যদি আপনার স্ত্রীর কোনও কারণে ক্রোধ বেশি হয় তাহলে আপনি এই নিয়মটি করুন৷ কোনও পূর্ণিমাতে নিজের বাড়ির পুজোস্থলে বসে আগে গোবর দিয়ে লেপন করুন অথবা সেই স্থানটিকে গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ করুন৷তারপর শুকনো আটা দিয়ে আটটি ঘর অঙ্কন করে তার মাঝখানে কুমকুম দিয়ে ফ্রিং লিখুন৷ এতে একটি সাদা কাপড় বিছিয়ে দিয়ে এতে তিনটি অভিমন্ত্রিত গোমতী চক্র, ১০৮ দানা কালো গোটা কলাই, ১০৮ টি গোটা চাল, অল্প পরিমাণে হলুদ সর্ষে, একটি মাটির প্রদীপ যাতে হলুদ রং দিয়ে রং করা সলতে থাকবে, তিনটি পিতল অথবা তামার পয়সা (পয়সা না থাকলে এই ধাতুর গোল টুকরো ব্যবহার করতে পারেন৷) তিনটি সুপারি, ১১ টি লবঙ্গ ও একজোড়া সবুজ এলাচ রাখুন৷ তারপর এটিকে দ্বিতীয় সাদা কাপড়ে ঢেকে দিন৷ এবার আপনি চন্দ্রদেবের মানসিক ভাবে স্মরণ করে শুদ্ধ ঘিয়ের প্রদীপ ও ধূপ অর্পণ করে সাবুদানার পায়েসের ভোগ অর্পণ করুন৷ নিজের স্ত্রীর মাথা সর্বদা ঠাণ্ডা রাখার মানসিক নিবেদন করে রুদ্রাক্ষের মালা দিয়ে ১১ টি মালা ওঁ সোমেশ্বরায় নমো নমঃ জপ করতে থাকুন৷ জপের পরে আপনি দুটি কাপড়কে নিয়ে পঁুটলির আকারে তৈরি করে নিন৷ পায়েসটি স্ত্রীকে খাইয়ে দিন ও পুঁটলিটি স্ত্রীর কোনও পরিষ্কার জামা কাপড়ের মধ্যে রেখে দিন৷ সমস্ত সামগ্রী ১১ দিন পর্যন্ত সেখানেই রাখুন৷ তারপর বারোতম দিনে পুঁটলিটি কোনও তীব্র জলপ্রবাহে ভাসিয়ে দিন৷ এই নিয়মটি করার কিছুদিন পর থেকে আশ্চর্যজনক ভাবে ফলাফল দেখতে পাবেন৷
যদি আপনার স্ত্রী কোনও কারণে আপনাকে সন্দেহ করে তাহলে আপনি এই নিয়মটি করতে পারেন৷ কোনও একটি অমাবস্যাতে স্ত্রীর মাথার কাছে অল্প কর্পূর রেখে দিন৷ পরের দিন সকালে সেই কর্পূরটিকে একটি তামার পাত্রে নিয়ে জ্বালিয়ে দিন৷ এর জ্বলন্ত ছাইতে স্ত্রীর ব্যবহারকারী অল্প সিঁদুর মিশিয়ে একটি কাঠের কৌটাতে রেখে সেই কোটাটি কালো রেশমি বস্ত্রতে বাঁধুন৷ এর সঙ্গে ১১টি অভিমন্ত্রিত গোমতী চক্র, একটি শিয়ালের শিঙ, সোয়া কিলো গুড়, ৮০০ গ্রাম কালো তিল রেখে পঁুটলি বানিয়ে নিন৷ পুঁটলিটি পুনরায় স্ত্রীর মাথার কাছে অথবা খাটের নিচে রেখে দিন৷ পরের দিন সেই পুঁটলিটি প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দিন৷ এই নিয়মটি করলে আপনার স্ত্রী আপনাকে সন্দেহ করবে না৷