শিশুদের সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর/ Children overcome all obstacles

প্রায়শই দেখা যায় শিশুরা দুধ দেখলে ভয় পায়৷ পুরো দিন ক্ষুধার্ত থাকবে কিন্তু দুধ খেলেই কান্না শুরু করে দেবে বা বমি করবে৷ এর ফলে শিশুরা সবসময় ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পরে৷ যদি আপনার শিশু দুধ না খায় অথবা বমি করে দেয় তাহলে নিম্নলিখিত সরল টোটকাগুলি প্রয়োগ করুন৷ ঈশ্বরের আশীর্বাদে আপনার শিশু দুধ খেতে শুরু করবে আর বমিও করবে না৷ এই টোটকাটি শুধুমাত্র শনিবার অথবা রবিবারে করতে হবে-

১৷ একটি কর্পূর এর গোটা টুকরো নিয়ে নিন৷ এটি কিছু অংশ ভেঙে শিশুকে জিভ দিয়ে চাটিয়ে নিন ও বাকিটা হনুমান মন্দিরে দিয়ে দিন৷ মনে রাখতে হবে যে এই টোটকাটি শুধুমাত্র একবারই করতে হবে৷
২৷ একটি দুধের জার এ দুধ নিয়ে নিন৷ এই দুধটি শিশুর মাথায় ১১ বার ঢেলে কালো কুকুরকে নিজের সামনে খাইয়ে দিন৷ শিশুরা এই টোটকা প্রয়োগের পর থেকে আনন্দের সাথে দুধ খেতে লাগবে৷
৩৷ এমন কোনও মহিলা যার সন্তান হয় না অথবা যিনি সন্তান জন্মধারণে অক্ষম তাকে শনিবার দিন বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান আর ওই শিশুর মাথায় হাত দিতে বলুন৷ এটা মনে রাখতে হবে, শিশুটি কোলে যেন না থাকে৷ ওই মহিলা বাড়ি ছেড়ে চলে যাবার পর ওই স্থানটি ঝাড়ু দিয়ে দিন৷
শিশুকে দুধপান করানোর সময় শিশুটিকে আঁচল দিয়ে ঢেকে রাখুন ও দুধের পাত্রটিও ঢেকে রাখুন৷ যদি সম্ভব হয় তো শিশুকে দুধপান করানোর সময় মমতা ও স্নেহের চোখে বার-বার তার দিকে তাকান৷ এর ফলে শিশুটির মনে আত্মবিশ্বাস জন্মাবে ও আপনার স্নেহের চোখ তার মাংসপেশী আর হাড়কে শক্ত করবে৷
বুধবার দিন ভূজ্যপত্র নিয়ে তাতে নিম্ন যন্ত্রটি হলুদ দিয়ে লিখুন ও একটি তাবিজে ভরে হলুদ সুতো দিয়ে শিশুদের গলায় পরিয়ে দিন৷ সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর হয়ে যাবে ও শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠবে৷


যদি আপনার শিশু সবসময় কোনও না কোনও রোগে আক্রান্ত থাকে,ঔষধপত্র দিয়েও কোনও লাভ হয়নি তবে মঙ্গলবার দিন অষ্টধাতুর বালা বানাতে অর্ডার দিন৷ শনিবার দিন সেই বালা বাড়িতে নিয়ে আসুন৷ গঙ্গাজল দিয়ে মোটামুটি ধুয়ে ফেলুন৷ তারপর বালার একপাশে কিছুটা সিঁদুর লাগিয়ে দিন৷ সময় থাকলে হনুমান চালিসার পাঠ করুন৷ এরপর অষ্টধাতুর তৈরি এই বালাটি সোজা শিশুটিকে পরিয়ে দিন৷ আপনি শিশুটির সুস্থতা আপনি নিজেই অনুভব করবেন৷
মা-বোনেরা প্রায়ই এটা অনুভব করেন যে শিশুরা রাত্রিবেলায় একটু বেশি কাঁদে৷ রাত্রিতে ঘুমাতে-ঘুমাতে চমকে উঠে ও তারপর তারস্বরে কাঁদতে শুরু করে৷ যদি আপনার শিশু বেশি মাত্রায় কাঁদে ও রাত্রিতে চমকে উঠে তবে রবিবারে কালো সুতো নিয়ে তাতে একটি বাঘের নখ লাগিয়ে দিন৷ এরপর আপনার শিশুর কান্না ও রাত্রে চমকে উঠা বন্ধ হয়ে যাবে৷ এই ক্রিয়াটি শুধুমাত্র ৪ বৎসর বয়স পর্যন্ত করতে হবে৷ এর পরে নয়৷


যদি আপনার শিশু বেশ বড় হওয়ার পর অন্ধকারে অথবা একাত্বিতে ভয় পায় তাহলে চিন্তার কিছু নেই৷ আপনি বাঘের কিছুটা লোম নিয়ে একটি যন্ত্রতে ভরে তার গলায় পরিয়ে দিন৷ দুর্ভাগ্যবশত যদি বাঘের লোম না পাওয়া যায় তাহলে বিড়ালের লোমও তাবিজে ভরে দেওয়া যায়৷
প্রায় সব মায়েরাই শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করার ব্যাপারে খুব চিন্তিত থাকেন৷ বিছানায় প্রস্রাব করলে বিছানা নোংরা ও দুর্গন্ধ হয়৷ যদি আপনার শিশুটি বিছানায় বেশি প্রস্রাব করে থাকে তাহলে গোলাপের ধূপকাঠি সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে তার ছাই একটি ভূজ্যপত্রে নিন৷ ওই ভূজ্যপত্রেই ছাইয়ের সাথে গঙ্গাজল দিয়ে একটি প্রলেপ তৈরি করুন৷ উক্ত প্রলেপটি শিশুর নাভি আর পেটে আলতো করে লাগিয়ে দিন৷ আপনি নিজেই অনুভব করবেন যে আপনার শিশুটি আর বিছানায় প্রস্রাব করছে না৷ এই ক্রিয়াটি একদিন ছাড়া একদিন করুন৷
বাস্তবে এই টোটকাটি একটি যোগ্য ক্রিয়া এবং এটি যখন করবেন তখন অত্যন্ত গুপ্তভাবে, একান্তে ও কাউকে না জানিয়ে করবেন৷ এই সাধনাতে কিছু বিশেষ ক্রিয়া মানা দরকার৷ সর্বপ্রথম এটি কোনও শুভ সময়ে সম্পন্ন করা উচিত৷ এই ক্রিয়াটি করার সময় এটি অব্যশই মনে রাখতে হবে যে আপনি এর প্রয়োগ কোনও অবৈধ কাজের জন্য করছেন না৷ নিজের মনে সর্বদা শ্রদ্ধা, বিশ্বাস আর একাগ্রতার ভাব রাখতে হবে৷ এই টোটকাটি করার পর গোপন রাখবেন নচেৎ এর শক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷

You may also like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *