে পরীক্ষায় উতীর্ণ হবার টোটকা, কর্মে অলসতার হাত থেকে মুক্তি পাবার টোটকা,বাড়িতে সুখ-শান্তি ও ব্যবসার স্থানে অর্থ আসবার টোটকা,ঘোড়ার নালের বিশেষ টোটকা ও ঋণ থেকে মুক্তি পাবার টোটকাগুলি নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য এই ধরনের টোটকাগুলির জুড়ি মেলা ভার। আশা করি আমার ব্লগের মূল্যবান পাঠক হিসাবে এই টোটকাগুলি আপনার ভারতীয় তন্ত্র সম্পর্কে আপনার তথ্য ভান্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ  হবার টোটকা

অনেক পরিশ্রম করার পরেও অনেক শিশু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে না যার ফলে সে বিষন্নতায় ভেঙে পরে৷ এমত অবস্থায় ভাগ্যকে দোষ দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায়  থাকে না৷ এমনও বলা  হয় যে ,এই অসফলতার জন্য ভালো ভাবে সফল হবার চেষ্টাই করা হয়নি৷ কিন্তু কখনও এমনও হয় যে, সম্পূর্ণ এক মনে করা কাজ অসফল হয়ে গেছে৷ এই পরিস্থিতিতে অসফল হলে নিম্ন টোটকাটির প্রয়োগ করুন৷

যন্ত্রম

                ৬৩    ৮১  ২    ৮

                ৬     ৩   ৬৮   ৬

                 ৮০   ৬৪   ৯     ১

                ৪     ৬   ৬৫   ৬৯

নিয়ম: পরীক্ষা যখন চলছে তখন প্রতিদিন দই খান ও এই নিয়মে খেতে থাকুন—যেমন প্রথম দিন সকাল ৮ টায়, দ্বিতীয় দিন ৯ টায়, তৃতীয় দিন ১০ টায় ও চতুর্থ দিন সকল ১১ টায়৷ এইভাবে এক ঘণ্টার হিসাবে প্রতিদিন সময় বাড়াতে থাকুন৷ এর ফলে পরীক্ষার ফলাফল আশানুরূপ হবে৷ বিশেষ লাভের জন্য উপরোক্ত যন্ত্রমটিকে ভূজ্যপত্রের উপর অশ্বগন্ধা কালি ও ডালিমের কলম দিয়ে লিখতে হবে, তারপর নিজের পকেটে রেখে পরীক্ষার হলে চলে যান—নিঃসন্দেহে সফলতা পাবেন৷

কর্মদক্ষতা থাকলেও কর্মে অলসতা

প্রায়শই এমন দেখা গেছে যে, শিশুদের মধ্যে কর্মদক্ষতা থাকা সত্ত্বেও কর্মে অলসতা দেখা যায়৷ সুকলে উপস্থিত হবার জায়গায় অনুপস্থিত থাকে৷ এই পরিস্থিতিতে মা-বাবাকে অনেক সমস্যার মধ্যে পরতে হয়৷ শিশুরা পড়াশোনায় ভালো হওয়া সত্ত্বেও পিছিয়ে পরে৷ শিক্ষা গ্রহণ করার নামে নানারকম অজুহাত দেখতে শুরু করে৷ এই পরিস্থিতিতে নিম্নলিখিত টোটকাটির প্রয়োগ করুন, এতে লাভবান হবেন৷

নিয়ম: রবিবারে অ্যালকোহল (মদ) নিয়ে সঙ্গে-সঙ্গে ভৈরব মন্দিরে অর্পণ করুন ও অর্পণ করার পর প্রসাদস্বরূপ যে মদটি বেঁচে যাবে, সেই মদটিকে শিশুটির উপর থেকে সাত বার চক্রাকারে ঘুরিয়ে দিন৷ তারপর সেই মদটিকে দান করে দিন অথবা অশ্বত্থ গাছ অথবা শ্মশানে গিয়ে ফেলে আসুন৷ শীঘ্রই ফল পাওয়া যাবে৷

বাড়িতে সুখ-শান্তি ও ব্যবসার স্থানে অর্থ সমাগম হবার টোটকা

প্রায়শই এমন দেখা যায় যে,বাড়িতে সুখ-শান্তি ও ব্যবসার স্থানে উন্নতি হয় না৷ ব্যবসায় কোনও উন্নতি হয় না ও বাড়িতে সুখ-শান্তির অভাব থাকে৷

উল্লেখিত টোটকাটি জীবনের মূল স্রোতে হওয়া সমস্যা সমাধানের পথটি সুগম করে দেয়, ও এর সাহায্যে বাড়িতে সুখ-শান্তি পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে যায়৷ ব্যবসার স্থানে ক্রমাগত উন্নতি হতে থাকে৷ এই টোটকার প্রভাবে ঘরের লক্ষ্মী আপনার বাড়িতে অধিষ্ঠান করেন৷

নিয়ম : নিম্নলিখিত টোটকাটি যন্ত্রস্বরূপ, এই যন্ত্রটিকে ভূজ্যপত্রের উপর জুঁই ফুলের কলম দিয়ে অশ্বগন্ধা ও গোরোচনের কালি দিয়ে লিখুন ও দেওয়া মন্ত্রটি অভিমন্ত্রিত করে কাঁচের ফ্রেমে বাঁধিয়ে বাড়িতে ও ব্যবসার স্থানে টাঙিয়ে রাখুন৷ মনোস্কামনা পূরণ হবে৷

মন্ত্রটি নিম্নরূপ :

                ভম্বর ওয়ীর তু চেলা মেরা,

                খোল দুকান বিক্রা কর মেরা৷

                উঠে যো ডন্ডি বিকে যো মাল,

                ভম্বর ওয়ীর সো করে নিহাল৷

বিশেষ লাভের জন্য ২১ বার মন্ত্রটি পড়ে কালো বিউলির ডাল (এক মুঠো) বাইরে-ভিতরে ফেলে দিন, বিশেষ ভাবে লাভবান হবেন৷

ঘোড়ার নালের বিশেষ টোটকা

নজর দোষে নালের মহত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ প্রায়শই এমন দেখা যায় যে, বাড়ি, দোকান, ব্যবসার স্থানে প্রধান দরজায় নাল লাগানো থাকে৷ এই নাল খারাপ নজর থেকে রক্ষা করে, কিন্তু এই কাজের জন্য যে কোনও ঘোড়ার নাল কার্যকরী হয় না৷ টোটকাটি নিম্নরূপ—

নিয়ম : কালো ঘোড়ার নাল নজর ও টোটকায় বিশেষ প্রভাবশালী হয়৷ শনিবার অথবা মঙ্গলবার কালো ঘোড়ার নাল নিয়ে আসুন, তারপর গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে এটিকে শুদ্ধ করে নিন৷ এরপর নালের মুখটিকে উপরের দিকে করে দরজায় লাগিয়ে দিন৷ এই কথাটি বিশেষ ভাবে মনে রাখতে হবে যে, যদি দরজার প্রধান দিক পূর্ব অথবা পশ্চিম দিকে হয় তাহলে শুক্রবারে লাগাতে হবে৷ নজর দোষ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন৷ 

ঋণ থেকে মুক্তি পাবার টোটকা

আজকের বর্তমান যুগে পঞ্চাশ শতাংশ ব্যক্তি ঋণের বোঝায় জর্জরিত ও ঋণের টোপ থেকে যতই বাইরে আসার চেষ্টা করুক না কেন ততই ঋণে জড়িয়ে পড়ে৷ জীবনের কোনও-না-কোনও বিশেষ মুর্হূতেএসে প্রত্যেক বাক্তিকেই ঋণ নিতে হয়৷ যদি ঋণের পরিস্থিতি এমনই হয় যে, সেটা শোধ করতে কয়েক যুগ চলে যায় কিন্তু ঋণশোধ শেষ হয় না৷ পাঠকদের লাভের জন্য একটি টোটকা নিম্নে দেওয়া হলো—

নিয়ম : সর্বপ্রথম পাঁচটি গোলাপ ফুল নিন৷ মনে রাখবেন এর পাপড়ি যেন ভাঙা না থাকে৷ তারপর সোয়া মিটার সাদা কাপড় সামনে মেলে রাখুন ও গোলাপ ফুলগুলি কাপড়ের চার কোনায় বাঁধুন৷ পঞ্চম গোলাপটি কাপড়ের মাঝখানে রেখে গিঁট লাগিয়ে দিন৷ এই কাপড়ের পুঁটলিটি গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে ভাসিয়ে দিন৷ প্রভুর কৃপায় ঋণ থেকে মুক্তি ও বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে৷

You may also like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *