পড়াশোনায় অমনোযোগ, স্মরণশক্তিবৃদ্ধি ও বিদ্যায় সফলতা পেতে অদ্বিতীয় সরস্বতী যন্ত্রম ও সরস্বতী মন্ত্র / Swaraswat Yantram and Mantra for Inattention Study, Memory Enhancement, Successful Learning

এই প্রবন্ধে , আমি এমন একটি মন্ত্র ও যন্ত্রম সম্পর্কে লিখছি, যে যন্ত্রমটি ও মন্ত্রটি ছাত্র ও ছাত্রীদের পড়াশোনায় অমনোযোগ, স্মরণশক্তিবৃদ্ধি  ও বিদ্যায় সফলতা পেতে অদ্বিতীয় সরস্বতী যন্ত্রম ও সরস্বতী মন্ত্র।  বহু প্রাচীন এই যন্ত্রম ও মন্ত্রটি বস্তুত আমার ব্লগের পাঠক ও পাঠিকাদের সন্তানদের বেশ কাজে আসবে বলেই আমার ধারণা। বসন্ত পঞ্চমীতে অর্থাৎ সরস্বতী পুজোর দিন থেকে এই মন্ত্রটি জপ শুরু করার একটি শ্রেষ্ঠ সময়।  যদিও যে কোনো শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি থেকেই এই মন্ত্রটি জপ শুরু করা যেতেই পারে, কিন্তু যন্ত্রমটি অবশ্যই বসন্ত পঞ্চমী তিথিতেই তৈরি করতে হবে।
যে সব ছাত্র বা ছাত্রীরা পড়াশোনায় বড্ড অমনোযোগী , বা যাদের স্মরণশক্তি অত্যন্ত দূর্বল বা যাঁরা তাঁদের সন্তানদের বিদ্যায় সফলতা প্রত্যাশা করেন, তাঁরা এই মূল্যবান মন্ত্র ও যন্ত্রমটি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন, আশা করি সুফল পাবেন।

প্রথমেই কয়েকটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, মনে রাখতে হবে, গুরুমুখী বিদ্যা হওয়ার দরুন এই শাস্ত্র অতীব জটিল ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতীব দুর্লভ।


এই ব্লগে আমি প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো বিষয়ে নিবন্ধ্ লিখছি তা সে জ্যোতিষ বা তন্ত্র বা আরো অনেক ভবিষ্যৎ দর্শন সম্বন্ধীয়। আমার তথ্যের উপর ভিত্তি করে যারা কোনো মন্ত্র জপ্ বা যন্ত্রম তৈরী করবেন , তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে , যে কোনো মন্ত্র বা তন্ত্রের ফলাফলের জন্য আমি বা আমার এই সাধু প্রয়াসটি অর্থাৎ আমার এই ব্লগটির  কোনো ভাবেই দায়দায়িত্ত্ব থাকবেনা।
 কারণ যিনি এই মন্ত্র বা তন্ত্রগুলির অভ্যাস করবেন তার দ্বারা কৃত কর্মের ত্রুটিবিচ্যুতির ফলে কোনো অসুবিধা বা অসাফল্য হতেই পারে। তার দায়ভার আমার বা আমার এই ব্লগটির থাকবে না এবং সমুদ্রের মতো বিশাল ব্যাপ্তি নিয়ে যে তন্ত্র শাস্ত্র স্বয়ং দেবাদিদেব শিবের মুখনিঃসৃত ও গুরু পরম্পরায় প্রবাহিত হয়ে চলেছে , তা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। কোনো পুস্তক বা তথ্য সম্বলিত আলোচনায় কোনো মন্ত্রের সাথে এই ব্লগের কোনো প্রবন্ধের মিল পেলেও তা বিনামূল্যে প্রকাশিত ও বিতরিত তথ্য ও শিক্ষামূলক দানের মাপকাঠিতেই বিচার্য।আরো মনে রাখতে হবে, এই ব্লগটি  মূলত এটি একটি তথ্য ও শিক্ষা মূলক এবং সর্বোপরি সেবা মূলক ব্লগ হিসাবেই সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।

যাই হোক , বসন্ত পঞ্চমীতে যিনি এই শক্তিশালী সরস্বতী যন্ত্রমটি প্রস্তুত করবেন, তিনি সরস্বতী পুজোর দিন খুব সকালে স্নান করে মা সরস্বতীর মূর্তি বা ছবিকে যথা নিয়মে পূজা অর্চনা করার পর শুদ্ধ্ বস্ত্রে শুদ্ধ মনে একটি ভুজ্যপত্রে বা একটি সাদা কাগজে রোলি বা অষ্টগন্ধ কালি সহযোগে যন্ত্রমটি ডালিম ডালের কলম দিয়ে লিখবেন। যন্ত্রমটি উত্তরমুখী হয়ে প্রস্তুত করবেন। সাদা কাপড় পরে ও সাদা আসনে বসে প্রস্তুত করবেন। ধূপকাঠি ও প্রদীপ জ্বেলে নেবেন। মায়ের মূর্তি বা ছবির সামনেই প্রস্তুত করে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে আগামী বসন্ত পঞ্চমী পর্যন্ত পূজাস্থানে রেখে নিত্য পূজা করবেন, পরের সরস্বতী পুজোর দিন আগের যন্ত্রমটি বিসর্জন করে পুনরায় যন্ত্রম প্রস্তুত করে নেবেন।


এবার আসি মন্ত্র জপ প্রসঙ্গে, অতীব ফলপ্রদ এই মন্ত্রটি সন্তানকে দিয়েই জপ করবেন। একই নিয়মে জপ করতে হবে।  প্রতিদিন ২৮( আটাশ ) বার বা ৫৪ ( চুয়ান্ন )বার মন্ত্রটি মায়ের ছবির সামনে বসে জপ করলে অবশ্য মায়ের কৃপা প্রাপ্ত হবে , সন্দেহ নেই। স্বল্প মেধাবী ছাত্র বা ছাত্রীর ক্ষেত্রে এই মন্ত্রটি জাদুর মতো কাজ করে থাকে। নিচে মন্ত্র ও যন্ত্রমটির প্রতিকৃতি দেওয়া হলো। প্রতিদিন একই সংখ্যায় জপ করতে হবে।     

মন্ত্র :  ” ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং বদ্ বদ্ বাগ্বাদিনী সরস্বতী তুষ্টি পুষ্টি তুভ্যং নমঃ”

আপনার হয়তো এই প্রবন্ধ গুলিও ভালো লাগবে 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *