এটি একটি খুব সহজ চন্ডী মন্ত্র, প্রতিদিন সকালে, ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে ১০৮ বার নিয়মিতভাবে অনুশীলন করলে, আমরা আমাদের জীবনে প্রতিটি কাজে সাফল্য পেতে পারি। এই মন্ত্রটি খুব প্রাচীন এবং এছাড়াও আধ্যাত্মিক শক্তিতে পরিপূর্ণ। আজকাল এই সকল মন্ত্র প্রতিটি মানুষের জীবনে খুবই প্রাসঙ্গিক। প্রাচীন মন্ত্রগুলি ভারতের ঋষিমুনিদের দ্বারা সংস্কৃত ভাষায় লেখা ছিল, এইধরনের মন্ত্রগুলির ব্যবহার কমপক্ষে তিন হাজার বছরের পুরনো।
বর্তমানে হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্মের বিভিন্ন প্রশাখার ধর্মাবলম্বীগণ এই সকল চন্ডী মন্ত্রের নিত্য অভ্যাস করেন। মন্ত্রের ব্যবহার, গুরুত্ব, কাঠামো, ফলাফল এবং প্রকার বা ধরণগুলি, হিন্দু ও বৌদ্ধ দর্শনের মাপ অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। মন্ত্র ও তন্ত্রের একটি প্রধান ভূমিকাও এক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
এই প্রবন্ধে, আমি একটি চন্ডী মন্ত্রের বর্ণনা করছি, যে মন্ত্রের মধ্যে, জীবনের প্রতিটি কাজে সাফল্য অর্জনের জন্য একটি জাদুকরী শক্তি রয়েছে! আমরা জানি, সমগ্র বিশ্বের একটি খুব রহস্যময় চরিত্র আছে এবং কেউ বলতে পারে না যে, তিনি প্রতিটি কাজে সাফল্য পেয়েছেন। কিন্তু যদি আমরা সাফল্যের হারকে জাগিয়ে ও বাড়িয়ে তুলতে চাই, তাহলে এই মন্ত্রটি আমাদেরকে একজন জাদুকরের মতো সাহায্য করবে! বিস্তারিত আমি এই প্রবন্ধে বর্ণনা করছি।
যাইহোক, এখন আমি চন্ডী মন্ত্রের অনুশীলন প্রক্রিয়া বর্ণনা করছি। অনুশীলনকারী প্রতিদিন স্নান করবে, তার বিছানাতে উত্তর বা পূর্ব দিকে মুখোমুখি বসবে, এবং নিয়মিতভাবে এই মন্ত্রকে জপ করবে । একটি নির্দিষ্ট সময়ে মন্ত্রটি প্রতিদিন জপ করতে হবে। কমপক্ষে ৯০ দিন এই মন্ত্রটি জপ করা চালিয়ে যেতে হবে। আমার ব্লগ পাঠকগণ এই অনুশীলন থেকে একটি উপযুক্ত ফলাফল পেলে , আমি খুব খুশি হব। আমি আমার প্রত্যেক প্রবন্ধের জন্য পাঠকদের থেকে ইতিবাচক মন্তব্য আশা করি।
মন্ত্র : ” ওঁ শরণাগত দীনার্ত পরিত্রাণ পরায়ণে,
সর্বসার্তি হরে দেবী নারায়নী নমস্তুতে ।।”