নজর দোষ থেকে মুক্তি পাবেন অনায়াসে / Released from the evil influence

এই প্রবন্ধে আমি নজরদোষ সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি। নজরদোষকে কেউ কেউ কুসংস্কার বলে মনে করেন। কেউ কেউ এর অস্তিত্ব নিয়ে মোটেও সন্দেহ প্রকাশ করেন না। ভারত,আফ্রিকা,       তিব্বত,চীন, মিশর
সহ বিভিন্ন খ্রীশ্চান,মুসলীম,বৌদ্ধ সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ নজরদোষকে একটি সমস্যা বলে মনে করে  থাকেন।


এই প্রবন্ধে আমি এমনকিছু ভারতীয় তান্ত্রিকটোটকা সমন্ধে আলোচনা করেছি, যেগুলি আমার ব্লগে তথ্যমূলক ও শিক্ষামূলক বিষয় হিসাবে পরিবেশন করছি, যেগুলি ফলাফলের জন্য আমি কোনোভাবেই দায়বদ্ধ নই। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি টোটকা শিশুদের জন্য পরিবেশিত হচ্ছে এবং বেশ কয়েকটি টোটকা প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকদের জন্য পরিবেশিত হচ্ছে। আমার এই প্রবন্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভিডিওতে আমি ভালোভাবে ব্যাখ্যা  বুঝিয়ে দিয়েছি। যদি এই প্রবন্ধটি ভালো লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন, আর যদি কিছু প্রশ্ন থাকে তাও কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন। যদি কোনো পাঠকবন্ধু এগুলিকে অনুশীলন করতে চান তবে নিজের বা অন্যের উপকারের জন্য করতে পারেন।

  • যদি কারোর নজর লেগে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাঘাত ঘটে অথবা অসুস্থ থাকে তাহলে তাকে চৌরাস্তায় নিয়ে আসুন। এরপর নুন, রাই, লাল লঙ্কার সহিত মিশিয়ে  শনিবার ও রবিবারে তিনবার সূর্য অস্ত যাবার সময় উক্ত ব্যাক্তির উপর ঘড়ির কাটার মত ঘুরিয়ে দিয়ে আগুনে ফেলে দিলে তার নজর দোষ কেটে যাবে।
  • নজর লাগা ব্যাক্তির উপর চারদিকে ফিটকিরির টুকরো ঘুরিয়ে চুলাতে ফেলে দিন। তিন দিন ক্রমাগত তিন বার এরূপ করলে উক্ত ব্যাক্তিটি সুস্থ হয়ে যায়।
  • হস্তির মলকে রুপোর যন্ত্রতে রেখে ছোট বাচ্চার গলায় পরিয়ে দিলে ওই বাচ্চাটির নজর দোষ কেটে যায়।
  • নুন ,রাই, রসুন,পেঁয়াজের খোসা ও লাল লঙ্কা জ্বলন্ত আগুনে দিয়ে  সেই জ্বালানিটিকে রুটির উপরে ২১ বার ঘুরালে নজর দোষ কেটে যায়।
  • গৃহ নির্মাণের সময় উক্ত গৃহের উপর একটি লাউ লাঠির দ্বারা ও একটি হাঁড়ির বাইরের অংশটি কাজল দিয়ে লেপটে তাতে চুন ও সিঁদুরের টিকা লাগিয়ে টাঙিয়ে দিলে গৃহ নির্মানে নজর দোষ কেটে যায়।
  • কন্টকিত ফুলের রসকে তামার পাত্রে ভালোভাবে মিশ্রিত করে তার তিলক লাগালে শত্রূরা আত্মসমর্পন করবে।
  • শনিবারে পুষ্যা নক্ষত্রতে ভুজ্যপত্রের উপর লাল চন্দন দিয়ে শত্রূ ও তার মাএর নাম লিখে শুদ্ধ মধুতে ডুবিয়ে রাখতে হবে, এটি যতক্ষন ওই মধুতে ডুবানো থাকবে ততক্ষন শত্রূ নীরব থাকবে।
  • কনার ফুল ও শুদ্ধ গোঘিত মিশ্রিত করে কোনো স্ত্রীর নাম নিয়ে ১০৮ বার হবন করলে উক্ত স্ত্রী ১০ দিনের ভিতর সাধকের বশীভূত হয়ে ইচ্ছাপূরণ করে।
  • নুন ,রাই, রসুন ও পিঁয়াজের শুকনো খোসা ও শুকনো লঙ্কা আগুনে দিয়ে সেই জ্বলন্ত  আগুনটাকে রোগীর উপর ১১ বার চক্রাকারে ঘুরিয়ে দিলে নজর দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
  • ভূত -প্রেতের নজর থেকে বাঁচার জন্য শিশুদের গলায় কালো সুতোর রুদ্রাক্ষ, রুপোর চাঁদ, তামার সূর্য ও বাঘের নখ ইত্যাদি পরানো হয়।
  • খাবার সময় কোনো ব্যাক্তির খারাপ নজর লেগে গেলে তেঁতুলের তিনটি ডালকে আগুনে জ্বালিয়ে নিয়ে নজর লাগা ব্যাক্তির মাথায় সাতবার ঘুরিয়ে এটিকে জলে ডুবিয়ে সেই জল উক্ত ব্যাক্তিকে খাওয়ালে নজর দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • গ্রামাঞ্চলে শনিবার অথবা রবিবার নজর লাগা ব্যাক্তির উপর থেকে তিনবার দুধ দিয়ে স্নান করার পর ওই দুধটি একটি মাটির পাত্রে রেখে কুকুরকে দিয়ে দেওয়া হয়।
  • ছোট শিশুদের নজর দোষ কাটাবার জন্য হাতে অল্প পরিমানে রক্ষা নিয়ে বৃহস্পতিবার দিন ওঁ চৈতন্য গোরক্ষনাথ নমঃ এই মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করা হয়। তারপর এটিকে একটি কাগজে মুড়ে কালো সিল্কের সুতোয় বেঁধে শিশুদের গলায় পরিয়ে দিলে নজর দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • শনিবার দিন হনুমান মন্দিরে গিয়ে তার কাঁধ থেকে সিঁদুর নিয়ে নজর লাগা ব্যাক্তির মাথায় লাগালে খারাপ নজরের প্রভাব থেকে বাঁচা যায়।
  • ভবন নির্মাণের সময় ভবনের বাইরের অংশ কাজল দিয়ে লেপ্টে একটি কলস টাঙিয়ে দিলে ভবনে নজর লাগবে না।
  • অল্প বয়সী জন্মানো শিশুর মা তার দীর্ঘায়ু হবার কামনায় তার নিজের বাঁ হাতে ‘অশ্বত্থামা’ ‘হনুমান’ ইত্যাদি নাম খোদাই করা উচিত।
  •  খাবারে নজর লাগলে তৈরী করা খাবারের কিছু -কিছু অংশ নিয়ে তাতে গোলাপ জল ছড়িয়ে রেখে দিলে ওই খাবারে লাগা নজর কেটে যায়।
  • গোবর দ্বারা তৈরী ছোট প্রদীপ-এ গুড়ের টুকরো, তেল আর তুলার সলতে জ্বালিয়ে দরজাতে রেখে দিলে খারাপ নজরের প্রভাব থেকে বাঁচা যায়।
  • নজর লাগা ব্যাক্তিকে পানের সহিত গোলাপের  সাতটি পাপড়ি খাইয়ে দিলে নজরের প্রভাব থেকে বাঁচা যায়।

যদি বাইরের কোনো ঋণত্মাক শক্তি বাড়ীতে প্রবেশ করে তাহলে বিকেলে বাড়ীর কাছে গাছের গোড়ায় দুধ ঢেলে আর ধূপকাঠি জ্বালিয়ে দিলে বাইরের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

You May also like

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *