শিশু যখন বাইরে থেকে খেলাধুলা করে বাড়িতে আসে, তখন তার মাথায় একটু মাটি তুলে সাত বার ঘুরিয়ে সেই মাটিটিকে শরীরে লেপন করে স্নান করিয়ে দিন বা হাত পা ধুইয়ে দিন৷ এতে কুনজর ও কুপ্রভাব থেকে বাঁচা যায়৷
গর্ভবতী স্ত্রীর প্রসবকাল আসন্ন হলে সৌন্দর্য গৃহের বাইরে দরজার দুই পাশের দেওয়ালে গোবর দ্বারা চক্রাবহু আকারের তৈরি করা হয় ও স্ত্রীর কোমরে বহেরা কালো সুতা দ্বারা বেঁধে দেওয়া হয়৷ সৌন্দর্য গৃহের শয্যার মাথার কাছে ছুরি বা চাকু ইত্যাদি রেখে দেওয়া হয়৷ এই প্রয়োগটি করলে সন্তানের প্রসব নির্বিঘ্নে হয়ে যায়৷
শিশুর মাথার কাছে ছুরি বা চাকু সমানভাবে রাখলে ঘুমন্ত শিশু ভয় বা চমকে উঠে না৷
যদি শিশুদের রিকেট রোগ হয় তাহলে রাত্রি ১২টার সময় জুঁই ফুল গাছের নিচে শীতকালে গরম জল ও গরমে ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করালে রিকেট রোগ ভালো হয়ে যায় অথবা ধোপা বাড়ি থেকে এক ঘটি জল নিয়ে তার সঙ্গে বাড়ির জল মিশিয়ে স্নান করালে রিকেট রোগ ভালো হয়ে যায়৷ তবে স্নান কোনও বড় পাত্রে বসিয়ে করানো উচিত৷ স্নানের পর জলটি চৌরাস্তায় ফেলে আসতে হবে৷ এছাড়া রিকেট রোগগ্রস্ত বালকের পিঠে রবিবার ও মঙ্গলবার দিন কাকমাচির পাতা চিবিয়ে ফেলে দিয়ে হাত দিয়ে পিঠ মালিশ করলে রিকেট রোগের লোমযুক্ত কালো রঙের ছোট-ছোট পোকা বেরিয়ে আসে, যেটাকে বার করে বাইরে বের করে দেওয়া হয়৷
শিশুদের ছাড়া বড়দের যখন কোনও সংক্রামক রোগ হয় অথবা জন্ডিস,গলগণ্ড রোগ হয় তাহলে মাটির একটি পাত্রে একটি ডিম, একটি লাড্ডু, দুই পয়সার সিঁদুর রেখে রোগাক্রান্ত ব্যক্তির মাথায় সাতবার ঘুরিয়ে নিয়ে গোধূলি বেলায় অথবা দুপুর ১২টার সময় চৌরাস্তায় রেখে দিয়ে আসতে হবে৷