প্রাচীন কিছু প্রভাবী টোটকা / Some influential totkas from the ancients

এখানে আমি কিছু প্রাচীন এবং প্রভাবী টোটকার বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি, যেগুলির ব্যবহার কিনা আজকাল সমাজে খুব বেশি দেখা যায় না। তবে এগুলি প্রভাবী টোটকা এতে সন্দেহ নেই।

দুগ্দপানে সাবধানতা

প্রায়ই আমাদের মা বোনেদের শিশুর লালন-পালন কীভাবে করবেন সেই বিষয়ে কোনও রকম প্রারম্ভিক শিক্ষা দেওয়া হয় না, তবুও তারা শিশুদের লালন-পালনে কোনও ত্রুটি রাখেন না৷ এমন কিছু ত্রুটি আছে যেটা মা বোনেদের মধ্যে প্রায়ই করতে দেখি৷ যদি ওই ত্রুটিগুলো শুধরে নেওয়া যায় তাহলে শিশু স্বাস্থ্যবান ও নীরোগ থাকবে৷

দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুদের আঁচলে লুকিয়ে রাখুন৷ দুধের পাত্রটিও লুকিয়ে রাখুন৷ যদি সম্ভব হয় তবে দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর দিকে স্নেহময় নজরে বার বার তাকান৷ এভাবে দুধ খাওয়ালে শিশুর মনে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে ও আপনার স্নেহের নজর তার মাংশপেশী ও হাড়কে শক্তিশালী করবে৷ মহাভারতে এমনি এক দৃষ্টান্ত রয়েছে৷

দুর্যোধন শারীরিক দৃষ্টিতে যথেষ্ট শক্তিশালী ছিলেন৷ এই বিষয়ে বলা হয়— একবার দুর্যোধনের মা গান্ধারী স্নেহবশে দুর্যোধনকে বললেন—‘দুর্যোধন! আমি তোমার শরীরে আমার স্নেহময় দৃষ্টি দেব৷ যেখানে যেখানে আমার দৃষ্টি পরবে তোমার শরীরের সেই স্থান বজ্রের মতো কঠোর হয়ে যাবে৷’

দুর্যোধন সমস্ত বস্ত্র খুলে ফেললেন, যখন গান্ধারী চোখের বাঁধন খুলে দেখলো দুর্যোধন তার নিতম্বের স্থান কলা পাতা দিয়ে ঢেকে রেখেছে৷

গান্ধারী অসন্তোষের সাথে জিজ্ঞাসা করলেন—‘পুত্র! এসব কি৷’

দুর্যোধন বললেন—‘মাতাশ্রী! লজ্জাবশতঃ আমি এটা করেছি৷’

‘পুত্র! মায়ের কাছে কিসের লজ্জা?’ গান্ধারী জিজ্ঞাসা করলেন৷

দুর্যোধন চুপ করে গেলেন৷ পরবর্তীকালে দেখা গেল শরীরের ওই জায়গাতেই ভীম গদার সাহায্যে দুর্যোধনকে শেষ করেছিল৷

ভালো মায়ের স্নেহময় নজর কবজের সমান হয়৷ এই কবজটি প্রাপ্ত করার সঠিক সময় হল দুগ্দপান করানোর সময় হয়৷

মা-বোনেরা নিজেরা শুয়ে শুয়ে কখনো দুধ খাওয়াবেন না৷ এতে শিশুদের মধ্যে নানা প্রকারের কানের রোগ দেখা যায়৷ যদি মায়েরা এই কথাটি মনে রাখেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার সন্তানকে বলিষ্ঠ, নীরোগ ও আত্মবিশ্বাসী করতে পারবেন৷


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *