অসাধারণ প্রতিকারে সমস্যার সমাধান/ Extraordinary remedy for problems

এই প্রবন্ধে, আমি অসাধারণ প্রতিকারে সমস্যার সমাধানে টোটকার  বিষয়ে লিখছি। যে টোটকাগুলি মূলত তান্ত্রিক দ্রব্যগুণের আঙ্গিকে বর্ণিত হয়েছে। এই টোটকাগুলি সুপ্রাচীনকাল থেকে মানব সভ্যতার সাথে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত। আমি এই তথ্যভান্ডারের খুবই সামান্য অংশই এই প্রবন্ধে লিপিবদ্ধ করছি। আশাকরি, তথ্য ও শিক্ষামূলক বিষয় হিসাবে আপনার কাছে সমাদৃত হবে। 

যদি আপনার পরিবারে কোনও মহিলা মাসিকের সমস্যায় ভুগছেন তাহলে মাটির একটি পাত্রে  গঙ্গাজল নিয়ে তাতে খাঁটি লাল রোলি মিশিয়ে দিন৷  এটিকে রোগগ্রস্ত মহিলার উপর ২১ বার চক্রাকারে ঘুরিয়ে চৌরাস্তায় ফেলে আসুন৷ মাসিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে৷

যদি আপনাকে কোনও বিশেষ কাজের জন্য যেতে হয় তবে আপনি একটি কাগজী লেবু নিয়ে নিন৷ এর চারদিকে গোটা লং পুঁতে দিন৷ এই লেবুটি আপনি আপনার পকেটে রেখে দিন৷ ওই দিন কার্যে সফলতা আসবে৷

একটি অশ্বত্থের পাতা শনিবারে ঘরে নিয়ে আসুন৷ এটিকে গঙ্গাজল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন৷ একটি মালা গায়েত্রী মন্ত্রে জপে নিন৷ এবার এটিকে নিজের ব্যাগে, ক্যাশ বাক্সতে অথবা ঘরের গদির নিচে রেখে দিন৷ এই অশ্বত্থের পাতাটিকে প্রতি শনিবার বদলে ফেলুন৷ আপনার ব্যবসায় বৃদ্ধি ও ঘরে সুখ শান্তি বজায় থাকবে৷

যদি আপনার পরিবারে কোনও ব্যক্তি অনেক চিকিৎসার পরও ঠিক হচ্ছে না তবে একটি দেশি খণ্ডিত পান, গোলাপ ফুল, আর কিছুটা বাতাসা পানে নিয়ে রোগীর উপর থেকে ৩১ বার চক্রাকারে ঘুরান৷ তারপর এটিকে কোনও চৌরাস্তায় ফেলে আসুন৷ রোগী অবস্থা কিছুটা হলেও উন্নত হবে৷

ব্যবসাতে ক্রমাগত ক্ষতি হচ্ছে অথবা ব্যবসা ভালো চলছে না তাহলে কিছুটা আটা নিয়ে দোকান অথবা ব্যবসার জায়গায় মুখ্য দরজার দুইদিকে ছড়িয়ে দিয়ে বলুন ‘যার নজর তারই লাগুক৷’ এই ক্রিয়াটি শুধুমাত্র শুক্লপক্ষতে করুন৷ সম্ভব হলে চেষ্টা করবেন এটা যেন কেউ না দেখে৷

১০৯ টি জবা ফুল লাল সুতায় পরিয়ে মালা বানিয়ে নিন৷ এবার এটিকে মা দুর্গার গলায় পরিয়ে দিন৷ এরপর করজোড়ে নমস্কার করে নিজের মনোবাসনা ব্যাক্ত করুন৷ মা দুর্গার কৃপায় ইচ্ছিত কামনা শীঘ্র সফল হবে৷

সোমবার দিন কোনও জরি-বুটি বিক্রেতার কাছ  থেকে শিবলিঙ্গের একটি বীজ ও লক্ষণ বুটির একটি বীজ নিন৷ এতে ২১ বার ‘ওঁ নমঃ শিবায়’ শ্রদ্ধাপূর্বক পাঠ করুন৷ এরপর এগুলি সেবন করুন৷ আমার নিজের অভিজ্ঞতা যে সন্তান অবশ্যই হবে৷

স্বামী-স্ত্রী মিলনের আগে নিজেদের মনকে একাগ্র করে কেবল এটাই ভাবুন যে আমাদের সন্তান হবে৷ প্রভুর কৃপায় আমাদের পুত্র সন্তান প্রাপ্ত হবে৷ এরপর পুরুষ নিজের পায়ের আঙুল দিয়ে স্ত্রীর যোনিতে স্পর্শ করলে সন্তান সুখ পাওয়া যায়৷

যদি কোনও ব্যক্তির নিজের চাকরি অথবা ব্যবসায় উন্নতি না হয় তাহলে প্রতিদিন কিছুটা মিষ্টি চাল রান্না করে এক সপ্তাহ পর্যন্ত কাককে খাওয়ান৷ যখন কাক অতিমাত্রায় এসে জমা হতে থাকবে তখন একমুঠো চাল নিয়ে উপর দিকে ছুড়ুন যাতে সমস্ত কাক খাবার জন্য একসাথে ঝাঁপিয়ে পরে ও পরস্পর লড়াই করতে শুরু করে৷ এরকম লড়াই করার ফলে তাদের ছোট-ছোট লোম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে৷ এবার আপনি ওই লোমগুলি নিয়ে একজায়গায় করে তাতে মোম ও মধু মিশিয়ে একটি গোল্লা বানিয়ে নিজের কাছে সুরক্ষিত রাখুন৷

কোনও প্রার্থনা পত্র লেখার আগে অথবা সই করার সময় অথবা কোনও বড় ব্যক্তির সাথে দেখা করার সময় উক্ত গোল্লাটিকে ডান হাতে বেঁধে ঈশ্বরের স্মরণ করে কাজ শুরু করুন আর এরপর পরমাত্মার লীলা দেখুন৷

যদি আপনি কর্পূর আর রোলি মিশিয়ে তাতে আগুন দেন আর দীপাবলির দিন তার ছাই গলায় মেখে নেন তাহলে আপনার ব্যবসা অতি  দ্রুত বাড়তে থাকবে৷

আপনি বাজার থেকে মুলো আর ফিটকারী আনুন এবং সেটি জলে দিয়ে ভালো করে মেশান৷ এবার এটির ঔষধী তৈরি করুন৷ যারা নেশাগ্রস্ত তাদেরকে খাইয়ে দিলে এক মিনিটের মধ্যে নেশা দূর হয়ে যাবে৷ আপনি কিছুটা লঙ নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে সেটিকে গুঁড়ো করে ফেলুন৷ এবার এটিকে জলে ভালো করে মিশিয়ে নাকে দিন৷ আপনার নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যাবে৷

You may also like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *