সব কিছু দিক থেকে পরিপূর্ণ হয়েও বিবাহের ক্ষেত্রে নানা বাধা এসে বিবাহের্ পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রবন্ধে আলোচিত যন্ত্রমটি সেই সব বাধা দূর করতে পারঙ্গম ও ক্ষমতাসম্পন্ন।
প্রথমেই কয়েকটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, মনে রাখতে হবে, গুরুমুখী বিদ্যা হওয়ার দরুন এই শাস্ত্র অতীব জটিল ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতীব দুর্লভ।
এই ব্লগে আমি প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো বিষয়ে নিবন্ধ্ লিখছি তা সে জ্যোতিষ বা তন্ত্র বা আরো অনেক ভবিষ্যৎ দর্শন সম্বন্ধীয়। আমার তথ্যের উপর ভিত্তি করে যারা কোনো মন্ত্র জপ্ বা যন্ত্রম তৈরী করবেন , তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে , যে কোনো মন্ত্র বা তন্ত্রের ফলাফলের জন্য আমি বা আমার এই সাধু প্রয়াসটি অর্থাৎ আমার এই ব্লগটির কোনো ভাবেই দায়দায়িত্ত্ব থাকবেনা।
কারণ যিনি এই মন্ত্র বা তন্ত্রগুলির অভ্যাস করবেন তার দ্বারা কৃত কর্মের ত্রুটিবিচ্যুতির ফলে কোনো অসুবিধা বা অসাফল্য হতেই পারে। তার দায়ভার আমার বা আমার এই ব্লগটির থাকবে না এবং সমুদ্রের মতো বিশাল ব্যাপ্তি নিয়ে যে তন্ত্র শাস্ত্র স্বয়ং দেবাদিদেব শিবের মুখনিঃসৃত ও গুরু পরম্পরায় প্রবাহিত হয়ে চলেছে , তা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। কোনো পুস্তক বা তথ্য সম্বলিত আলোচনায় কোনো মন্ত্রের সাথে এই ব্লগের কোনো প্রবন্ধের মিল পেলেও তা বিনামূল্যে প্রকাশিত ও বিতরিত তথ্য ও শিক্ষামূলক দানের মাপকাঠিতেই বিচার্য।আরো মনে রাখতে হবে, এই ব্লগটি মূলত এটি একটি তথ্য ও শিক্ষা মূলক এবং সর্বোপরি সেবা মূলক ব্লগ হিসাবেই সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।
এখন আমি যন্ত্রমটির প্রয়োগ সম্পর্কে আলোচনা করছি। যিনি এই যন্ত্রমটি তৈরি করবেন, মলমাস বাদ দিয়ে যে কোনো মাসের সংক্রান্তির দিন বেলা ১২ টার সময় নতুন সাদা কাগজের উপরে কাঁচা হলুদের রস দিয়ে ডালিম ডালের কলম দিয়ে অতি শুদ্ধতার সাথে এই যন্ত্রমটি এঁকে নেবেন এবং ঠিক তার পরের রবিবার উক্ত যন্ত্রমটি পুনরায় একই নিয়মে আরো একটি আঁকতে হবে। সকাল ১০ টার মধ্যে আঁকতে হবে।
হলুদের মালায় মন্ত্রটি ১০০৮ বার জপ করতে হবে। জপ হয়ে গেলে যন্ত্রম দুটিকে পঞ্চোপচারে পুজো করতে হবে। দ্বিতীয় দিনে বানানো যন্ত্রমটি সলতের মতো পাকিয়ে নিয়ে যে ব্যক্তির বিবাহে বাধা আসছে তাকে দিতে হবে। ওই সলতেটা সে মাটির প্রদীপে সে জ্বালাবে। ২১ টি রবিবার সকাল ৯ টার মধ্যে তাঁকে জ্বালাতে হবে। যখন সে জ্বালাবে তখন মন্ত্রটি ১০৮ বার ক্রমাগত সে জপ করতে থাকবে। উত্তর বা পূর্ব দিকে মুখ করে বসে এবং প্রদীপের মুখ উত্তর বা পূর্ব দিকে করে তাঁকে জ্বালাতে হবে। মনে সে তাঁর ইচ্ছা প্রকরবে যে সত্বর যেন তাঁর বিবাহ কার্য সুসম্পন্ন হয়।
মন্ত্রঃ ” ওঁ হ্রীং হং সঃ”