অর্থ উপার্জনের জন্য কিছু সহজ ও সরল টোটকা / Easy Totka for Earning


 

বর্তমান যুগে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বোধহয় অর্থ উপার্জন। কিছু মানুষ এমন আছেন , অর্থ উপার্জনের জন্য কোননা কোনভাবে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।আমি এখানে


অর্থউপার্জন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি ধনপ্রাপ্তির কিছু সহজ ও সরল উপায়ের কথা লিখছি, যে গুলির অভ্যাসের ফলে অর্থ উপার্জনের বাধা গুলিকে দূরে সরিয়ে ফেলা যায়, এই সব নিয়ম মেনে চললে মা লক্ষীর স্থায়ী নিবাস আমাদের গৃহ পরিবেশ বা ব্যবসার স্থানে ঽয়ে থাকে ।
প্রথমেই আমি কিছু এমন উপায় বলবো য়া থেকে মানুষের জীবনে সম্পন্নতা, দারিদ্রনাশ এবং সুখশন্তির উপায় হতেপারে।যেগুলির মধ্যে কিছু কিছু পাঠক হিসেবে হয়তো আপনি অবহিত আছেন বা কিছু কিছু আপনি জানেন।

         

কী করে এইসব উপায় গুলি থেকে আপনি লাভ পেতে পারেন নিচে সেগুলি একটির পর একটি লিখছি  :           
১ | যে ঘরে নিয়মিত ভাবে প্রত্যেক শুক্রবার শ্রীসুক্ত বা লক্ষ্মীসুক্ত পাঠ করা হয়ে থাকে সে ঘরে 
    মা লক্ষ্মী স্থায়ী ভাবে বাস করেন

   প্রত্যেক সপ্তাহে ঘরের আসবাবপত্র পোছার সময় সামান্য লবন জলের সঙ্গে মিশিয়ে ভালেকরে 
পোছার কাপড়টিকে নিকড়ে নিয়ে পুছতে হবে  এমনটা করলে ঘরে ঝগড়া অশান্তি কম হয়  এছাড়া আপনার বাড়িতে কোন অতিথী এলে তার মনে কোন কূট বুদ্ধি থাকে বা সে যদি আপনাকে অন্তরথেকে হিংসা করে , তাহলেও তা থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন

৩।সকালে ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম গৃহকর্ত্রী যদি মূল দরজায় এক পাত্র জল ঢেলে দেন, তাহলে মা লক্ষীর  আসার রাস্তা প্রশস্ত হয় ।

৪ ।  যদি আপনি চাইছেন আপনার ঘরে সুখ শান্তি প্রতিষ্ঠিত থাকুক এবং সেই সঙ্গে আপনার আর্থিক বুনিয়াদ শক্তপোক্ত হোক তাহলে প্রত্যেক অমাবস্যার দিন আপনার বাড়ির ঘর ভালো করে পরিস্কার করুন , যত কিছু ফালতু জিনিস আছে সে গুলিকে এককাট্টা করে ” টিন, লোহা বা কাগজওয়ালাকে বেচে দিন ” অথবা কোনো জঞ্জালখানাতে ফেলে দিন । পরিস্কার করার কাজ শেষ হলে পাঁচটি ধূপকাঠি ঘরের মধ্যকার ঠাকুরের আসনের সামনে জ্বেলে দিন  ।
৫ । মাসে দুই দিন ( যে কোনো দিন ) ধুনুচিতে ছোবড়া  জ্বেলে কিছু “লোবান ” দিয়ে সেই ধোঁয়া সারা  বাড়িতে ভালো করে ঘুরিয়ে দিন ।
৬। যদি আপনার পূজা চালাকালীন কোনো অথিতি আপনার বাড়িতে আসে তাহলে সেটিকে শুভ বলে মানা হয়ে থাকে । এই সময়ে সেই অথিতিকে অবশ্যই কিছু খেতে দিন এবং জলপান করান । যদি সন্ধেবেলায় পুজেরসময় কোনো সধবা মহিলা আপনার বাড়িতে আসেন, তাহলে জানবেন মা লক্ষী আপনার বাড়িতে প্রবেশ করছেন । আপনি যখন বাইরে থেকে ঘরে আসছেন খালিহাতে আসবেন না । যদি আপনি দোকান বা বাজার থেকে কিছু  কিনে নিয়ে আসার পরিস্থিতে না থাকেন তাহলে রাস্তা থেকে একটু কাগজের টুকরোও কুঁড়িয়ে নিয়ে আসবেন ।

৭ । যদি আপনার পূজা করার সময় যদি কোনো বাচ্চা কাঁদে সেটা অশুভ বলে মানা হয়ে থাকে । এ থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে আপনার ঘরের নেগেটিভ এনার্জি যথেষ্ট পরিমানে রয়েছে । ঘরের মধ্যে কোনো নুন এর পাত্র  বা  বয়াম মুখ খোলা অবস্থায় রাখবেন না ।

৮। আপনার বাড়ির দক্ষিণ পূর্ব কোন অর্থাৎ আগ্নেয় কোনো যদি ভুলবশত কোনো জলের কল বা ট্যাঙ্ক  ইত্যাদি  থাকে তো সেটা বাস্তুশাস্ত্রের বারোদোষ বলে গণ্য করা হয় । এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য  ২৪ ঘন্টা একটু লাল বাল্ব জ্বালিয়ে রাখতে হবে ।
৯। ঘরের যত গুলো দরজা আছে  সে গুলির  কব্জাতে মাসে একবার তেল অবশ্যই লাগান । কোন ভাবে দরজা বা জানালাতে যেন কিচ কিচ  আওয়াজ না হয় ।
১০। বাড়িতে কোনো শিশু যদি ঘুম থেকে উঠে খেতে চাই বা বিনা কারণে কাঁদতে শুরু করে তাহলে সে দিন কোননা কোনো অসুবিধার সম্বাভনা থাকে , সাবধানে থাকা উচিত ।
১১। কাউকে কিছু দান করতে গেলে ঘরের ভেতরের থেকে দান করতে হয় তার সাথে সাথে তাকে ঘরের ভেতর আনতে নেই তাহলে দান সম্পন্নও হয়না । ( ভিক্ষা ইত্যাদি )
১২। যদি আপনি  নিয়মিত আপনার ঘরের খাবার প্রথম অংশ গরুকে ও শেষ অংশ কুকুর কে নিয়মিত খাওয়ান তাহলে আপনার সৌভাগ্যের দরজা খুলবেই খুলবে কেউ আটকাতে পারবেনা ।
১৩। আপনার বাড়ির কিছু কাঁচা জায়গা অবশ্যই রাখুন যেখানে কখনোই গাঁথনি বা মেঝে হয়নি । যদি সম্ভব হয়তো, এটি বাড়ির মাঝখানে থাকলে ভালো হয় , এবং সেখানে তুলসী গাছ লাগান তাহলে আপনার কোনো কাজে কোনোরকম বাধা আসবেনা ।

১৪। বৃহঃস্পতিবার কলা গাছের মূল জল ঢালুন এবং গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালান সাথে সাথে শনিবার দিন অশ্বত্থ গাছের মূলে   গুড় ,দুধ  মিশ্রত মিষ্টি জল ঢালেন এবং সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালেন তাহলে কখনো কোনো আর্থিক ভাবে সমস্যার মোকাবিলা করতে হবেনা ।

১৫।  আর্থিক সম্পন্নতা লাভের জন্য রবিবার বাদে প্রতিদিন অশ্বত্থ  গাছের মূলে জল দান করুন ।

You May also like

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *