চক্ষুরোগ নিবারণ ও চোখের জ্যোতিবৃদ্ধির মন্ত্র / Prevention from Eye Disease,and increase Eye Strength

এই প্রবন্ধে আলোচিত, চক্ষুরোগ নিবারণ ও চোখের জ্যোতিবৃদ্ধির মন্ত্রটি একটি প্রমাণিত ও সিদ্ধ মন্ত্র হিসাবে যুগে যুগে আদৃত হয়েছে। এই মন্ত্রের এক অনবদ্য ভূমিকা তন্ত্রশাস্ত্রের ‘পুষ্টি বিভাগে’ রয়েছে। মন্ত্রটি বহু পরীক্ষিত ও ভারতীয় সাধু-সন্ত, যোগী,মুনি,ঋষিদের দ্বারা বহু ব্যবহৃত। এই ধরনের বহু মন্ত্রগুণে ঠাসা তন্ত্রশাস্ত্রের ভান্ডার। ঔষধ ব্যবহার না করে, শুধুমাত্র মন্ত্রশক্তির জোরে রোগবালাই কে কোনঠাসা করার পদ্ধতি তন্ত্রশাস্ত্রকে যুগে যুগে
মানুষের মনের মনিকোঠায় এক জোরালো ও পাকাপাকি স্থান করে দিয়েছে সে বিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। এই মন্ত্রটির তথ্য আমি আমার ব্লগের পাঠক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে এই প্রবন্ধে লিপিবদ্ধ করছি।

আপনি হয়তো জানেন, আমাদের চোখদুটিকে বহুমূল্য রত্নের সাথে তুলনা করে, সেদুটি অতি অত্যাবশ্যক জ্ঞানেন্দ্রিয়কে ” চক্ষুরত্ন ” সম্বোধনে ভূষিত করা হয়েছিল বহু প্রাচীনকালেই।প্রবাদ আছে , ” চক্ষুরত্ন – বড় রত্ন “, সত্যি চোখ হচ্ছে এমনি একটি অতি প্রয়োজনীয় জ্ঞানেন্দ্রিয়, যে দুটির এভাবে এই বিশ্বসংসারের সবই অন্ধকার।অন্ধত্ত্বের মতো বড় অভিশাপ বোধহয় এ সংসারে আর হয় না।আর তাই, ঋষিপ্রদত্ত এই মন্ত্রটির বহুল ব্যবহার হয়ে আসছে আদিকাল থেকে।

এই মন্ত্রটির ব্যবহার প্রতিদিন করতে পারলে, কোনও ধরনের চোখের রোগ জন্মাতে পারেনা, রোগগ্রস্থ চোখের রোগসমূহ সম্পূর্ণ নির্মূল হয়। সাথে সাথে চোখদুটির জ্যোতিবৃদ্ধি হয়। বৃদ্ধবয়সেও চোখের দৃষ্টিশক্তির কমতি হয় না। এমনই এই সিদ্ধ মন্ত্রটির প্রভাব। মন্ত্রটি দুপুরের খাওয়া ও রাত্রের খাওয়ার পরে প্রতিদিন অবশ্যই করে যেতে হবে। এবারে সেই প্রসঙ্গে আসছি।

যিনি এই মন্ত্রটি অভ্যাস করবেন, তাঁকে খেতে বসার আগেই এক পাত্র বিশুদ্ধ জল নিয়ে ৭ বার এই মন্ত্রে অভিমন্ত্রিত করে নিতে হবে।একবার করে মন্ত্রটি বলবেন, আর একবার করে জলে ফুঁ দেবেন। এইভাবে ৭ বারে অভিমন্ত্রিত করে নিয়ে খেতে বসবেন এবং খাওয়ার পরে আঁচানোর আগে মুখভর্তি অন্য জল নিয়ে ওই অভিমন্ত্রিত জলের ছিটা ৭ বার করে দুইচোখে দেবেন।মনে রাখবেন, আঁচানোর আগে অন্য জলে মুখ ভর্তি করে নিয়ে তবে ওই অভিমন্ত্রিত জলের ছিটা ৭ বার করে দেবেন।

Posts

চক্ষুরোগ নিবারণ ও চোখের জ্যোতিবৃদ্ধির মন্ত্র / Prevention from Eye Disease,and increase Eye Strength

Leave a Reply Cancel reply