ব্যবসা ও বাড়ি বাঁচাবার ও ধন প্রাপ্তির জন্য টোটকা/ Totka to save business,home and get rich

দেনা থাকে মুক্তি পাবার জন্য সর্বপ্রথম পাঁচটি সদ্য প্রস্ফুটিত লাল গোলাপ ফুল নিয়ে আসুন৷ এরপর দেড় মিটার সাদা কাপড় নিজের সামনে পেতে দিন৷ এই পাঁচটি গোলাপ ফুল গায়েত্রী মন্ত্র জপের সাথে বেঁধে দিন৷ এরপর আপনি নিজে গিয়ে গঙ্গা অথবা যমুনাতে প্রবাহিত করে আসুন৷ ঈশ্বর চাইলে বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি ও শান্তির বাতাবরণ থাকবে৷ গায়েত্রী মন্ত্রটি  দেওয়া হল:—

ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ
তৎ সবিতুর্বরেণ্যং
ভর্গো দেবস্য ধীমহি
ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াৎ।

নিজের ব্যবসা ও বাড়ি খারাপ নজর থেকে বাঁচাবার জন্য লোহার নাল বাড়িতে লাগিয়ে রাখুন৷ এর অর্থ হল নাল শুধুমাত্র ঘোড়ার হলেই ভালো৷ এরপর নালটিকে গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে ফেলা উচিত৷ যদি ব্যবসাস্থল ও বাড়ির মুখ পূর্বদিকে থাকে তাহলে রবিবার ও পশ্চিমদিকে থাকলে শুক্রবার দিন লাগান৷ এই কথাটি অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে নালের খোলা মুখটি যেন নীচের দিকে থাকে৷     

রবিবার দিন গঙ্গাজল নিয়ে আসুন৷ তাতে ২১ বার গায়েত্রী মন্ত্র দ্বারা অভিমন্ত্রিত করে নিন,তারপর সেই জলটি কার্যালয় অথবা দোকানের চারটি দেওয়ালে ভালো করে ছিটিয়ে দিন৷ এরপর অল্প গোটা কালো মুগ ডাল নিয়ে তাতে ৩১ বার নিম্ন মন্ত্রের জপ করুন ও কার্যালয় ও দোকানের চারদিকে ছিটিয়ে দিন৷ এই ক্রিয়াটি করলে দোকানের বিক্রি নিরন্তর বাড়তে থাকবে৷ এই তান্ত্রিক ক্রিয়াটি অনেক বার করতে হবে৷ মন্ত্রটি নিম্নরূপ:—

ভম্বর ঐয়ীর তু চেলা মেরা৷

                খোল দুকান কহা কর মেরা৷৷

                উঠে যো ডন্ডি, বিকে যে মাল৷

                ভম্বর ঐয়ীর সো করে নিহাল৷৷                                     

শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবারে বাড়ি অথবা ব্যবসার স্থানে মুখ্যদ্বারের একটি কোণ গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে নিন৷ এরপর হলুদ দিয়ে স্বস্তিক বানান৷ তাতে কিছুটা ছোলার ডাল ও গুড় রেখে দিন৷ এরপর স্বস্তিকটিকে দেখবেন না৷ ঈশ্বরের কৃপায় আপনি শীঘ্রই লাভের মুখ দেখতে পাবেন৷ এটি একটি শুদ্ধ সাত্ত্বিক ক্রিয়া৷

তামার ঘটি (ঢাকনা সমেত), রুপোর সর্প-সার্পিনীর জোড়া, রুপোর একটি ছোট পাত্র, পাঁচটি ছোট সুপারি, হলুদের সাতটি গোটা দানা এই সব দ্রব্যগুলো ঘটিতে জল ভরে দিয়ে দিন৷ এরপর ঢাকনাটি ভালো করে লাগিয়ে দিন৷ এরপর এই ঘটিটি  মুখ্য দ্বারে পশ্চিম দিকে পুঁতে দিন৷ যদি সম্ভব হয় তাহলে কোনও তান্ত্রিক অথবা বিদ্বান পণ্ডিতের পরামর্শ নিয়ে নিন যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে৷ এতে ধন প্রাপ্তির পথ সুগম হয়৷

শনিবার দিন সন্ধ্যাবেলা মুগ ডালের গোটা দানা নিয়ে তাতে অল্প দই ও সিঁদুর ছিটিয়ে দিন৷ এরপর এটি কোনও অশ্বত্থ গাছের নীচে পুঁতে দিন৷ মনে রাখতে হবে যাতে ঘুরে না দেখা হয়৷ এই টোটকাটি ২১ দিন পর্যন্ত নিয়ম করে করুন৷ এই ক্রিয়াটি করলে ধন প্রাপ্তি হয়৷

মঙ্গলবার ৭টি গোটা বৃন্ত সমেত কাঁচা লঙ্কা ও একটি লেবু নিন৷ এরপর সেটিকে একটি সুতোতে বেঁধে দিন৷ ব্যবসাস্থল অথবা কার্যালয়ের বাইরে টাঙিয়ে দিন৷ এই ক্রিয়াটি প্রত্যেক মঙ্গলবার করুন৷ এরূপ করলে ব্যবসা ভালো হয় ও নজরও লাগে না৷ এই প্রয়োগটি শনিবার দিনও করা যেতে পারে৷

ঘোড়া যখন সন্তান প্রসব করে তখন বাচ্চার সাথে একপ্রকারের ঝিল্লি বাইরে আসে ও ঘোড়ী সেটাকে তাড়াতাড়ি চেষ্টা করে খেয়ে নেয়৷ সেই ঝিল্লির রচনা সাদা হয়৷ যদি এই ঝিল্লিটা সাবধানে রাখা যায় তাহলে অসীম ধন প্রাপ্তি হয়৷ 

পৈতৃক সম্পত্তি প্রাপ্তির জন্য ব্যক্তি বিশেষে সোমবার দিন চিটকাবাড়ি করি নিয়ে পিষে নিন৷ এই চিটকাবাড়ি পাউডার সেই ব্যক্তির বাড়ির দ্বারে ছড়িয়ে দিন যার কাছ থেকে আপনি সম্পত্তি পাবেন৷ এই টোটকাটি কয়েক বার করুন৷ সকল কার্যে সফল হবেন৷ নিম্ন মন্ত্রের জপ করুন— ‘ওঁ আং অং স্বাহা৷’

মঙ্গলবার দিন লাল চন্দন, লাল গোলাপ ফুল ও কুমকুম নিয়ে আসুন৷ এই বস্তুগুলিকে লাল কাপড়ে বেঁধে ক্যাশ বাক্স অথবা দ্রব্য রাখার স্থানে রেখে দিন৷ ভালো অর্থ সমাগম হবে৷ এই টোটকাটি প্রতি ৬ মাস অন্তর করতে থাকুন৷

যেদিন  লটারির টিকিট কাটবেন সেইদিন সকালে স্নান করে নিন৷ মা লক্ষ্মীর ছবিতে ধূপ, প্রদীপ জ্বালান৷ হলুদ ফুল অর্পণ করুন ও হলুদ বস্তু খেয়ে, হলুদ বস্ত্র পরিধান করে লটারির টিকিট নিয়ে আসুন৷ এটা মনে রাখতে হবে সেই টিকিটের অঙ্কের যোগফল আপনার টাকার অঙ্কের সাথে যেন মিলে যায়৷ সেই টিকিটটি নিয়ে লক্ষ্মীর সামনে রেখে দিন৷ মা লক্ষ্মীর কৃপায় হয়ত আপনি পুরস্কার পেতে পারেন৷ মূল্যায়ণ আপনি জন্ম তারিখ থাকে করতে পারেন৷ মনে রাখতে হবে যেন জন্ম তারিখ সঠিক হয়৷ নচেৎ অঙ্ক ভুল হয়ে গেলে আপনি লাভ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন৷

সকালে ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত নিজের হাতের চেটো ভালো করে লক্ষ্য করে তিনবার চুম্বন করুন৷ সফলতা প্রাপ্ত করবার জন্য এটি একটি সফল টোটকা৷ এই টোটকাটি যে কোনও শনিবার শুরু করতে পারেন৷ এই টোটকাটি গুপ্ত ভাবে করুন নয়ত মনোবাঞ্চিত ফল পেতে অসুবিধা হতে পারে৷

প্রতিদ্বন্দ্বীকে তাড়ানোর জন্য কোনও রবিবারে কুঁচ নিয়ে রেখে দিন৷ যখন কোনও কুমারী মেয়ে ঋতুমতী হবে তখন সেই রক্তের সাথে উক্ত কুঁচ বীজটি ভিজিয়ে নিন৷ এরপর এটিকে ছায়ায় শুকাতে দিন৷ এটিকে পিসে এর চূর্ণ তৈরি করুন৷ এই চূর্ণটিকে শত্রুর ঘর, দোকানের মুখ্য দ্বারে ছড়িয়ে দিন৷ কিছুক্ষণ পর সে নিজেই পালিয়ে যাবে৷

You may also like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *