অত্যন্ত কার্যকরী কিছু দুর্লভ টোটকা / Some rare Totka, that are highly effective

এই প্রবন্ধে আমি কিছু অত্যন্ত কার্যকরী টোটকার বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি। টোটকাগুলি মুলত শরীর সম্বন্ধীয় হলেও টোটকাগুলি অত্যন্ত প্রাচীন এবং ইদানিং এই টোটকাগুলির ব্যবহার দেখা যায় না। তবুও এগুলি অত্যন্ত দুর্লভ এবং কার্যকরী টোটকা বলেই একসময় পরিগণিত হত। এর মধ্যে সাংঘাতিক জ্বরের টোটকা,ডায়রিয়া ভালো করার টোটকা,যকৃতের রোগ ভালো করার টোটকা,পাথুরী রোগের টোটকা,পায়ের গোদ নাশের টোটকা, দাঁত ব্যথা,ঘা ,ক্ষতস্থান ও ব্রণের টোটকা,পাগলামি ও উন্মাদের টোটকা ইত্যাদি কিছু প্রাচীন দুর্লভ টোটকার তথ্য আপনার কাছে তুলে ধরছি। এই সকল তথ্যের হয়ে আমি ওকালতি করবো না। এগুলি শুধুমাত্র আপনার কাছে তথ্যমূলক ও শিক্ষামূলক বিষয় হিসাবে আপনার কাছে পেশ করছি। 

সাংঘাতিক জ্বরের টোটকা

সাংঘাতিক জ্বরের জন্য ছাগলের লোম যেটা অশ্বিণী নক্ষত্রতে নিয়ে সেই লোমের সাথে পুস্প মিলিয়ে গোল্লা তৈরি করুন৷ এটিকে রোগীর হাতে বেঁধে দিলে জ্বর সেরে যায়৷

ম্যালেরিয়া জ্বর সারানোর জন্য রবিবার অথবা সোমবার দিন রোগী কোনও তাল গাছের সাথে নিজের মাথাটি স্পর্শ করে মনে মনে বলতে হবে—‘যখন জ্বর ভালো হয়ে যাবে তখন মাছ অর্পণ করবো’ এভাবে মনে মনে তিনবার বলতে হবে৷ যখন জ্বর ভালো হয়ে যাবে তখন দুটি ছোট মাছ ছোট কাঠ দিয়ে বেঁধে রবিবার অথবা সোমবার দিনেই তাল গাছটির গোড়ায় রেখে আসতে হবে,ও গাছের কাছে দাঁড়িয়ে বলতে হবে—‘আমার জ্বর সেরে গেছে৷’

রবিবার দিন মাটির ঘড়ায় জল ভরে রাখতে হবে৷ সেই ঘড়ায় সোনার একটি আংটি ফেলে দিন৷ এক ঘন্টা পর রোগীকে রাস্তায় অথবা বাড়ির সামনে সেই জল দিয়েই স্নান করিয়ে দিন৷ স্নান করার পর আংটিটি বের করে নিন৷ এই ক্রিয়াটি রবিবার সন্ধ্যেবেলায় করুন৷ এতে জ্বর তাড়াতাড়ি সেরে যাবে৷

মঙ্গলবার অথবা রবিবার দিন সাত কোয়া রসুন পিষে কালো কাপড়ে বেঁধে ডান পায়ের আঙুলে বেঁধে দিন৷ তিন ঘন্টা পর ঠিক সময়ে রাস্তায় খুলে ফেলে দিন৷ এতে কাঁপুনি জ্বর ভালো হয়ে যায়৷

বাবলা গাছের শিকড় সাদা সুতোয় পেঁচিয়ে শনিবার দিন হাতে ধারণ করলে কাঁপুনি জ্বর সেরে যাবে৷ জ্বর সেরে গেলে কোনও নির্জন জায়গায় সবার অলক্ষ্যে শিকড়টিকে ফেলে আসতে হবে৷

পেঁচার ডানদিকের ডানার পাখনা নিয়ে সাদা সুতোয় যন্ত্রাকারে গোল করে বাঁধলে ও রোগীর বাম কানে ধারণ করলে জ্বর ভালো হয়ে যায়৷

ডায়রিয়া ভালো করার টোটকা

নিয়ম করে রবিবারে সহদেই মূল নিয়ে তার সাতটি টুকরো করে নিয়ে রোগীর কোমরে বেঁধে দিলে বারে বারে মলত্যাগ বন্ধ হয়ে যায়৷

যকৃতের রোগ ভালো করার টোটকা

পেঁয়াজের মালা তৈরি করে নিয়ে রবিবার অথবা মঙ্গলবার গলায় ধারণ করলে যকৃতের বৃদ্ধি সমস্যা দূর হয়ে যায়৷

বেড়াগাছ বিশেষ শিকড় নিয়ে শরীরে ধারণ করলে প্লীহা রোগ দূর হয়ে যায়৷

পেটে পাথর না হবার টোটকা

লোহার আংটি বানিয়ে নিয়ে মধ্যম আঙুলে ধারণ করলে পেটে পাথর হবার আশঙ্কা থাকে না৷

পায়ে গোদ না হবার টোটকা

উত্তর দিকে উৎপন্ন হওয়া কণ্টকিত ফুলের মূল রবিবার দিন নিয়ে আসুন৷ লাল সুতোয় পেঁচিয়ে যে স্থানে গোদ হয়েছে, সেই স্থানে বেঁধে দিন৷ কিছুক্ষণ পর গোদে ফুলে উঠা অংশ সেরে যাবে৷

ষোলোটা দাঁতযুক্ত হলুদ কড়িতে ফুটো করুন ও এতে কালো সুতোয় গেঁথে যে স্থানে পায়ের গোদ হয়েছে সেই স্থানে ধারণ করালে পায়ের গোদ ভালো হয়ে যায়৷

দাঁত ব্যথা ভালো কারবার টোটকা

ছোট শিশুর পরা দুধের দাঁতকে যন্ত্রমের সাহায্যে মোড়ক করে নিজের কাছে রেখে দিলে দাঁতের ব্যথা ভালো হয়ে যায়৷

ঘা, ক্ষতস্থান, ব্রণের টোটকা

শরীরের কোনও অঙ্গে ঘা হয়ে গেলে যদি তাড়াতাড়ি না সারে, তাহলে বুঝতে হবে এতে দৃষ্টিদোষ হয়ে গেছে৷ একটি বাসনে জল নিয়ে তাতে সোনার আংটি ফেলে দিন৷ এরপর কিছুক্ষণ পর্যন্ত প্রায় এক ঘন্টা রেখে দিন, পরে সেই জল দিয়ে ক্ষতস্থান ধুয়ে ফেলুন৷ ক্ষতস্থান ধোবার পর সেই জলটিকে রাস্তায় ফেলে আসুন৷ এই ক্রিয়াটি শুধুমাত্র শনিবার দিন করুন, ক্ষতস্থান সেরে যাবে৷

পাগলামি অথবা উন্মাদের টোটকা

 প্রেমে পাগল ব্যক্তিদের জন্য এই টোটকাটি বিশেষ ভাবে কার্যকরী৷ লোহার একটি টুকরো আগুনে গরম করুন ও জলে নিভিয়ে ফেলুন৷ এই ক্রিয়াটি তিনবার করুন৷ নেভানোর সময় এই কথাটি বলতে থাকুন ‘যেভাবে এই টুকরাটি জলে শীতল হয়ে গেছে, সেভাবেই উক্ত ছেলেটির সাথে উক্ত মেয়েটির ভালোবাসাও শীতল হয়ে যাক’৷ তারপর সেই জলটি নিয়ে ভালোবাসায় পাগল রোগীর মুখটি ধুয়ে দিন৷ অল্প জল তার বক্ষস্থলেও ছড়িয়ে দিন৷ এই ক্রিয়াটি করলে সে তাঁর প্রেমিকাকে ভুলে যাবে৷ এই ক্রিয়াটি শনিবার থেকে শুরু করুন৷

বিছার হুল, কুকুরের নখ ও কচ্ছপের রক্তকে উটের চামড়ায় মুড়ে তাবিজ বানিয়ে রেখে দিন৷ তারপর সেই তাবিজটি কোনও প্রেমে পাগল ব্যক্তির গলায় পরিয়ে দিলে উন্মাদনার রোগটি শিঘ্রই ভালো হয়ে যাবে৷

You may also like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *