নক্ষত্র অনুযায়ী পরজীবীর প্রয়োগ / Application of parasites according to stars

পুষ্যা  : পুষ্যা নক্ষত্রে নিয়ম করে তেঁতুলের চারাগাছ বাড়িতে রাখলে অর্থ-সম্পদের বৃদ্ধি হতে থাকে৷ এটি মনে রাখার বিষয় যে, বিবাহের কার্য ছাড়া অন্যান্য সমস্ত কার্যে যেমন আধ্যাত্মিক প্রয়োগ, তন্ত্র-মন্ত্রণা সাধনায় পুষ্যা নক্ষত্রকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে৷ কোনও দিন যদি পুষ্যা নক্ষত্র হয় তাহলে নক্ষত্র, বার, লগ্ণ, তিথি ইত্যাদি সব গৌণ হিসাবে ধরা হয়৷ পুজো-পাঠ মন্ত্রাদি জপের জন্য গুরু পুষ্যা যোগে (বৃহস্পতিবার পুষ্যা নক্ষত্রের যোগ শ্রেষ্ঠ বলা হয়৷ এই ভাবে তান্ত্রিক সাধনার ঔষধি সংগ্রহ অথবা বনস্পতি প্রয়োগে রবি পুষ্যা অর্থাৎ রবিবার দিন পুষ্যা নক্ষত্র যোগ) সবচেয়ে উত্তম বলে ধরা হয়৷ শেষে তন্ত্র ক্ষেত্রে যেখানে যেদিন বার, নক্ষত্র ইত্যাদির যোগসূত্র রয়েছে, সেখানে তারই প্রয়োগ করা উচিত৷

রোহিণী : রোহিণী নক্ষত্রতে ডুমুর গাছের পরজীবী নিয়ম করে মন্ত্রিত করে যদি বাড়িতে স্থাপন করা হয়,তাহলে অর্থ-সম্পত্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ সাংসারিক ধন-সম্পদ ও মা লক্ষ্মীকে ঘরে আনতে এই চারাগাছটি বিশেষ ভাবে কার্যকরী হয়৷

উত্তরাফাল্গুণী: যাদের দাম্পত্য জীবন কষ্টদায়ক হয়ে থাকে, তাদের এই নক্ষত্রে আমের শিকড় নিয়ে ডান হাতে সুতো দিয়ে বাঁধলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম-প্রীতি সম্পর্ক হয়ে দাম্পত্য জীবন সুখময় হয়ে উঠবে৷ এই শিকড় ধারণ করা ব্যক্তি সামাজিক মান-সম্মান ও প্রতিপত্তি পেয়ে থাকে৷


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *