আমাদের জীবনে কিছু শুভ বা অশুভ লক্ষণ / Some good or bad signs in our lives

পাঠকবন্ধু, আজকে আমরা এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি যেগুলো কিনা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা মেনে চলি , আলোচ্য বিষয়টি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলতে হয় যে কিছু শুভ লক্ষণ আমাদের জীবনে দেখা যায় আর কিছু অশুভ লক্ষণ ও আমাদের জীবনে দেখা যায় | এক্ষেত্রে শুভ লক্ষণগুলি যেমন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে তেমনি অশুভ লক্ষণ গুলো ব্যবহার বা আলোচনায় আসলে দেখা যাবে তার পরিমাণ ও ব্যাতিক্রম নয়। তন্ত্রে উল্লেখিত যে সকল বিষয়গুলি আছে যেগুলো আমি কিনা তথ্য হিসাবে এবং শিক্ষামূলক হিসাবে আমার ব্লগে প্রকাশ করে থাকি সেগুলো সম্পর্কে আমি এই ব্লগে এর আগেও বিভিন্ন কিছু কিছু শুভ লক্ষণ বা অশুভ লক্ষণ এর বর্ণনা করেছি।

প্রতিকার বিভাগে এই প্রবন্ধটি আমার নবতম সংযোজন হিসেবে যদি আপনার ভালো লাগে, তাহলে বিশেষ খুশি হব। দৈনন্দিন জীবনে আমরা ঘরে থাকাকালীনই এবং ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বা বাইরে ঘোরাঘুরি করার সময় বা অন্য কোন কাজ করার সময় আমরা বেশ কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলি |

কারণগুলি মোটেও কুসংস্কার নয় বরং এটি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে অভ্যাস হিসাবে ধারা যেতে পারে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে, অভ্যাসগুলো একের পর এক ভাবে আসতে থাকে, যেমন আমরা যেসব কাজকর্মগুলো করি সেগুলি কিছু কিছু বিষয়ের যেমন জন্ম দেয়, তেমনি কোন কোন সময় কিছু কিছু বিষয় আমাদের দৃষ্টির বাইরে ই থেকে যায়। আলোচনায় এমন বিষয়গুলিও আসতে থাকবে।

যদি হঠাৎ আপনি নীলকণ্ঠ (অপরাজিতা) ফুল দেখতে পান ও আপনার সামনে তার পাপড়ি ভেঙ্গে পরে যায় তো সেটাকে তুলে নিন৷ বাড়িতে এনে কোনও  পরিষ্কার কাপড়ে মুড়ে রেখে দিন৷

যখন আপনি বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন তখন যদি কোনও গরুকে তার বাছুরকে দুধ খাওয়াতে দেখেন তবে তৎক্ষণাৎ বাড়িতে ফিরে আসুন৷ বাড়ি থেকে একটি রুটি ও গুড় নিয়ে উক্ত গরুটিকে খাইয়ে দিন৷ আপনার দিনটি সৌভাগ্যশালী সিদ্ধ হবে৷

রাস্তায় চলার সময় যদি আপনি মরদেহ দেখতে পান তাহলে ওই শ্মশানযাত্রীর সহিত আপনি কিছুদূর চলুন আর তারপর নিজের গন্তব্যস্থলে যান, ওই দিন সমস্ত কার্য সফল হবে৷ মরদেহ দেখা হিন্দুশাস্ত্র মতে শুভ হয়৷

বাড়িতে নেউল দেখা দিলে আপনার জন্য সৌভাগ্যশালী প্রমাণিত হতে পারে৷ কোনও কাজের জন্য যদি আপনি বাড়ি থেকে বের হন আর হঠাৎ যদি নেউল দেখা যায় অথবা আপনার রাস্তা কেটে চলে যায় তাহলে তাকে যেতে দিন৷ যেখান দিয়ে নেউলটি গমন করেছে সেখান থেকে একটু মাটি নিয়ে নিজের ব্যাগে রেখে দিন, আপনি পর্যাপ্ত ধনের অধিকারী হবেন৷ অসমাপ্ত কাজও সফল ভাবে পূর্ণ হবে৷

গর্ভবতী স্ত্রী যদি বসে ফল খায় আর সেটি যদি ছিটকে তার কোলে পরে তাহলে এটি শুভ লক্ষণ বলে গণ্য করা হয়৷ কোল থেকে তুলে নিয়ে যদি অন্য স্ত্রী (যাদের সন্তান হয় না) এটিকে কিছু না বলে খেয়ে ফেলে তবে তার জন্য এটি প্রবলভাবে লাভদায়ক হবে৷

যখন আপনি কোনও গুরুত্ত্বপূর্ণ কাজের জন্য বাইরে যাচ্ছেন আর হঠাৎ যদি আপনার সামনে কোনও গাছ থেকে ফল এসে পড়ে, তাহলে সেটি তুলে নিন ও পথ চলতে চলতে সেটিকে খেয়ে ফেলুন৷ আপনার যাত্রা সফল ও সুখময় হবে৷

বাড়িতে আসা সদ্য বিবাহিতা নববধূর কাপড়ে যদি মাকড়সা দেখা দেয় তবে সেটাকে ঝাড়ু অথবা কাগজ দিয়ে তুলে দরজার বাইরে রেখে দিন৷ এটি শান্তির বার্তা বাহন করে৷

যদি নববধূ তার নববধূর বেশে হঠাৎ কোনও কারণে প্রচণ্ড উৎফুল্ল হয় এবং হাসতে-হাসতে তার চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে আর সেই জল বাড়ির কোনও সদস্য যদি নিজের আঙুলে নিয়ে খেয়ে নেয় তাহলে তার কোনও দুঃখ কষ্ট থাকবে না৷

প্রাতঃকালে হঠাৎ যদি কোনও  স্ত্রীলোক দেখা যায় যে স্নান করে সাজগোজ করে এসেছেন, এমন স্ত্রী দেখিলে তার জন্য দিনটি মঙ্গলময় হবে৷ যদি কোনও স্ত্রী এমন সময় তার বাম পায়ের দিক হইতে অল্প মাটি নিজের সিঁথিতে লাগিয়ে নেয় তাহলেই সেই দিনটি তার জন্য সৌভাগ্যশালী হবে৷

অশুভ লক্ষণ (টোটকা)

বড় সর্ষে, তেরো রাই, ছক মাটি, শ্মশানের ছাই ও ভালো কাঠ নিয়ে ঘি দ্বারা হবন করুন৷ ঠাণ্ডা হলে ওই ছাই নিয়ে দুজন বন্ধুর মধ্যে রেখে দিলে তাদের বন্ধুত্ব  শেষ হয়ে যাবে৷

হাতির লেজের লোম ও ঘোড়ার মুখের লোম নিয়ে কোনও  আলোচনা সভায় নিয়ে ধুনো দিলে সেই সভাতে ঝগড়া হয়ে যায়৷

রবিবার দিন শ্মশানের ধুলো নিয়ে গুগ্গুল এর ধুনো যার ঘরে ফেলা হবে তার বাড়িতে কলহ লেগে থাকবে৷  

রবিবার দিন ইঁদুর অথবা বিড়ালের লোম নিয়ে যার বাড়িতে পুঁতবেন সেই বাড়িতে কলহ লেগে থাকবে৷

আকন্দ ফুল নিয়ে যে দুজন ব্যক্তির নাম মনে মনে স্মরণ করা হবে, সেই দুইজনের মধ্যে শত্রুতা হয়ে যাবে৷

ঘুঘু পাখি ও কাকের পালক শনিবার মধ্যরাত্রে জ্বালিয়ে সেই পালক যদি দুজনের মাথায় দেওয়া হয় তাহলে তাদের দুজনের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতা সৃষ্টি হয়ে যাবে৷

পুরুষের পরিধেয় বস্ত্র ও স্ত্রীর মাথার চুল মঙ্গলবার জ্বালিয়ে তার ভস্ম খাইয়ে দিলে তাদের দুজনের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতার সৃষ্টি হবে৷

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *