এই প্রবন্ধে, আমি ধনবৃদ্ধির একটি অনন্য মুসলিম যন্ত্রম সম্পর্কে লিখছি। যে যন্ত্রমটি আমাদের জীবনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্রম। আমাদের জীবনে ধনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ধন ছাড়া আমাদের জীবন অচল ই শুধু নয়, ধন ছাড়া আমাদের সমাজের কর্মধারাটিও স্তব্ধ হয়ে পড়বে। বিভিন্ন দেশে গড়ে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ ধনবান হলেও, ৩০ শতাংশ মানুষকে মোটেই ধনবান বলা যায় না। যদিও এই গড় হিসাবেও বহু ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্য রয়েছে। তন্ত্রশাস্ত্রে ধন লাভের নানাপ্রকার পন্থা রয়েছে।নানা প্রকার মন্ত্র ও রয়েছে। তেমনি
ধন লাভের নানাপ্রকার সাধনার বিষয়েও তন্ত্র শাস্ত্রের বর্ণনা সেই প্রাচীনকাল থেকে বহমান রয়েছে। ভারতীয়, তিব্বতী ,মুসলিম, জৈন তন্ত্রে ধনলাভের বিস্তারিত আলোচনা ও চর্চা আদিকাল থেকে বংশ ও গুরুপরম্পরায় ফল্গুধারার মতো প্রবাহিত হয়ে চলেছে।
হিন্দু শাস্ত্র থেকেও বহু সাধনা ও তন্ত্র মন্ত্রের মধ্যে ধনলাভের নানা পদ্ধতির বিষয়ে নানা বিভাগীয় তন্ত্রে উল্লেখিত হয়েছে। বেদের নানা বিভাগেও ধনলাভের কর্মকান্ডের বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। বিশেষত অথর্ববেদে। আমার এই ব্লগে ক্রমশ আমি অবশ্য মুসলিম তন্ত্রের মহান কর্মকান্ডের বিস্তারিত বর্ণনা করব, এই প্রবন্ধে আপাতত আমি ধনবৃদ্ধির একটি অনন্য মুসলিম যন্ত্রম সম্পর্কে লিখছি, এই যন্ত্রমটি বহু প্রাচীনই শুধু নয়, খুবই কার্যকরী যন্ত্রম হিসাবে স্বীকৃত।
এই যন্ত্রমটি ধারণে অবশ্যই ধনলাভ হয়ে থাকে। মহান এই যন্ত্রমটি সঠিক ভাবে তৈরি করে ধারণ করতে পারলে, অবশ্যই ধনলাভ হবে , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। তবে, মনে রাখতে হবে তন্ত্রশাস্ত্রে বর্ণিত যে কোনও প্রবন্ধই আমি তথ্য ও শিক্ষামূলক হিসাবে আমার এই ব্লগে লিপিবদ্ধ করে চলেছি, সেহেতু কোনো প্রকার ফললাভের সাথে আমার কোনও সম্পর্ক নেই বা আমি কোনও প্রবন্ধের হয়ে ওকালতি করছিনা।
এইবার আসি যন্ত্রমটি তৈরি করার প্রসঙ্গে, যে কোনও মাসের শুক্লপক্ষের শুভতিথিতে সন্ধ্যা ৭ টা থেকে – রাত্রি ৯টার মধ্যে যন্ত্রমটি তৈরি করতে হবে, শুক্লা দ্বিতীয়া , দশমী,দ্বাদশী তিথি ও সোম,বৃহস্পতি,শুক্র, বার হলে ভালো হয়। অষ্টগন্ধ কালি ও ডালিমের কলম দিয়ে ভুজ্যপত্রের উপর, পশ্চিমদিকে মুখ করে বসে যন্ত্রমটি লিখতে হবে। যন্ত্রমটি শুকিয়ে গেলে যন্ত্রমটিকে পূজা করে ও লোবানের ধোঁয়া দিয়ে, সোনা বা রূপার তাবিজে ভরে গলায় এ পুরুষেরা ডানহাতে ও মহিলাগণ বামহাতে ধারণ করবেন।
