মহাকালের গর্ভে অনন্ত বিশ্ব ভ্রমণ করছে৷ আসুন এবার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু লাভের কথা নিয়ে আলোচনা করি৷ অনেক সময় এমন হয়েছে যে পরিবারের সদ্যসদের মধ্যে ছোট-ছোট কথায় তর্ক-বিতর্ক হতে হতে অবাঞ্ছিত তর্ক হয়ে যায় ও বাড়িতে রীতিমতো ঝগড়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়৷ এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে ব্যবহার করা জলের ঘড়া থেকে এক মগ জল নিয়ে বাড়ির চারটি কোনায় ও মধ্যস্থানে একটু ছড়িয়ে দিন, পরিবেশটি শান্ত হয়ে যাবে৷
বাড়িতে বাস্তু আর সমস্ত প্রকারের শান্তির জন্য আপনি আপনার বাড়ির মন্দিরে যে ধূপকাঠি পুজোর সময় জ্বালিয়ে থাকেন সেটিকে বাঁদিক থেকে (উল্টোদিকে) পুরো বাড়ির দেওয়ালের সামনে দিয়ে ঘুরে এসে আবার পুনরায় মন্দিরে লাগিয়ে দিন, বাড়িতে শান্তি ও খারাপ নজর থেকে সুরক্ষিত থাকবে৷
হামেশাই দেখা যায় যে কোনও ব্যক্তি ঘুমের ঘোরে সবসময় ভয়ের স্বপ্ণ দেখতে থাকে ও চমকে জেগে উঠে৷ এই পরিস্থিতিতে যে দিকে পা করে শুয়েছেন সেই দিকে মাথা করে অর্থাৎ মাথাটি ঘুরিয়ে নিন তাহলে ভয়ের স্বপ্ণ দেখা বন্ধ হয়ে যাবে ও গভীর ঘুম আসবে৷
যদি কোনও ব্যক্তিকে ঘুমানোর সময় প্রেতাত্মা বিরক্ত করে ও ঘুমোতে না দেয় তাহলে শোবার আগে নিম্ন মন্ত্রগুলি উচ্চারণ করলে প্রেতাত্মা আর বিরক্ত করবে না ও ভয়রহিত ঘুম আসবে৷ ‘হনুমান কো ওমকার মেরি তরফ কোই বুড়ি বলা আয়ে তো লগে খুন সে ভরী তলোয়ার৷’
যে কোনও ব্যক্তির জীবনে জ্ঞানত অথবা অজ্ঞানতাবশত অনেক শত্রুর সৃষ্টি হয়৷ অনেক সময় এমন দেখা গেছে যে তার পরিবারে এক প্রকারের ‘নজর’ লেগে যায়৷ এর থেকে মুক্তি পাবার জন্য মঙ্গলবার অথবা শনিবার সন্ধ্যার সময় ৬টি ধূপকাঠি জ্বালিয়ে মন্দিরে বা নিজের বাড়িতে ইষ্টদেবতাকে মনে মনে স্মরণ করে লাগিয়ে দিন৷ এবার অল্প পরিমাণে গুঁড়ো নুন নিয়ে চারকোণায় ছড়িয়ে দিন, আর পরেরদিন ঝাড়ু দিয়ে ঘরের বাইরে ফেলে দিন৷ সমস্ত নজর দূর হয়ে যাবে৷
একটি পান, এক মগ জল, দুটি বাতাসা, দুটি গোটা এলাচ অশ্বত্থ গাছে শনিবার ও মঙ্গলবার দিন চুপচাপ রেখে দিন৷ এর ফলে সমস্ত কুপ্রভাব দূর হয়ে যাবে৷
এবার হনুমানজী ও দৈত্যের একটি মন্ত্র বলতে চলেছি—
বীর বলি হনুমন্তজি, মুগদর দাহিনে হাত৷
মার মার পচ্চারিয়, পর্বত বায়ে হাত৷৷
ভূত প্রেম ঔর ডাকিনি জিন্ন খবিস মসানী৷
বঁচে না ইসমে এক হুঁ নিরাকার হি আন৷৷
দুহাই অঞ্জনী মাতা কি, দুহাই রাজ রামচন্দ্র কি৷
দুহাই লক্ষণ এতি কি৷
মেরি ভক্তি গুরু কি শক্তি ফুরো মন্ত্র ঈশ্বরও বাঁচা৷