কিছু ফলপ্রসূ টোটকা/Some Fruitful Totka

এই প্রবন্ধে, আমি আরও কিছু ফলপ্রসূ টোটকার বিষয়ে লিখছি। যে টোটকাগুলি মূলত তান্ত্রিক চিকিৎসা শাস্ত্রের উপরে ব্যাখ্যাত হয়েছে। এই টোটকাগুলি সুপ্রাচীনকাল থেকে মানব সভ্যতার সাথে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত। আমি এই তথ্যভান্ডারের খুবই সামান্য অংশই এই প্রবন্ধে লিপিবদ্ধ করছি। আশাকরি, আপনার ভালো লাগবে।

মস্তিক সচল রাখার জন্য সুলেমানি লাল হাকিক পাথর ধারণ করলে উপকার পাওয়া যায়৷

লজ্জাবতীর মূলের শাখা বানিয়ে কোমরে ধারণ করলে অন্ত্রের রোগ সেরে যায়৷

প্লীহা রোগ সারাবার জন্য ছোট পেঁয়াজের মালা গলায় পরা উচিত৷

সমুদ্রের জল শুক্রবার দিন নিয়ে আসুন৷ এই জলটি ফুঁটিয়ে ছেঁকে নিন৷ এতে অল্পবিস্তর গঙ্গার জল মিশিয়ে সেবন করুন৷ এরূপ করলে লাইকোরিয়া রোগ সেরে যায়৷

ডান হাতের মধ্যে আঙুলে লোহার আংটি পরলে স্টোন ডিজিস সেরে যায়৷

ধুতরা ফুলের মূল কোমরে বাঁধলে যে কোনও ধরনের অর্শ রোগ সেরে যায়৷

সাদা সাপের মূল মাথায় বাঁধলে অনিদ্রা রোগ সেরে যায়৷

যে ব্যক্তি ডায়রিয়া রোগগ্রস্ত তাকে সহদেবী উদ্ভিদের শিকড় সাত টুকরো করে লাল সুতার দ্বারা কোমরে বেঁধে নেওয়া উচিত৷

সাদা ওজ্ঞা গাছের শিকড় মাথায় লাগালে যে কোনও প্রকারের সম্মোহিত ব্যক্তি ঠিক হয়ে যায়৷

উপরোক্ত শিকড়কে গুঁড়ো করে জলে ভিজিয়ে রাখুন৷ সকালে উঠে সেটিকে ভালোভাবে ছেঁকে তার জল দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন৷ এটি একটি উত্তম চুল-পরিচর্যা৷

গোরাখমুন্ডির সবুজ উদ্ভিদের রস শরীরে মালিশ করলে সব পীড়া দূর হয়ে যায়৷

সর্প দংশন ব্যক্তির নাকে কুলিকা গাছের শিকড়ের গুঁড়ো কিছু মাত্রায় দিলে ব্যক্তিটি ঠিক হয়ে যায়৷

বাঁশের শিকড় জ্বালিয়ে সেটি কানে পরলে শত্রুর ভয় কেটে যায়৷ ময়ূরের পালক রেখে দিলে সাপ বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে না৷

কেভরের শিকড় কানে ধারণ করলে শত্রু ভয় শেষ হয়ে যায়৷

হীরা ধারণ করা ব্যক্তির বিষাক্ত জন্তুর থেকে কোনও ভয় থাকে না৷

সূর্য উদয়ের আগে কোনও স্ত্রী বা পুরুষ চৌরাস্তায় গিয়ে যদি একটি গুড়ের টুকরো দাঁত দিয়ে ভেঙ্গে সেই স্থানে ফেলে দেয় তাহলে মাইগ্রেন (মাথা ধরা) মতো ভয়ঙ্কর রোগ থেকে মুক্তি পাবে৷ এটা করার সময় রোগগ্রস্ত বাক্তিকে দাঁত দিয়ে গুড় কাটার সময় দক্ষিণ দিকে মুখ করে করতে হবে৷

কৃত্তিকা নক্ষত্রতে লোহার আংটি পরলে ভূত-প্রেত, জাদু-টোনার ভয় থাকে না৷ রবি পুস্প যোগে মহাকর্ষের মালা বানিয়ে ধারণ করলে কখনো সর্পদংশনের ভয় থাকে না৷

আশ্লেষা নক্ষত্রেতে শামি বৃক্ষের শিকড় হাতে ধারণ করলে সব ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷

যদি আপনি কোনও বিশেষ কার্য করতে চলেছেন আর চাইছেন সফল হতে তাহলে আপনি ভোর ৪টা তে উঠুন৷ একটি নীল রঙের রেশমি চকচকে সুতো নিজের বাড়ির সামনে তৃতীয় স্তম্ভে মনস্কামনা করে সুতোটি বেঁধে দিন৷ কার্য সফল হবার সম্ভাবনা দ্বিগুণ হয়ে যাবে৷

শনিবার দিন সকালে নিজের কাজে যাবার আগে একটি লেবু নিয়ে সেটাকে দুটি সমান ভাগে ভাগ করুন৷ বাড়ি থেকে বেড়োবার পর প্রথম যে বাঁকটি রাস্তায় পরবে সেখানে এক টুকরো লেবু আগে ও অন্য টুকরোটি পেছনে ফেলে দিন৷ ওইদিন সব কার্য সফল হবে৷ অসুবিধা আপনা থেকে দূর হয়ে যাবে৷

গোটা হলুদের ৭টি, ৭টি গুড়ের টুকরো ও একটি এক টাকার মুদ্রা একটি হলুদ কাপড়ে মুড়িয়ে বৃহস্পতিবার রেল লাইনের ধারে ফেলে আসুন৷ ফেলার সময় মনে মনে নিজের মনোস্কামনা বলুন৷ এতে আপনার মনোস্কামনা পূর্ণ ভাবে সফল হবে৷

একটি হাড়িতে এক থেকে দেড় কিলো সবুজ গোটা মুগ আর অন্য হাড়িতে এক থেকে দেড় কিলো নুন নিয়ে ঘরের কোনও এক কোনায় রেখে দিন৷ এই কাজটি শুধুমাত্র বুধবার দিন করবেন৷ ঘরে ধন আসার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে যাবে৷

বুধবার দিন কিছুটা গোটা সবুজ মুগ মাথা থেকে পা পর্যন্ত স্পর্শ করে ঘরের ছাদে পাখিদের দিয়ে দিন৷ মাথায় সর্বদা ঘুরতে থাকা নানারকম দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন৷

কখনো কোনও দিন যখন আপনি যাত্রা করছেন, সেটা ঘরের জন্য হোক বা নিজের ব্যবসার কাজে হোক, আপনি একটি জলযুক্ত নারকোল নিয়ে তাতে নিম্ন মন্ত্রটি পড়ুন৷ মন্ত্রটি এই প্রকার :-

ওঁ নমো বিচান্দাই হনুমনত বিরায় পবন পুত্রায় হুং ফটু৷৷   

মন্ত্রটি পড়ার পর উক্ত নারকোলটিকে মাটিতে আছড়ে ভেঙ্গে ফেলুন৷ সেই জলটি নিজের শরীরে ও চারদিকে ছিটিয়ে দিন৷ যাত্রাটি শুভ হবার সঙ্গে সঙ্গে সফলও হবে৷

You may also like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *