তন্ত্রতে ছোট-ছোট টোটকা অত্যন্ত উপযোগী হয়৷ অনেক বিষয়ে প্রচলিত কিন্তু সর্বসাধারণের জন্য অত্যন্ত লাভপ্রদ, সরল, সম্ভব টোটকা এখানে বর্ণনা করা হলো—
জঙ্গলে গিয়ে যে গাছে অমর বেল থাকবে সেই গাছটিকে সাতবার পরিক্রমা করে অমর বেল যুক্ত একটি কাঠ নিয়ে আসুন, তারপর সেই কাঠটি জ্বালিয়ে ফেলুন ও পাতাগুলি মাথার কাছে রেখে শুয়ে পড়ুন৷ স্বপ্ণের দ্বারা আপনি ভবিষ্যতের কথা জানতে পারবেন৷
পূর্ণিমা তিথিতে কণ্টাকীট ফুলের বীজ নিয়ে সেটি হাতে অথবা মাথায় ধারণ করলে সব রকমের বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷ এই ক্রিয়াটি ২ বার অবশ্য করুন৷
গোমূত্র, সেকোবিষ, গন্ধক এর চূর্ণ তৈরি করে আগুনে ধুনো দিলে সমস্ত সঙ্কট আর বিপদ দূর হয়ে যায়৷
বাঁদরের হাড় নিয়ে ধূপ-প্রদীপ দিয়ে গ্রামের বাইরে পুঁতে আসুন৷ এরপর এটিকে প্রতিদিন পূজা করুন৷ প্রদীপে রেড়ির তেল দিয়ে বাড়িতে জ্বালালে ভুত-প্রেত দেখা যায়৷
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের ভরণী নক্ষত্রে চার কলসি জল ভরে জঙ্গলে যান৷ জলভরা তিনটি কলসি জঙ্গলে রেখে শেষ কলসির জলটি তিনটি কলসির চারপাশে ছড়িয়ে খালি কলসিটি নিয়ে চুপচাপ বাড়ি চলে আসুন৷ খালি কলসিটি বাড়ির এক কোণায় রেখে প্রতিদিন পুজো করলে সেই ব্যক্তির উপর লক্ষ্মী প্রসন্ন হয়ে বাড়িতে অবস্থান করেন৷
মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষতে ১৩ তম রাত্রিতে উটের হাড় নিয়ে নিমন্ত্রণ দিয়ে পরের দিন রাত্রিতে ধূপ দিয়ে পুজো করুন৷ এরপর জল দিয়ে ধুয়ে কুমকুম, চন্দন ইত্যাদি লাগিয়ে মনোবাঞ্চিত বস্তুর কামনা করলে সেই ইচ্ছা পূর্ণ হয়৷
গরুর বাম সিঙের আংটি বানিয়ে বা হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে পড়লে মৃগী রোগ কখনো হয় না৷
হথর্ন মূলের মালা ধারণ করলে যকৃৎ ও প্লীহা রোগ শীঘ্র ঠিক হয়ে যায়৷
যে ব্যক্তির বেশি হেঁচকি আসে তাকে যদি হঠাৎ করে চমকানো যায় তাহলে তার হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে৷
হেঁচকি আসা ব্যক্তির মুখে হঠাৎ জলের ছিটা দিলেও হেঁচকি আসা বন্ধ হয়ে যায়৷
যে ব্যক্তি কারোর সাথে প্রেম করার ফলে পাগল হয়ে যায়, তাকে বিছার হুল, কুকুরের নখ ও কচ্ছপের নখ নিয়ে উটের চামড়ায় মোড়ক করে তাবিজের মতো করে গলায় বেঁধে দিলে তার পাগলামি কিছুদিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়৷
লাল আংটি বা হাতের মধ্যম আঙুলে ধারণ করলে শরীর মোটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷
প্রসব-কষ্টে পীড়িত স্ত্রীকে যদি নিমের শিকড় কোমরে বেঁধে দেওয়া যায় তাহলে তার প্রসব সুখপূর্বক হয়৷
প্রাতঃকালে দক্ষিণ দিকে মুখ করে হাতে একটি গুড়ের টুকরো নিয়ে দাঁত দিয়ে কাটুন৷ এই টুকরোটি মাইগ্রেন রোগীরা খেলে তাদের উপকার হয়৷
অল্প পরিমাণে নুন লাল কাপড়ে বেঁধে প্রসব যন্ত্রনায় পীড়িত স্ত্রীর হাতে পরিয়ে দিলে তিনি প্রসব যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবেন৷
কলার শিকড়কে স্ত্রীর কোমরে বেঁধে দিলে প্রসব সুখপূর্বক হয়৷
মাসিক ধর্ম অনিয়মিত হবার ফলে স্ত্রীদের যোনিতে ব্যথা হয় তবে সেই রাতে শোবার আগে নিজের কোমরে নারকেল দড়ি বেঁধে শুতে হবে ও সকালে সেই দড়িটি রাস্তায় ফেলে দিতে হবে৷ এরূপ করলে মাসিক ধর্মের অনিয়মিত হবার ফলে যোনির ব্যাথা দূর হয়ে যায়৷
যে ব্যক্তিকে বিছা দংশন করেছে, তার শরীরে ক্ষতস্থানে আপাঙ গাছের মূল স্পর্শ করুন অথবা ২ বার দেখিয়ে দিলে বিষ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়৷
কুকুরের ঝিল্লি নিয়ে ছায়ায় শুকিয়ে নিন, তারপর এর সাথে শুকনো লাউ, গোলমরিচ ও অশ্বত্থপাতাকে একসঙ্গে মিশিয়ে গুঁড়ো করে নিন৷ এই গুঁড়োটি জলে গুলে নিজের বাম হাতে লাগিয়ে নিন৷ এই হাত দিয়ে কোনও গাছকে স্পর্শ করা মাত্র সেই গাছের ফুল,পাতা সব ঝরে পরে যাবে৷
প্রাতঃকালে সকালে শ্মশানে গিয়ে যেখানে শবদাহ রাখা হয় সেখানে সুরা ও রজন ছড়িয়ে আসুন৷ এমনভাবে রাখবেন যেন কেউ জানতে না পারে৷ এক রাত্রি পরে পাঁচ সাতজন লোক নিয়ে সেই শ্মশানে শবদাহতে আগুন লাগিয়ে দিন৷ অনেক প্রকারের উৎপাত সেখানে শুরু হয়ে যাবে
চন্দন, গুগ্গুল, অর্জুন গাছের ফল ও ফুল এইগুলিকে একসঙ্গে মিশিয়ে চূর্ণ করে নিন৷ এই চূর্ণের ধুনো দিলে মশা, মাছি, ছারপোকা, ইঁদুর ও সাপ পালিয়ে যায়৷
ত্রিফলা, সাদা গুড় ও চন্দন একসঙ্গে গুঁড়ো করে এর ধুনো দিলে বাড়িতে সাপ, বিছা পালিয়ে যায়৷
গুঁড়ো কালো মরিচের এক ভাগ, গুড়ের এক ভাগ এবং দুধের ২ ভাগ এই সবগুলিকে একসঙ্গে মিশ্রিত করে একটি রেকাবিতে রেখে দিলে সেখানে মাছি আসতে পারে না৷
ঝিনুকের গুঁড়ো করে নিয়ে এক লিটার জলে গুলে এক ঘন্টা পরে সেটিকে ছেঁকে নিন৷ সেই জলে দশ গ্রাম কালো মরিচ গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন৷ ওই জলটি যেখানে রাখা হবে সেখানে মাছি আসতে পারে না৷
রবিবার দিন হাড়িতে বাজরার সাথে গরুর দুধ মিশ্রিত করে পায়েস তৈরি করুন৷ এরপর সেটিতে কণ্টকরী দিয়ে গুগ্গুল এর ধুনো দিন৷
You may also like
- শ্রী গোপাল স্তোত্রম / Sree Gopal Stotram
- শ্রী বগলামুখী স্তোত্রম / Sree Bagalamukhee Stotram
- শ্রী শ্রী নবগ্রহ স্তোত্রম / Shree Shree Nabagraha Stotram
- শ্রী শ্রী সংকটমোচন হনুমানাষ্টক / Sree Sree Hanumashtak
- শ্রী শ্রী হনুমান চালিশা / Shree Shree Hanuman Chalisa
- শ্রীগণেশাষ্টকম্ নিত্য পাঠে সমস্তসিদ্ধি / Sree Ganeshastakam
- তারাস্তোত্রম্ পাঠে সর্বশাস্ত্রার্থজ্ঞান লাভ সম্ভব / Tara Stotram
- সর্ব মনোরথপুরণী কামাখ্যা কবচ / Kamakshya Kabacham
- নবগ্রহ কবচ / Nabagraha Kabach