জ্ঞান, বুদ্ধি,উন্নতি লাভ ও রোগ কষ্ট দূর করার অনবদ্য যন্ত্রম / Yantram for Knowledge,Intelligence,Progress and Disease

এই প্রবন্ধে, আমি একটি এমন যন্ত্রমের বিষয়ে লিখছি যে যন্ত্রমটি জ্ঞান, বুদ্ধি,উন্নতি লাভ ও রোগ কষ্ট দূর করার একটি অনবদ্য যন্ত্রম। বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞানলাভ ও জীবনে উন্নতিলাভের জন্য এবং রোগ কষ্ট একই যন্ত্রমের মাধ্যমে দূর করতে এটি একটি অনবদ্য ও প্রভাবশালী যন্ত্রম। যদি কেউ বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞানলাভ ও জীবনে উন্নতিলাভ করতে চান, তিনিও যেমন এই যন্ত্রমটি বানিয়ে ধারণ করতে পড়েন, তেমনি কেউ যদি বহুদিন ধরে খুব অসুস্থ বা রোগেভোগে জর্জরিত হয়ে থাকলে কারো মাধ্যমে বানিয়ে নিয়ে এই যন্ত্রমটি ধারণ করে রোগজ্বালার থেকে মুক্তিলাভ
করতে পারেন। এই যন্ত্রমটি আমি আমার মহামান্য সিদ্ধতান্ত্রিক গুরুদেবের থেকে পেয়েছিলাম, বহু বৎসর আগে। আমার ব্লগের পাঠকদের জন্য যন্ত্রমটি ব্লগে লিপিবদ্ধ করছি।

প্রথমেই কয়েকটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, মনে রাখতে হবে, গুরুমুখী বিদ্যা হওয়ার দরুন এই শাস্ত্র অতীব জটিল ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতীব দুর্লভ।


এই ব্লগে আমি প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো বিষয়ে নিবন্ধ্ লিখছি তা সে জ্যোতিষ বা তন্ত্র বা আরো অনেক ভবিষ্যৎ দর্শন সম্বন্ধীয়। আমার তথ্যের উপর ভিত্তি করে যারা কোনো মন্ত্র জপ্ বা যন্ত্রম তৈরী করবেন , তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে , যে কোনো মন্ত্র বা তন্ত্রের ফলাফলের জন্য আমি বা আমার এই সাধু প্রয়াসটি অর্থাৎ আমার এই ব্লগটির  কোনো ভাবেই দায়দায়িত্ত্ব থাকবেনা। কারণ যিনি এই মন্ত্র বা তন্ত্রগুলির অভ্যাস করবেন তার দ্বারা কৃত কর্মের ত্রুটিবিচ্যুতির ফলে কোনো অসুবিধা বা অসাফল্য হতেই পারে। তার দায়ভার আমার বা আমার এই ব্লগটির থাকবে না এবং সমুদ্রের মতো বিশাল ব্যাপ্তি নিয়ে যে তন্ত্র শাস্ত্র স্বয়ং দেবাদিদেব শিবের মুখনিঃসৃত ও গুরু পরম্পরায় প্রবাহিত হয়ে চলেছে , তা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। কোনো পুস্তক বা তথ্য সম্বলিত আলোচনায় কোনো মন্ত্রের সাথে এই ব্লগের কোনো প্রবন্ধের মিল পেলেও তা বিনামূল্যে প্রকাশিত ও বিতরিত তথ্য ও শিক্ষামূলক দানের মাপকাঠিতেই বিচার্য।আরো মনে রাখতে হবে, এই ব্লগটি  মূলত এটি একটি তথ্য ও শিক্ষা মূলক এবং সর্বোপরি সেবা মূলক ব্লগ হিসাবেই সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।


এখন আমি যন্ত্রমটি প্রস্তুত করার পদ্ধতি বর্ণনা করছি,  যে কোনো পক্ষের বৃহস্পতিবার পঞ্জিকায় ভালো দিন ও শুভ মুহূর্ত দেখে শুদ্ধ ভাবে, উত্তরমুখে বসে ধূপকাঠি ও প্রদীপ জ্বেলে নিয়ে শুদ্ধাসনে বসে প্রত্যহ ১০৮ বার মন্ত্রটি পাঠ করবেন ১৫ দিনের পর বৃহস্পতিবারেই অষ্টগন্ধ কালি দ্বারা ও ডালিম ডালের কলম দ্বারা ভুজ্জ্যপত্রে যন্ত্রমটি লিখে নেবেন।  শুকিয়ে যাবার পর যন্ত্রম প্রস্তুত হয়ে গেলে, যন্ত্রমটিকে পঞ্চোপচারে পূজা করবেন।যন্ত্রটি সোনা বা রূপার তাবিজে ভরে পুরুষেরা দেন বাহুতে, স্ত্রীলোকেরা বাম বাহুতে ধারণ করবেন। ধারণের দিন অবশ্যই নিরামিষ আহার করবেন।

মন্ত্রঃ ” নমঃ ওঁ হ্রীং ক্লীং হুং বৃহস্পতয়ে নমঃ ” 

আপনার এই প্রবন্ধগুলিও ভালো লাগবে 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *